মা'আরিফুল হাদীস
আখলাক অধ্যায়
হাদীস নং: ২০৭
আখলাক অধ্যায়
মিথ্যার কয়েকটি সূক্ষ্ম প্রকার
মিথ্যার কয়েকটি জঘন্য প্রকারের উল্লেখ তো উপরে করা হয়েছে। কিন্তু কোন কোন মিথ্যা এমনও হয়ে থাকে, যেগুলোকে অনেক মানুষ মিথ্যাই মনে করে না, অথচ এগুলোও মিথ্যারই অন্তর্ভুক্ত এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ এগুলো থেকেও বেঁচে থাকার জোর নির্দেশ দিয়েছেন। নিম্নের হাদীসগুলোতে মিথ্যার এ প্রকারের কিছুটা আলোচনা রয়েছে-
সব মিথ্যাই আমলনামায় উঠে
মিথ্যার কয়েকটি জঘন্য প্রকারের উল্লেখ তো উপরে করা হয়েছে। কিন্তু কোন কোন মিথ্যা এমনও হয়ে থাকে, যেগুলোকে অনেক মানুষ মিথ্যাই মনে করে না, অথচ এগুলোও মিথ্যারই অন্তর্ভুক্ত এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ এগুলো থেকেও বেঁচে থাকার জোর নির্দেশ দিয়েছেন। নিম্নের হাদীসগুলোতে মিথ্যার এ প্রকারের কিছুটা আলোচনা রয়েছে-
সব মিথ্যাই আমলনামায় উঠে
২০৭. হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমের (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন নবী ﷺ আমাদের ঘরে বসেছিলেন, আমার মা আমাকে ডাকলেন এবং বললেন, আস তোমাকে কিছু দিব। নবী ﷺ তাকে বললেন: তাকে তুমি কি দিতে চেয়েছ? আমার মা বললেন, আমি তাকে খেজুর দিতে ইচ্ছা করেছি। নবী ﷺ তাকে বললেন: সাবধান, যদি তুমি তাকে কিছু না দিতে, তাহলে তোমার আমলনামায় একটা মিথ্যা লিখা হতো। (আবু দাউদ ও বায়হাকীঃ শুয়াবুল ঈমান)
کتاب الاخلاق
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرٍ قَالَ : دَعَتْنِي أُمِّي يَوْمًا وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَاعِدٌ فِي بَيْتِنَا ، فَقَالَتْ : هَا تَعَالَ أُعْطِيكَ ، فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « مَا أَرَدْتِ أَنْ تُعْطِيهِ؟ » قَالَتْ : أَرَدْتُّ اَنْ أُعْطِيَهُ تَمَرًا ، فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « أَمَا إِنَّكِ لَوْ لَمْ تُعْطِهِ شَيْئًا كُتِبَتْ عَلَيْكِ كِذْبَةٌ » (رواه ابو داؤد والبيهقى فى شعب الايمان)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
বাচ্চাদের সাথে হাসি-তামাশা বা খেলার ছলেও মিথ্যা বলা অনুচিত। ছেলেমেয়েরা পিতামাতাকে অনুসরণ করে। তাদের সাথে হাসি-তামাশার ছলেও মিথ্যা কথা বললে তারা মিথ্যা শিখবে এবং ধীরে ধীরে তাদের মিথ্যা বলা অভ্যাস হয়ে দাঁড়াবে। এভাবে শিশুদেরকে মিথ্যা শিখানোর জন্য পিতামাতার গুনাহ হবে। ছোটদেরকে কোন কিছু দেয়ার কথা বলে তা তাদেরকে না দেয়াও এক ধরনের ওয়াদা খেলাফী। তাই নবী ﷺ শিশুদের সাথে মিথ্যা বলতে বারণ করেছেন।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)