মা'আরিফুল হাদীস
ঈমান অধ্যায়
হাদীস নং: ৩১
ঈমান অধ্যায়
ঈমানের স্বাদ
৩১. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যার মধ্যে তিনটি জিনিস রয়েছে সে ঈমানের স্বাদ লাভ করেছে। (এক) যাবতীয় জিনিসের চেয়ে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অধিক ভালবাসা। (দুই) শুধু আল্লাহর জন্য কোন ব্যক্তিকে ভালবাসা এবং (তিন) কুফরের দিকে প্রত্যাবর্তনকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার মত অপছন্দ করা।
کتاب الایمان
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " ثَلاَثٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ وَجَدَ حَلاَوَةَ الإِيمَانِ: أَنْ يَكُونَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا، وَأَنْ يُحِبَّ المَرْءَ لاَ يُحِبُّهُ إِلَّا لِلَّهِ، وَأَنْ يَكْرَهَ أَنْ يَعُودَ فِي الكُفْرِ كَمَا يَكْرَهُ أَنْ يُقْذَفَ فِي النَّارِ " (رواه البخارى و مسلم)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
আলোচ্য হাদীসের বিষয়বস্তু পূর্ববর্তী হাদীসেরই অনুরূপ। এ হাদীসে বলা হয়েছে যে, সে ব্যক্তি ঈমানের স্বাদ অর্জন করেছে যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ভালবাসায় নিজকে এমনভাবে নিমগ্ন করেছে যে, তার অন্তরে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের ভালবাসা সবচেয়ে অধিক। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ভালবাসা তাঁর অন্তরে এমন ভাবে ছেয়ে গিয়েছে যে, সে যখন অন্য কাউকে ভালবাসে এবং আল্লাহর দীন ইসলাম তার নিকট এত বেশী প্রিয় যে, তা থেকে ফিরে যাওয়াকে নিজের দেহকে আগুনে নিক্ষেপ করার সমতুল্য জ্ঞান করে।
বিঃ দ্রঃ আল্লাহকে ভালবাসার অর্থ শুধুমাত্র আল্লাহর সত্তাকে ভালবাসা নয় বরং তার গুণরাজি ও এখতিয়ারকেও ভালবাসা। যারা মূর্তি পূজা করে তারা আল্লাহর সত্তার সাথে শিরক করে। আমরা তাদের বিরোধী, আমরা তাদের শেরেকি কর্মকে ঘৃণা করি। যারা আল্লাহর আইনের বিপরীত আইন রচনা করে তারা আল্লাহর এখতিয়ারের সাথে শিরক করে এবং যারা আল্লাহর কোন গুণকে কোন ব্যক্তি বিশেষের প্রতি আরোপ করে তারা আল্লাহর সিফাতের সাথে শিরক করে। কিন্তু কুরআন হাদীসের জ্ঞানের অভাব বশতঃ অনেকে অজ্ঞাতসারে আল্লাহর সিফাত ও এখতিয়ারের সাথে শিরক করে। এরূপ অজ্ঞানতা থেকে আমাদের বেঁচে থাকা উচিত।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে ভালোবাসার অর্থ, তাঁর ব্যক্তিত্ব, নেতৃত্ব, তাঁর স্বভাব-চরিত্র, চাল-চলন, তাঁর পছন্দ-অপছন্দ, নিয়ম-নীতিকে শ্রদ্ধা করা, উত্তম বিবেচনা করা, নিজের জীবনে সেগুলো পূর্ণভাবে কার্যকর করা এবং নিঃসকোচে তার আনুগত্য করা।
প্রথমে উল্লেখিত বিষয়টি ভালভাবে কার্যকর করা হলে মুমিন ব্যক্তির অবস্থা এমন পর্যায়ে উন্নীত হয় যে, তার যাবতীয় কাজকর্ম ও সম্পর্কের উদ্দেশ্য হয় মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধান। তাঁর সামাজিক সম্পর্কের ভিত্তিও আল্লাহর সন্তুষ্টির উপর থাকে। রক্ত, গোত্র, বংশ, ভাষা বা দেশ তার কাছে অন্ধ মহব্বতের দাবী পেশ করতে পারে না, মুমিন ব্যক্তি এসবের ঊর্ধ্বে উঠে শুধুমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার জন্য আল্লাহর বান্দাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে বা বর্জন করে। সবল ঈমানের অধিকারী ব্যক্তির অন্তরের মধ্যে সর্বদা তৃপ্তি, শাস্তি ও আনন্দ বিরাজ করে। শয়তানী শক্তির পক্ষ থেকে যখনই তাকে চতুর্দিক হতে আক্রমণ করে যে, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের তুফান প্রবাহিত হয়, অর্থনৈতিক উপায় উপকরণ বন্ধ করে দেয়া হয় বা পৃথিবীর বুক থেকে তাকে সরিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়। তখনও সে সবর ও দৃঢ়তা অবলম্বন করে। আল্লাহ তার অন্তরে শান্তি ও ধৈর্য ঢেলে দেন এবং বিপদের আগুনের মধ্যে দাঁড়িয়েও তিনি কুফর ও বাতিল শক্তির সাথে সমঝোতা করে আরাম আয়েশের যিন্দিগী হাসিল করাকে নিছক বিড়ম্বনা এবং নিজেকে আগুনের মধ্যে নিক্ষেপ করার সমতুল্য মনে করেন।
বিঃ দ্রঃ আল্লাহকে ভালবাসার অর্থ শুধুমাত্র আল্লাহর সত্তাকে ভালবাসা নয় বরং তার গুণরাজি ও এখতিয়ারকেও ভালবাসা। যারা মূর্তি পূজা করে তারা আল্লাহর সত্তার সাথে শিরক করে। আমরা তাদের বিরোধী, আমরা তাদের শেরেকি কর্মকে ঘৃণা করি। যারা আল্লাহর আইনের বিপরীত আইন রচনা করে তারা আল্লাহর এখতিয়ারের সাথে শিরক করে এবং যারা আল্লাহর কোন গুণকে কোন ব্যক্তি বিশেষের প্রতি আরোপ করে তারা আল্লাহর সিফাতের সাথে শিরক করে। কিন্তু কুরআন হাদীসের জ্ঞানের অভাব বশতঃ অনেকে অজ্ঞাতসারে আল্লাহর সিফাত ও এখতিয়ারের সাথে শিরক করে। এরূপ অজ্ঞানতা থেকে আমাদের বেঁচে থাকা উচিত।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে ভালোবাসার অর্থ, তাঁর ব্যক্তিত্ব, নেতৃত্ব, তাঁর স্বভাব-চরিত্র, চাল-চলন, তাঁর পছন্দ-অপছন্দ, নিয়ম-নীতিকে শ্রদ্ধা করা, উত্তম বিবেচনা করা, নিজের জীবনে সেগুলো পূর্ণভাবে কার্যকর করা এবং নিঃসকোচে তার আনুগত্য করা।
প্রথমে উল্লেখিত বিষয়টি ভালভাবে কার্যকর করা হলে মুমিন ব্যক্তির অবস্থা এমন পর্যায়ে উন্নীত হয় যে, তার যাবতীয় কাজকর্ম ও সম্পর্কের উদ্দেশ্য হয় মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধান। তাঁর সামাজিক সম্পর্কের ভিত্তিও আল্লাহর সন্তুষ্টির উপর থাকে। রক্ত, গোত্র, বংশ, ভাষা বা দেশ তার কাছে অন্ধ মহব্বতের দাবী পেশ করতে পারে না, মুমিন ব্যক্তি এসবের ঊর্ধ্বে উঠে শুধুমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার জন্য আল্লাহর বান্দাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে বা বর্জন করে। সবল ঈমানের অধিকারী ব্যক্তির অন্তরের মধ্যে সর্বদা তৃপ্তি, শাস্তি ও আনন্দ বিরাজ করে। শয়তানী শক্তির পক্ষ থেকে যখনই তাকে চতুর্দিক হতে আক্রমণ করে যে, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের তুফান প্রবাহিত হয়, অর্থনৈতিক উপায় উপকরণ বন্ধ করে দেয়া হয় বা পৃথিবীর বুক থেকে তাকে সরিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়। তখনও সে সবর ও দৃঢ়তা অবলম্বন করে। আল্লাহ তার অন্তরে শান্তি ও ধৈর্য ঢেলে দেন এবং বিপদের আগুনের মধ্যে দাঁড়িয়েও তিনি কুফর ও বাতিল শক্তির সাথে সমঝোতা করে আরাম আয়েশের যিন্দিগী হাসিল করাকে নিছক বিড়ম্বনা এবং নিজেকে আগুনের মধ্যে নিক্ষেপ করার সমতুল্য মনে করেন।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)