মা'আরিফুল হাদীস
আখলাক অধ্যায়
হাদীস নং: ১১৮
আখলাক অধ্যায়
দান ও কৃপণতা: বখিল আবিদের চেয়ে মূর্খ দানশীলের মরতবা বেশি
১১৮. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেছেন: দানশীল ব্যক্তি আল্লাহর নিকটবর্তী, মানুষের নিকটবর্তী, জান্নাতের নিকটবর্তী এবং দোযখ থেকে দূরবর্তী। বখিল ব্যক্তি আল্লাহ থেকে দূরে, মানুষ থেকে দূরে, জান্নাত থেকে দূরে এবং দোযখের নিকটে। একজন বখিল আবিদের চেয়ে একজন মূর্খ দানশীল ব্যক্তি আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়। (তিরমিযী)
کتاب الاخلاق
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « السَّخِيُّ قَرِيبٌ مِنَ اللَّهِ قَرِيبٌ مِنَ الجَنَّةِ قَرِيبٌ مِنَ النَّاسِ بَعِيدٌ مِنَ النَّارِ ، وَالبَخِيلُ بَعِيدٌ مِنَ اللَّهِ بَعِيدٌ مِنَ الجَنَّةِ بَعِيدٌ مِنَ النَّاسِ قَرِيبٌ مِنَ النَّارِ ، وَالْجَاهِلُ السَّخِيُّ أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ مِنْ عَابِدٍ بَخِيلٍ » (رواه الترمذى)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
দানশীল ব্যক্তি দুনিয়া ও আখিরাতে কামিয়াব। মানুষ দুনিয়াতে সখী (দানশীল) ব্যক্তিকে শ্রদ্ধা করে এবং তার মঙ্গলের জন্য আল্লাহর দরবারে তারা দু'আ করে। আল্লাহ সখী ব্যক্তিকে ভালবাসেন। তাই তিনি তাকে কিয়ামতের দিন চূড়ান্ত সফলতা দান করবেন। তার দুনিয়ার কাজের প্রতিদান হিসেবে তাকে জান্নাত দান করবেন।
বখিল ব্যক্তির দুনিয়া ও আখিরাত ব্যর্থ। কৃপণতার কারণে দুনিয়ার যিন্দেগীতে সে সম্পদ উপভোগ করতে পারে না, সম্পদের দ্বারা কোনরূপ আরাম-আয়েশ করাও তার ভাগ্যে জোটে না। কৃপণ ব্যক্তি আত্মীয়-স্বজন, গরীব-মিসকীন, পাড়া-প্রতিবেশী, এমনকি নিজের পরিবার-পরিজনের অত্যন্ত প্রয়োজনের সময়ও কোন অর্থ ব্যয় করে না। তাই দুনিয়ার তামাম মানুষ তাকে ঘৃণা করে, গরীব-মিসকীনরা তার জন্য বদদু'আ করে। কৃপণ ব্যক্তি কোন সৎকর্মে অর্থব্যয় করে না। আল্লাহর বান্দাদের অভাব মোচন করার জন্য সে চেষ্টা করে না, সে আল্লাহর রাস্তায় কোনরূপ খরচ করে না। তাই আল্লাহ কৃপণ ব্যক্তিকে অপসন্দ করেন। আল্লাহ যাকে অপসন্দ করেন সে জান্নাত থেকে দূরে এবং জাহান্নামের নিকটে থাকে।
আবিদ বা ইবাদতকারীর মর্যাদাও আল্লাহর নিকট খুব বেশি। আবিদ ব্যক্তি দিনরাত আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকেন। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তিনি দুনিয়ার ভালবাসা থেকে নিজেকে দূরে রাখেন। আখিরাতের কামিয়াবীর মহব্বতে দিনরাত পরিশ্রম করেন। আল্লাহ আবিদকে মহব্বত করেন। কিন্তু এহেন আবিদ ব্যক্তিও যদি কৃপণতার দোষে দোষী হন, তিনি আল্লাহর কাছে যথাযথ মর্যাদা পেতে ব্যর্থ হবেন। তার তুলনায় একজন মূর্খ সখী ব্যক্তি যিনি দান-খয়রাত করেছেন, কিন্তু জ্ঞান না থাকার কারণে ইবাদতের অন্যান্য শাখায় তেমন কিছু করতে পারেননি, তিনি অধিক মর্যাদা লাভ করবেন।
বখিল ব্যক্তির দুনিয়া ও আখিরাত ব্যর্থ। কৃপণতার কারণে দুনিয়ার যিন্দেগীতে সে সম্পদ উপভোগ করতে পারে না, সম্পদের দ্বারা কোনরূপ আরাম-আয়েশ করাও তার ভাগ্যে জোটে না। কৃপণ ব্যক্তি আত্মীয়-স্বজন, গরীব-মিসকীন, পাড়া-প্রতিবেশী, এমনকি নিজের পরিবার-পরিজনের অত্যন্ত প্রয়োজনের সময়ও কোন অর্থ ব্যয় করে না। তাই দুনিয়ার তামাম মানুষ তাকে ঘৃণা করে, গরীব-মিসকীনরা তার জন্য বদদু'আ করে। কৃপণ ব্যক্তি কোন সৎকর্মে অর্থব্যয় করে না। আল্লাহর বান্দাদের অভাব মোচন করার জন্য সে চেষ্টা করে না, সে আল্লাহর রাস্তায় কোনরূপ খরচ করে না। তাই আল্লাহ কৃপণ ব্যক্তিকে অপসন্দ করেন। আল্লাহ যাকে অপসন্দ করেন সে জান্নাত থেকে দূরে এবং জাহান্নামের নিকটে থাকে।
আবিদ বা ইবাদতকারীর মর্যাদাও আল্লাহর নিকট খুব বেশি। আবিদ ব্যক্তি দিনরাত আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকেন। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তিনি দুনিয়ার ভালবাসা থেকে নিজেকে দূরে রাখেন। আখিরাতের কামিয়াবীর মহব্বতে দিনরাত পরিশ্রম করেন। আল্লাহ আবিদকে মহব্বত করেন। কিন্তু এহেন আবিদ ব্যক্তিও যদি কৃপণতার দোষে দোষী হন, তিনি আল্লাহর কাছে যথাযথ মর্যাদা পেতে ব্যর্থ হবেন। তার তুলনায় একজন মূর্খ সখী ব্যক্তি যিনি দান-খয়রাত করেছেন, কিন্তু জ্ঞান না থাকার কারণে ইবাদতের অন্যান্য শাখায় তেমন কিছু করতে পারেননি, তিনি অধিক মর্যাদা লাভ করবেন।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)