মা'আরিফুল হাদীস
রিকাক অধ্যায়
হাদীস নং: ২৮
রিকাক অধ্যায়
দুনিয়া মু'মিনের বন্দীশালা এবং কাফিরের জান্নাত
২৮. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, দুনিয়া মু'মিনের বন্দীশালা এবং কাফিরের জান্নাত। (মুসলিম)
کتاب الرقاق
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « الدُّنْيَا سِجْنُ الْمُؤْمِنِ ، وَجَنَّةُ الْكَافِرِ » (رواه مسلم)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
বন্দীখানার মানুষ কখনো স্বাধীন নয়। বন্দী জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত অন্যের হুকুমের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। যখন যে হুকুম করা হয়, তখন সে হুকুম বন্দীদের পালন করতে হয়। বন্দী কখনো এ কথা বলতে পারে না যে, সে জেল কর্তৃপক্ষের হুকুম মানবে না। দুনিয়ার জীবনও মু'মিনের জন্য কারাগারের অনুরূপ। মন যা চায় তা মু'মিন করতে পারে না। প্রবৃত্তির প্রত্যেক হুকুমকে সে পরখ করে দেখে। আল্লাহর হুকুমের বিপরীত প্রবৃত্তির হুকুম সে মানতে পারে না। প্রবৃত্তির প্রলোভন যত প্রবল হোক না কেন, মু'মিন ব্যক্তি তা প্রত্যাখ্যান করে প্রগাঢ় প্রত্যয়ের পরিচয় দেন।
জান্নাতে কোন কাজ নিয়ন্ত্রিত নয়। মানুষের কোন কামনা অপূর্ণ থাকবে না। নিয়ামতভরা জান্নাতের সর্বত্র সম্ভোগ, আরাম ও তৃপ্তি। জান্নাত হল জান্নাতবাসীদের স্থায়ী বাসস্থান। জান্নাতের আরাম-আয়েশ ছেড়ে জান্নাতী কখনো বাইরে যেতে চাইবে না। বন্দীগণ যেমন জেলখানাকে নিজেদের গৃহ মনে করে না এবং তাকে সুশোভিত করতে চায় না, বরং গৃহে ফিরে যাওয়ার জন্য সর্বদা তাদের মন ব্যাকুল থাকে, অনুরূপ মু'মিনগণ দুনিয়াকে নিজেদের স্থায়ী বাসস্থান মনে করতে পারে না। তাকে সুশোভিত করার চেস্টা করতে পারে না। বরং তাদের মন সদা নিয়ামত ভরা জান্নাতের জন্য ব্যাকুল থাকে। তারা জান্নাত লাভের জন্য দিন-রাত কঠিন প্রচেষ্টা করতেও কুণ্ঠিত হন না।
দুনিয়া কখনো জান্নাত বা জান্নাতের সহস্রাংশেরও সমতুল্য হতে পারে না। জান্নাতের সামান্য জিনিস দুনিয়ার রাজাধিরাজের পক্ষে আয়ত্ত করা সম্ভব নয়। দুনিয়াকে কাফিরদের জান্নাত বলার অর্থ হল, কাফিররা দুনিয়াকে জান্নাত মনে করে।
তারা তাদের জীবনকে আল্লাহর আইনের নিয়ন্ত্রণাধীন রাখে না। তারা দুনিয়ার জীবনকে উপভোগ করার সম্ভাব্য সকল পথ অবলম্বন করে থাকে। প্রবৃত্তির হুকুম মুতাবিক জীবন যাপন করে। আখিরাতের চিরন্তন বাসস্থানে বিশ্বাসী না হওয়ার কারণে তারা দুনিয়ার বাসস্থানকে সুন্দর ও সুশোভিত করার জন্য জীবনের যাবতীয় শক্তি ও যোগ্যতা নিয়োজিত করে থাকে। দুনিয়ার জীবন কিভাবে দীর্ঘায়িত করা যায়, সে চিন্তায় তারা দিনরাত অস্থির থাকে।
জান্নাতে কোন কাজ নিয়ন্ত্রিত নয়। মানুষের কোন কামনা অপূর্ণ থাকবে না। নিয়ামতভরা জান্নাতের সর্বত্র সম্ভোগ, আরাম ও তৃপ্তি। জান্নাত হল জান্নাতবাসীদের স্থায়ী বাসস্থান। জান্নাতের আরাম-আয়েশ ছেড়ে জান্নাতী কখনো বাইরে যেতে চাইবে না। বন্দীগণ যেমন জেলখানাকে নিজেদের গৃহ মনে করে না এবং তাকে সুশোভিত করতে চায় না, বরং গৃহে ফিরে যাওয়ার জন্য সর্বদা তাদের মন ব্যাকুল থাকে, অনুরূপ মু'মিনগণ দুনিয়াকে নিজেদের স্থায়ী বাসস্থান মনে করতে পারে না। তাকে সুশোভিত করার চেস্টা করতে পারে না। বরং তাদের মন সদা নিয়ামত ভরা জান্নাতের জন্য ব্যাকুল থাকে। তারা জান্নাত লাভের জন্য দিন-রাত কঠিন প্রচেষ্টা করতেও কুণ্ঠিত হন না।
দুনিয়া কখনো জান্নাত বা জান্নাতের সহস্রাংশেরও সমতুল্য হতে পারে না। জান্নাতের সামান্য জিনিস দুনিয়ার রাজাধিরাজের পক্ষে আয়ত্ত করা সম্ভব নয়। দুনিয়াকে কাফিরদের জান্নাত বলার অর্থ হল, কাফিররা দুনিয়াকে জান্নাত মনে করে।
তারা তাদের জীবনকে আল্লাহর আইনের নিয়ন্ত্রণাধীন রাখে না। তারা দুনিয়ার জীবনকে উপভোগ করার সম্ভাব্য সকল পথ অবলম্বন করে থাকে। প্রবৃত্তির হুকুম মুতাবিক জীবন যাপন করে। আখিরাতের চিরন্তন বাসস্থানে বিশ্বাসী না হওয়ার কারণে তারা দুনিয়ার বাসস্থানকে সুন্দর ও সুশোভিত করার জন্য জীবনের যাবতীয় শক্তি ও যোগ্যতা নিয়োজিত করে থাকে। দুনিয়ার জীবন কিভাবে দীর্ঘায়িত করা যায়, সে চিন্তায় তারা দিনরাত অস্থির থাকে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)