মা'আরিফুল হাদীস

আখলাক অধ্যায়

হাদীস নং: ২০৫
আখলাক অধ্যায়
হলফের দ্বারা অন্যের সামান্য হক নষ্টকারী দোযখী
২০৫. হযরত আশআছ ইবনে কায়েস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি মিথ্যা কসম খেয়ে কারো সম্পদ মেরে দেয়, সে কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত অবস্থায় আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবে। -আবূ দাউদ
کتاب الاخلاق
عَنِ الْأَشْعَثِ بْنِ قَيْسٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « لَا يَقْتَطِعُ أَحَدٌ مَالًا بِيَمِينٍ ، إِلَّا لَقِيَ اللَّهَ وَهُوَ أَجْذَمُ » (رواه ابو داؤد)

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ তিনটি হাদীসেই ঐ ব্যক্তির পরিণাম বর্ণনা করা হয়েছে, যে কোন মামলা ও বিচারে মিথ্যা কসম খেয়ে অন্য পক্ষের সম্পদ মেরে দেয়। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ বর্ণিত এক হাদীসে বলা হয়েছে যে, কেয়ামতের দিন যখন তাকে আল্লাহর দরবারে হাজির করা হবে, তখন তার উপর আল্লাহর প্রচণ্ড ক্রোধ থাকবে। আবু উমামা বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে যে, এমন ব্যক্তির জন্য জান্নাত হারাম এবং জাহান্নামই তার আবাস হিসাবে অবধারিত। আর আশআছ ইবনে কায়েস বর্ণিত এ হাদীসটিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এমন ব্যক্তি কেয়ামতের দিন কুষ্ঠাক্রান্ত হয়ে আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হবে। আল্লাহর আশ্রয় চাই! কী ভীষণ এ শাস্তিত্রয়। আর এগুলোর মধ্যে কোন বৈপরীত্য নেই। তাই এ ব্যক্তি যদি এ বিরাট পাপ থেকে তওবা করে পবিত্র হয়ে দুনিয়া থেকে না যায়, তাহলে এ হাদীসসমূহের চাহিদা এটাই যে, তার সামনে এসব শাস্তি আসবেই এবং এর সবগুলোই তাকে ভোগ করতে হবে।

বাস্তব সত্য এই যে, কোন বিচারকের আদালতে আল্লাহর নামে শপথ করে এবং আল্লাহকে নিজের সাক্ষী বানিয়ে মিথ্যা বলা এবং কোন বান্দার সম্পদ মেরে খাওয়ার জন্য অথবা তাকে বেইজ্জতি করার জন্য আল্লাহর পবিত্র নাম ব্যবহার করা আসলেই এমন বিরাট গুনাহ্ যে, এর শাস্তি যত কঠিনই দেওয়া হোক, যথার্থ সেটাই।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান