মা'আরিফুল হাদীস
রিকাক অধ্যায়
হাদীস নং: ৩০
রিকাক অধ্যায়
আল্লাহর যিকির ও দাওয়াত ছাড়া দুনিয়া অভিশপ্ত
৩০. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: সাবধান আল্লাহর যিকির, তাঁর বন্ধুত্ব ও সম্পর্কিত বিষয় এবং দীনি জ্ঞানের শিক্ষক ও শিক্ষা গ্রহণকারী ব্যতীত দুনিয়া ও তার যাবতীয় বস্তু অভিশপ্ত ও আল্লাহর রহমত বঞ্চিত। (তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ)
کتاب الرقاق
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، اَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : أَلاَ إِنَّ الدُّنْيَا مَلْعُونَةٌ مَلْعُونٌ مَا فِيهَا إِلاَّ ذِكْرُ اللهِ وَمَا وَالاَهُ وَعَالِمٌ أَوْ مُتَعَلِّمٌ . (رواه الترمذى وابن ماجه)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
দুনিয়া ও এর যাবতীয় বস্তুর আকর্ষণ খুব প্রবল, তার আকর্ষণে যারা সাড়া দেয় ও ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার ততোধিক ক্ষণস্থায়ী আরাম-আয়েশের উপায়-উপাদান আহরণে যাবতীয় যোগ্যতা নিয়োগ করে, তারা বস্তুত মহাভুল করে থাকে। শয়তান শঙ্কা ও সংঘাতময় পৃথিবীকে তাদের সামনে মনোরম আর আল্লাহ ও রাসূলের তরীকা মোতাবিক জীবনকে খুব কঠিন হিসেবে পেশ করে।
আল্লাহ দুনিয়া এবং এর যাবতীয় বস্তুর স্রষ্টা। গুণগত ও সৃষ্টিগত দিক থেকে দুনিয়ার কোন উপাদান অপ্রয়োজনীয় ও গুরুত্বহীন নয়। প্রত্যেক বস্তু স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল ও ভরপুর। এসব আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এক মহান উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য তৈরি করেছেন। আল্লাহর নির্দেশিত সীমার মধ্যে থেকে তাঁর বান্দাদের কল্যাণ এবং তাঁর নাম ও মহিমা বুলন্দ করার জন্য এগুলো ব্যবহার করার মধ্যে কোনরূপ আপত্তি নেই; বরং তাতে রয়েছে স্রষ্টার সন্তুষ্টি এবং দুনিয়া ও আখিরাতের কামিয়াবী।
এর বিপরীত কাজে আল্লাহর সৃষ্ট কোন উপায়-উপকরণ যখন কেউ ব্যবহার করে, তখন আল্লাহ নারাজ হন। বলাবাহুল্য, আল্লাহর অসন্তুষ্টি ও তাঁর রহমত এক স্থানে একত্র হতে পারে না।
আল্লাহর নিকট কোন জিনিস গুরুত্বপূর্ণ তার উল্লেখও হাদীসে রয়েছে। আল্লাহর যিকির সর্বাধিক গুরুত্বের অধিকারী। আমাদের দেশে যিকির যে অর্থে ব্যবহৃত হয়, সে অর্থে এখানে ব্যবহার করা হয়নি। যিকিরের অর্থ শুধু কয়েকটা নাম উচ্চারণ নয়, যিকিরের অভিধানিক অর্থ হচ্ছে স্বরণ। তাই যেসব পদ্ধতি ও উপায়ে আল্লাহকে স্মরণ করা যায়, তার সবকিছুই তাতে শামিল রয়েছে। আল্লাহর মহিমা, কুদরত, ক্ষমতা, সিফাত ও ইখতিয়ার প্রভৃতি সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করা, তাঁর কুরআন পাঠ করা, তাঁর হুকুম-আহকামের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করা, তাঁর হুকুম-আহকাম কিভাবে সমাজে কার্যকরী করা যায়, সে সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করা ও বাস্তব কর্মসূচী প্রণয়ন করা প্রভৃতি যিকিরের সাথে শামিল।
দীনী জ্ঞানার্জন ও তা মানুষের কাছে পৌছে দেয়া খুবই মহান ও অত্যাবশ্যক কাজ। এর জন্য আল্লাহ যুগে যুগে আম্বিয়ায়ে কিরাম (আ) প্রেরণ করেছেন। তাঁদের তিরোধানের পর এর যিম্মাদারী তাঁর উম্মতের। আমাদের সমাজের যাবতীয় ত্রুটির অবসান এর মধ্যে রয়েছে এবং প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার নিজস্ব সীমার মধ্যে এ কাজ অবশ্যই করতে হবে। অন্যথায় আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অসন্তুষ্টির সমূহ আশঙ্কা রয়েছে।
আল্লাহ দুনিয়া এবং এর যাবতীয় বস্তুর স্রষ্টা। গুণগত ও সৃষ্টিগত দিক থেকে দুনিয়ার কোন উপাদান অপ্রয়োজনীয় ও গুরুত্বহীন নয়। প্রত্যেক বস্তু স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল ও ভরপুর। এসব আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এক মহান উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য তৈরি করেছেন। আল্লাহর নির্দেশিত সীমার মধ্যে থেকে তাঁর বান্দাদের কল্যাণ এবং তাঁর নাম ও মহিমা বুলন্দ করার জন্য এগুলো ব্যবহার করার মধ্যে কোনরূপ আপত্তি নেই; বরং তাতে রয়েছে স্রষ্টার সন্তুষ্টি এবং দুনিয়া ও আখিরাতের কামিয়াবী।
এর বিপরীত কাজে আল্লাহর সৃষ্ট কোন উপায়-উপকরণ যখন কেউ ব্যবহার করে, তখন আল্লাহ নারাজ হন। বলাবাহুল্য, আল্লাহর অসন্তুষ্টি ও তাঁর রহমত এক স্থানে একত্র হতে পারে না।
আল্লাহর নিকট কোন জিনিস গুরুত্বপূর্ণ তার উল্লেখও হাদীসে রয়েছে। আল্লাহর যিকির সর্বাধিক গুরুত্বের অধিকারী। আমাদের দেশে যিকির যে অর্থে ব্যবহৃত হয়, সে অর্থে এখানে ব্যবহার করা হয়নি। যিকিরের অর্থ শুধু কয়েকটা নাম উচ্চারণ নয়, যিকিরের অভিধানিক অর্থ হচ্ছে স্বরণ। তাই যেসব পদ্ধতি ও উপায়ে আল্লাহকে স্মরণ করা যায়, তার সবকিছুই তাতে শামিল রয়েছে। আল্লাহর মহিমা, কুদরত, ক্ষমতা, সিফাত ও ইখতিয়ার প্রভৃতি সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করা, তাঁর কুরআন পাঠ করা, তাঁর হুকুম-আহকামের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করা, তাঁর হুকুম-আহকাম কিভাবে সমাজে কার্যকরী করা যায়, সে সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করা ও বাস্তব কর্মসূচী প্রণয়ন করা প্রভৃতি যিকিরের সাথে শামিল।
দীনী জ্ঞানার্জন ও তা মানুষের কাছে পৌছে দেয়া খুবই মহান ও অত্যাবশ্যক কাজ। এর জন্য আল্লাহ যুগে যুগে আম্বিয়ায়ে কিরাম (আ) প্রেরণ করেছেন। তাঁদের তিরোধানের পর এর যিম্মাদারী তাঁর উম্মতের। আমাদের সমাজের যাবতীয় ত্রুটির অবসান এর মধ্যে রয়েছে এবং প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার নিজস্ব সীমার মধ্যে এ কাজ অবশ্যই করতে হবে। অন্যথায় আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অসন্তুষ্টির সমূহ আশঙ্কা রয়েছে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)