মা'আরিফুল হাদীস
আখলাক অধ্যায়
হাদীস নং: ১১৭
আখলাক অধ্যায়
হৃদয়ের কঠোরতা দূরীকরণের উপায়
১১৭. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি তার নিজের হৃদয়ের কঠোরতা সম্পর্কে আল্লাহর নবী ﷺ-এর কাছে অভিযোগ করলে তিনি বললেন: ইয়াতীমের মাথায় হাত বুলাও এবং মিসকীনদের খাবার দাও। (মুসনাদে আহমদ)
کتاب الاخلاق
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَجُلًا شَكَا إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَسْوَةَ قَلْبِهِ ، فَقَالَ : " امْسَحْ رَأْسَ الْيَتِيمِ ، وَأَطْعِمِ الْمِسْكِينَ " (رواه احمد)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হৃদয়ের কঠোরতা এক ধরনের মানসিক রোগ। এ ব্যধি মানুষকে সহজে আক্রমণ করতে পারে, কিন্তু মানুষ তা সহজে উপলব্ধি করতে পারে না। কোন কোন সময় উপলব্ধি করতে পারলেও তার অপকারিতা সম্পর্কে সঠিক আন্দাজ সে করতে পারে না। ফলে এ মারাত্মক রোগের প্রায়ই চিকিৎসা হয় না। ধীরে ধীরে রোগ বৃদ্ধি পায় এবং রোগীকে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত করে।
এ মারাত্মক রোগ দূর করার জন্য আল্লাহর রাসূল ﷺ ইয়াতীমকে ভালবাসতে বলেছেন। ইয়াতীমের মাথায় হাত বুলানোর অর্থ হল তাকে স্নেহ-মমতা করা, তার সাথে নরম ব্যবহার করা, তার হক আত্মসাৎ না করা, তার অভাব-অভিযোগ দূর করা, তার প্রয়োজন পূরণ করা ইত্যাদি। মিসকীনদেরকে খাওয়ানোর কথাও বলা হয়েছে। যে ব্যক্তি এ দুটো কাজ করে, সে মূলত প্রশস্ত মনের অধিকারী। মানুষের প্রতি ভালবাসা না থাকলে কোন মানুষ অন্যের উপকার করতে পারে না। তাই যে এ দুটো কাজ কর্তব্য জ্ঞান করে করতে থাকবে, আল্লাহ তার মনে মানুষের জন্য স্নেহ-মমতা সৃষ্টি করে দিবেন এবং অন্তরে অন্যের জন্য স্নেহ-মমতা সৃষ্টি হওয়ার অর্থ হল অন্তরের কঠোরতা দূর হওয়া।
এ মারাত্মক রোগ দূর করার জন্য আল্লাহর রাসূল ﷺ ইয়াতীমকে ভালবাসতে বলেছেন। ইয়াতীমের মাথায় হাত বুলানোর অর্থ হল তাকে স্নেহ-মমতা করা, তার সাথে নরম ব্যবহার করা, তার হক আত্মসাৎ না করা, তার অভাব-অভিযোগ দূর করা, তার প্রয়োজন পূরণ করা ইত্যাদি। মিসকীনদেরকে খাওয়ানোর কথাও বলা হয়েছে। যে ব্যক্তি এ দুটো কাজ করে, সে মূলত প্রশস্ত মনের অধিকারী। মানুষের প্রতি ভালবাসা না থাকলে কোন মানুষ অন্যের উপকার করতে পারে না। তাই যে এ দুটো কাজ কর্তব্য জ্ঞান করে করতে থাকবে, আল্লাহ তার মনে মানুষের জন্য স্নেহ-মমতা সৃষ্টি করে দিবেন এবং অন্তরে অন্যের জন্য স্নেহ-মমতা সৃষ্টি হওয়ার অর্থ হল অন্তরের কঠোরতা দূর হওয়া।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)