কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
৫. হজ্ব আদায়ের নিয়মাবলীর বিবরণ
হাদীস নং: ১৯১৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৯২১
৬২. আরাফার থেকে প্রত্যাবর্তন।
১৯১৯. আহমাদ ইবনে আব্দুল্লাহ্ ও মুহাম্মাদ ইবনে কাসীর (রাহঃ) ...... ইবরাহীম ইবনে উকবা (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে কুরায়ব বলেছেন যে, একদা তিনি উসামা ইবনে যায়দ (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করেনঃ আমাকে বলুন, আপনারা সেই সন্ধ্যায় কিরূপ করেছিলেন, যেদিন আপনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পশ্চাতে একই বাহনে সওয়ার ছিলেন? তখন জবাবে তিনি বলেন, আমরা সেই ঘাঁটিতে (স্থানে) গমন করি, যেখানে লোকেরা শেষ রাত্রিতে তাদের উট হতে আরামের উদ্দেশ্যে অবতরণ করতো।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সে স্থানে তাঁর উষ্ট্র বসিয়ে পেশাব করেন। আর (উসামা এ স্থানে) পানি প্রবাহের কথা বলেননি। অতঃপর তিনি ওযূর জন্য পানি চান এবং এমনভাবে ওযূ করেন, যা অসম্পূর্ণ ছিল। তখন আমি বলি হে আল্লাহর রাসুল! নামাযের সময় উপস্থিত (কাজেই আমরা কি নামায আদায় করব?) তখন জবাবে তিনি বলেন, নামায তোমার সম্মুখে, (অর্থাৎ আজকের দিনের নামায মুযদালিফায় গিয়ে আদায়ের নির্দেশ)।
রাবী বলেন, অতঃপর তিনি তাঁর বাহনে সওয়ার হন এবং মুযদালিফায় গিয়ে হাযির হন। অতঃপর তিনি সেখানে মাগরিবের নামায আদায় করেন। এ সময় লোকেরা তাদের উটগুলো স্ব-স্ব স্থানে বসায়, কিন্তু তাদের পৃষ্ঠ হতে মালপত্র নামাবার পূর্বেই এশার নামায আদায় করেন। অতঃপর লোকেরা স্ব-স্ব মালপত্র নামায়। রাবী মুহাম্মাদ বর্ণিত হাদীসে অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, আমি বলি, ঐসময় আপনারা কিরূপ করেছেন যখন আপনারা সকাল বেলায় উপনীত হন? (অর্থাৎ আপনারা মিনার দিকে রওয়ানা হন।)। তখন জবাবে তিনি বলেন, এ সময় তাঁর সওয়ারীর পশ্চাতে ফযল (রাযিঃ) সওয়ার ছিলেন এবং আমি কুরাইশদের সাথে পদব্রজে মিনার দিকে রওয়ানা হই।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সে স্থানে তাঁর উষ্ট্র বসিয়ে পেশাব করেন। আর (উসামা এ স্থানে) পানি প্রবাহের কথা বলেননি। অতঃপর তিনি ওযূর জন্য পানি চান এবং এমনভাবে ওযূ করেন, যা অসম্পূর্ণ ছিল। তখন আমি বলি হে আল্লাহর রাসুল! নামাযের সময় উপস্থিত (কাজেই আমরা কি নামায আদায় করব?) তখন জবাবে তিনি বলেন, নামায তোমার সম্মুখে, (অর্থাৎ আজকের দিনের নামায মুযদালিফায় গিয়ে আদায়ের নির্দেশ)।
রাবী বলেন, অতঃপর তিনি তাঁর বাহনে সওয়ার হন এবং মুযদালিফায় গিয়ে হাযির হন। অতঃপর তিনি সেখানে মাগরিবের নামায আদায় করেন। এ সময় লোকেরা তাদের উটগুলো স্ব-স্ব স্থানে বসায়, কিন্তু তাদের পৃষ্ঠ হতে মালপত্র নামাবার পূর্বেই এশার নামায আদায় করেন। অতঃপর লোকেরা স্ব-স্ব মালপত্র নামায়। রাবী মুহাম্মাদ বর্ণিত হাদীসে অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, আমি বলি, ঐসময় আপনারা কিরূপ করেছেন যখন আপনারা সকাল বেলায় উপনীত হন? (অর্থাৎ আপনারা মিনার দিকে রওয়ানা হন।)। তখন জবাবে তিনি বলেন, এ সময় তাঁর সওয়ারীর পশ্চাতে ফযল (রাযিঃ) সওয়ার ছিলেন এবং আমি কুরাইশদের সাথে পদব্রজে মিনার দিকে রওয়ানা হই।
باب الدَّفْعَةِ مِنْ عَرَفَةَ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، - وَهَذَا لَفْظُ حَدِيثِ زُهَيْرٍ - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عُقْبَةَ، أَخْبَرَنِي كُرَيْبٌ، أَنَّهُ سَأَلَ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ قُلْتُ أَخْبِرْنِي كَيْفَ، فَعَلْتُمْ - أَوْ صَنَعْتُمْ - عَشِيَّةَ رَدِفْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ جِئْنَا الشِّعْبَ الَّذِي يُنِيخُ النَّاسُ فِيهِ لِلْمُعَرَّسِ فَأَنَاخَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَاقَتَهُ ثُمَّ بَالَ - وَمَا قَالَ زُهَيْرٌ أَهْرَاقَ الْمَاءَ - ثُمَّ دَعَا بِالْوَضُوءِ فَتَوَضَّأَ وُضُوءًا لَيْسَ بِالْبَالِغِ جِدًّا قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ الصَّلاَةَ . قَالَ " الصَّلاَةُ أَمَامَكَ " . قَالَ فَرَكِبَ حَتَّى قَدِمْنَا الْمُزْدَلِفَةَ فَأَقَامَ الْمَغْرِبَ ثُمَّ أَنَاخَ النَّاسُ فِي مَنَازِلِهِمْ وَلَمْ يَحِلُّوا حَتَّى أَقَامَ الْعِشَاءَ وَصَلَّى ثُمَّ حَلَّ النَّاسُ . زَادَ مُحَمَّدٌ فِي حَدِيثِهِ قَالَ قُلْتُ كَيْفَ فَعَلْتُمْ حِينَ أَصْبَحْتُمْ قَالَ رَدِفَهُ الْفَضْلُ وَانْطَلَقْتُ أَنَا فِي سُبَّاقِ قُرَيْشٍ عَلَى رِجْلَىَّ .
