মা'আরিফুল হাদীস
আখলাক অধ্যায়
হাদীস নং: ২৪৮
আখলাক অধ্যায়
রিযক ভোগ করার পূর্বে মৃত্যু হবে না
২৪৮. হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: আমি তোমাদেরকে যে হুকুম করেছি, তাছাড়া অন্য কোন জিনিস তোমাদেরকে জান্নাতের নিকটবর্তী এবং দোযখ থেকে দূরবর্তী করবে না এবং আমি তোমাদেরকে যে নিষেধ করেছি, তাছাড়া অন্য কোন জিনিস তোমাদেরকে জান্নাতের নিকটবর্তী এবং দোযখ থেকে দূরবর্তী করবে না। রূহুল আমীন (অন্য বর্ণনায় রূহুল কুদ্স-উভয় ক্ষেত্রে অর্থ জিবরাঈল) আমার অন্তরে এ কথা ঢেলে দিয়েছেন যে, রিযক পরিপূর্ণ না করা পর্যন্ত কোন প্রাণীর মৃত্যু হবে না। সাবধান! আল্লাহকে ভয় কর। রিযক অনুসন্ধানের ব্যাপারে সুন্দর পন্থা অবলম্বন কর। রিযক হাসিলের বিলম্বতা তোমাদেরকে যেন আল্লাহর অবাধ্যতার মাধ্যমে (নাজায়েয তরীকায়) রিযক হাসিল করতে উদ্বুদ্ধ না করে। কারণ, আল্লাহর নিয়ামত তাঁর আনুগত্য ছাড়া হাসিল করা যায় না। (বাগাবীঃ শরহুস সুন্নাহ ও বায়হাকী: শুয়াবুল ঈমান)
کتاب الاخلاق
عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " لَيْسَ مِنْ شَيْءٍ يُقَرِّبُكُمْ اِلَى الْجَنَّةِ , وَيُبَاعِدُكُمْ مِنَ النَّارِ إِلَّا قَدْ أَمَرْتُكُمْ بِهِ , وَلَيْسَ شَيْءٌ يُقَرِّبُكُمْ مِنَ النَّارِ , وَيُبَاعِدُكُمْ مِنَ الْجَنَّةِ إِلَّا قَدْ نَهَيْتُكُمْ عَنْهُ , وَأَنَّ الرُّوحَ الْأَمِينَ (وَإِنَّ رُوحَ الْقُدُسِ) نَفَثَ فِي رُوعِيَ أَنَّ نَفْسًا لَنْ تَمُوتَ حَتَّى تَسْتَكْمِلَ رِزْقَهَا , اَلَا فَاتَّقُوا اللهَ وَأَجْمِلُوا فِي الطَّلَبِ , وَلَا يَحْمِلَنَّكُمُ اسْتِبْطَاءُ الرِّزْقِ أَنْ تَطْلُبُوهُ بِمَعَاصِي اللهِ , فَإِنَّهُ لَا يُدْرَكُ مَا عِنْدَ اللهِ إِلَّا بِطَاعَتِهِ " (رواه البغوى فى شرح السنة والبيهقى فى شعب الايمان)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
যদি কোন বান্দা জান্নাতে যেতে চায় এবং দোযখের আগুন থেকে বেঁচে থাকতে চায়, তাহলে কুরআন ও হাদীসের তামাম হুকুম-আহকাম পালন করা কর্তব্য। যদি কোন বান্দা কুরআন ও হাদীসের নির্দেশ অমান্য করে, তাহলে সে দোযখী হবে। জান্নাত লাভ করা এবং দোযখ থেকে নিষ্কৃতি লাভের জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কর্তৃক নিদেশিত তরীকা ছাড়া অন্য কোন পথ নেই।
রিযকের ব্যাপারে মানুষের দুর্বলতা ও অস্থিরতার অন্ত নেই। রিযকের চাবিকাঠি সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর হাতে। রিযক হাসিল করার জন্য চেষ্টা-সাধনা করতে হবে। চেষ্টা-সাধনা না করলে রিযক থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু চেষ্টা-সাধনা দ্বারা বান্দা নির্ধারিত রিযকের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারে না। আল্লাহ চাইলে তাঁর অনুগত মেহনতি বান্দার রিযক বৃদ্ধি করে দিতে পারেন। অনুরূপভাবে অসন্তুষ্ট হয়ে তাঁর বিদ্রোহী বান্দার রিযক হ্রাস করতে পারেন। হ্রাস-বৃদ্ধি একমাত্র আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে। অধিকন্তু আল্লাহ প্রত্যেক প্রাণীর জন্য যে রিযক রেখেছেন, যদি তিনি নিজে ইচ্ছা করে বা রাগ করে পরিবর্তন না করেন তাহলে নির্ধারিত রিযক হাসিল না করা পর্যন্ত তার মৃত্যু হবে না। মানুষের এ বাস্তব জ্ঞানের অভাবের জন্য কোন কোন সময় রিযকের সংস্থানে বিলম্ব হলে অবৈধ ও হারাম পন্থায় রিযক লাভ করার চেষ্টা করে। তাতে সে তার ভাগ্যের নির্ধারিত রিযক থেকে বিন্দুমাত্র বেশি অর্জন করতে পারে না। শুধু আখিরাতকে বরবাদ করে। আল্লাহর আনুগত্যের মাধ্যমে বান্দা তার আকাঙ্ক্ষার চেয়ে অনেক বেশি লাভ করতে পারে। আনুগত্যের মাধ্যমে শুধু দুনিয়ার রিযক নয়, আখিরাতের রিযক, তাঁর অফুরন্ত নিয়ামত, রহমত এবং মাগফিরাত লাভ করতে পারে।
রিযকের ব্যাপারে মানুষের দুর্বলতা ও অস্থিরতার অন্ত নেই। রিযকের চাবিকাঠি সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর হাতে। রিযক হাসিল করার জন্য চেষ্টা-সাধনা করতে হবে। চেষ্টা-সাধনা না করলে রিযক থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু চেষ্টা-সাধনা দ্বারা বান্দা নির্ধারিত রিযকের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারে না। আল্লাহ চাইলে তাঁর অনুগত মেহনতি বান্দার রিযক বৃদ্ধি করে দিতে পারেন। অনুরূপভাবে অসন্তুষ্ট হয়ে তাঁর বিদ্রোহী বান্দার রিযক হ্রাস করতে পারেন। হ্রাস-বৃদ্ধি একমাত্র আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে। অধিকন্তু আল্লাহ প্রত্যেক প্রাণীর জন্য যে রিযক রেখেছেন, যদি তিনি নিজে ইচ্ছা করে বা রাগ করে পরিবর্তন না করেন তাহলে নির্ধারিত রিযক হাসিল না করা পর্যন্ত তার মৃত্যু হবে না। মানুষের এ বাস্তব জ্ঞানের অভাবের জন্য কোন কোন সময় রিযকের সংস্থানে বিলম্ব হলে অবৈধ ও হারাম পন্থায় রিযক লাভ করার চেষ্টা করে। তাতে সে তার ভাগ্যের নির্ধারিত রিযক থেকে বিন্দুমাত্র বেশি অর্জন করতে পারে না। শুধু আখিরাতকে বরবাদ করে। আল্লাহর আনুগত্যের মাধ্যমে বান্দা তার আকাঙ্ক্ষার চেয়ে অনেক বেশি লাভ করতে পারে। আনুগত্যের মাধ্যমে শুধু দুনিয়ার রিযক নয়, আখিরাতের রিযক, তাঁর অফুরন্ত নিয়ামত, রহমত এবং মাগফিরাত লাভ করতে পারে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)