মা'আরিফুল হাদীস
ঈমান অধ্যায়
হাদীস নং: ৬৭
ঈমান অধ্যায়
তকদীর সম্পর্কিত তর্ক-বিতর্কে নবী করীম (ﷺ)-এর রাগ
৬৭. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা তাকদীর সম্পর্কে তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত ছিলাম, এই অবস্থায় নবী করীম (ﷺ) বের হয়ে আমাদের নিকট এলেন। এতে তিনি চরম রাগান্বিত হলেন। তাঁর চেহারা এমন লালবর্ণ ধারণ করল যে, মনে হতে লাগল তাঁর গণ্ডদেশে আনারের দানা ছড়ানো হয়েছে। অতঃপর তিনি বললেন : তোমাদের কি এ সম্পর্কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, আমাকে কি তমাদের কাছে এই পয়গাম দিয়ে পাঠানো হয়েছে (যে তাকদীরের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ নাজুক বিষয় নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত হব)। তোমাদের পূর্বের উম্মতগণ যখন এ সম্পবে পর্কে তর্ক-বিতর্ক করেছে, তখন তারা হালাক হয়েছে। আমি তোমাদেরকে কসম দিয়ে বলছি, আমি তোমাদেরকে কসম দিয়ে বলছি, তোমরা এ ব্যাপারে তর্ক-বিতর্ক করো না। -তিরমিযী
کتاب الایمان
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ نَتَنَازَعُ فِي القَدَرِ فَغَضِبَ حَتَّى احْمَرَّ وَجْهُهُ، حَتَّى كَأَنَّمَا فُقِئَ فِي وَجْنَتَيْهِ حُبُّ الرُّمَّانِ، فَقَالَ: أَبِهَذَا أُمِرْتُمْ أَمْ بِهَذَا أُرْسِلْتُ إِلَيْكُمْ؟ إِنَّمَا هَلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ حِينَ تَنَازَعُوا فِي هَذَا الأَمْرِ، عَزَمْتُ عَلَيْكُمْ أَلاَّ تَنَازَعُوا فِيهِ. (رواه الترمذى)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
ভাগ্যলিপি ও কদরের সমস্যা নিঃসন্দেহে কঠিন ও নাজুক ধরনের। তাই যদি কোন মুমিন ব্যক্তি এ সমস্যার গুঢ় রহস্য অনুধাবন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে তিনি যেন কোনরূপ তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত না হন। বরং তিনি যেন তার মনকে এভাবে প্রবোধ প্রদান করেন যে, আল্লাহর সত্যবাদী নবী এ সমস্যা সম্পর্কে যে বক্তব্য পেশ করেছেন তার উপর ঈমান আনা কর্তব্য।
তাকদিরের মসলা আল্লাহর সিফাতের সাথে সংশ্লিষ্ট বিধায় তা খুব কঠিন ও নাজুক হওয়া খুবই স্বাভাবিক। দুনিয়ার অনেক জিনিস এবং রহস্য সম্পর্কে আমাদের অনেকের জ্ঞান সীমিত। তাই নবী করীম (ﷺ) যা বর্ণনা করেছে তা অনুধাবন করতে যদি কেহ ব্যর্থ হন, তাহলে তার জন্য সঠিক পন্থা হল, নিজের অক্ষমতার স্বীকৃতি প্রদান করে রাসূলের বক্তব্যের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা।
যেহেতু তাকদীর সম্পর্কে আলোচনাকারীগণ আল্লাহর রাসূলের নিকট থেকে প্রত্যক্ষভাবে তালিম ও তরবিয়াত হাসিল করতেন তাই তাদেরকে এ ধরনের ভুল করতে দেখে তাদের উপর সম্ভবতঃ রাগান্বিত হয়েছিলেন।
তোমাদের পূর্বের উম্মতগণ যখন এ সম্পর্কে তর্কবিতর্ক করেছে তখন তারা হালাক হয়েছে বলে আল্লাহর রাসূল যে ইরশাদ করেছেন তার অর্থ হল, তারা গোমরাহীতে লিপ্ত হয়েছে। কুরআন ও হাদীসে বিভিন্নস্থানে গোমরাহী অর্থে 'হালাকাত' শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে আল্লাহর রাসূলের ইরশাদের অর্থ হল, পূর্ববর্তী উম্মতগণ যখন তকদীর সম্পর্কে তর্কে বিতর্কে লিপ্ত হয়েছে তখন তাদের গোমরাহী শুরু হয়েছে। ইতিহাস এ সাক্ষ্য দান করে যে, এ সমস্যা থেকেই উম্মতে মোহাম্মদীর এতেকাফী গুমরাহী শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, যদি কেহ মুমিন ব্যক্তির ন্যায় তকদিরের উপর পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করার পর শুধু অন্তরের প্রশান্তির জন্য তাকদীর সম্পর্কে প্রশ্ন করে, তাহলে তাতে কোন দোষ নেই।
তাকদিরের মসলা আল্লাহর সিফাতের সাথে সংশ্লিষ্ট বিধায় তা খুব কঠিন ও নাজুক হওয়া খুবই স্বাভাবিক। দুনিয়ার অনেক জিনিস এবং রহস্য সম্পর্কে আমাদের অনেকের জ্ঞান সীমিত। তাই নবী করীম (ﷺ) যা বর্ণনা করেছে তা অনুধাবন করতে যদি কেহ ব্যর্থ হন, তাহলে তার জন্য সঠিক পন্থা হল, নিজের অক্ষমতার স্বীকৃতি প্রদান করে রাসূলের বক্তব্যের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা।
যেহেতু তাকদীর সম্পর্কে আলোচনাকারীগণ আল্লাহর রাসূলের নিকট থেকে প্রত্যক্ষভাবে তালিম ও তরবিয়াত হাসিল করতেন তাই তাদেরকে এ ধরনের ভুল করতে দেখে তাদের উপর সম্ভবতঃ রাগান্বিত হয়েছিলেন।
তোমাদের পূর্বের উম্মতগণ যখন এ সম্পর্কে তর্কবিতর্ক করেছে তখন তারা হালাক হয়েছে বলে আল্লাহর রাসূল যে ইরশাদ করেছেন তার অর্থ হল, তারা গোমরাহীতে লিপ্ত হয়েছে। কুরআন ও হাদীসে বিভিন্নস্থানে গোমরাহী অর্থে 'হালাকাত' শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে আল্লাহর রাসূলের ইরশাদের অর্থ হল, পূর্ববর্তী উম্মতগণ যখন তকদীর সম্পর্কে তর্কে বিতর্কে লিপ্ত হয়েছে তখন তাদের গোমরাহী শুরু হয়েছে। ইতিহাস এ সাক্ষ্য দান করে যে, এ সমস্যা থেকেই উম্মতে মোহাম্মদীর এতেকাফী গুমরাহী শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, যদি কেহ মুমিন ব্যক্তির ন্যায় তকদিরের উপর পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করার পর শুধু অন্তরের প্রশান্তির জন্য তাকদীর সম্পর্কে প্রশ্ন করে, তাহলে তাতে কোন দোষ নেই।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)