মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা অধ্যায়

হাদীস নং:
কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা অধ্যায়
কিতাবের পঞ্চম ভাগ ভীতি প্রদর্শনবিষয়ক হাদিস সমূহ নিয়ে

অধ্যায় কবীরা ও অন্যান্য গুনাহের বর্ণনা

পরিচ্ছেদ: সাধারণ গুনাহ ও কবীরা গুনাহের বিষয়ে ভীতি প্রদর্শন এবং গুনাহকারীর উপর আল্লাহর ক্রোধ
৮. সামুরা ইবন জুন্দুব আল-গাযারী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অধিকাংশ সময়ই তাঁর সাথীদের জিজ্ঞেস করতেন, তোমাদের কেউ কোন স্বপ্ন দেখেছ কি? কেউ কোন স্বপ্ন দেখে থাকলে, সে তাঁর নিকট বলতো, যা আল্লাহ চাইতেন। একদিন সকালে তিনি বললেন, রাতে (স্বপ্নে) আমার নিকট দু'জন আগন্তুক (ফেরেশতা) এসে তারা আমাকে উঠায়। তারপর আমাকে বলে: চলুন! আমি তাদের সাথে চললাম। তখন আমরা ঘুমন্ত এক ব্যক্তির কাছে এসে পৌছলাম। অপর একজন তার নিকট পাথর হাতে দাঁড়ান। সে তার মাথা লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করছে। এতে তার মাথা ফেটে যাচ্ছে। আর পাথর অনেক নিচে গিয়ে পতিত হচ্ছে। সে পুনরায় পাথরের পেছনে পেছনে গিয়ে পাথরটি নিয়ে ফিরে আসতে না আসতেই তার মাথা পূর্বেও ন্যায় ভাল হয়ে যাচ্ছে। ফিরে এসে সে প্রথমে যেরূপ করেছিল আবার অনুরূপ আচরণ করে। আমি ফেরেশতাদ্বয়কে জিজ্ঞেস করলাম, সুবহানাল্লাহ! বলুন, এরা কারা? তারা বললেন, সামনে চলুন। আমরা সামনে অগ্রসর হয়ে এক লোককে দেখতে পেলাম। সে চিত হয়ে শুয়ে ছিল। আর একজন তার নিকট লোহার সাঁড়াশী হাতে দাঁড়ান ছিল। সে তা দ্বারা একের পর এক তার মুখমণ্ডলের একাংশ চিরে গলার পেছন পর্যন্ত নিয়ে যেত। অনুরূপ তার নাসারন্ধ্র চিরে পেছন পর্যন্ত নিয়ে যেত। তিনি বলেন, অপর দিকে কাটা শেষ না হতেই প্রথম দিকটি পূর্বের ন্যায় ভাল হয়ে যেত। এভাবে বার বার ঐরূপ করছিল, যেরূপ প্রথম করেছিল। আমি বললাম, সুবহানাল্লাহ। বলুন এরা কারা? তারা বললেন, সামনে চলুন। এরপর সামনে চলে আমরা একটি (রুটি তৈরীর) চুলার নিকট গিয়ে পৌঁছলাম, আউফ (রা) বলেন, আমার মনে হয় তিনি বলেছিলেন, আমি সেখানে শোর গোলের শব্দ শুনতে পেলাম। আমরা তাতে উঁকি মেরে বেশ কিছু উলঙ্গ নারী-পুরুষকে তার মাঝে দেখতে পেলাম। যাদের নীচ থেকে আগুনের লেলিহান শিখা তাদের স্পর্শ করছিল। আগুনের আওতায় আসলেই তারা উচ্চস্বরে চিৎকার করে উঠতো। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এরা কারা? তারা বললেন, সামনে চলুন। সামনে অগ্রসর হয়ে আমরা একটি নহরের নিকট পৌঁছলাম। আমার যতদুর মনে পড়ে, তিনি বলেছিলেন, সেটি ছিল লাল রক্তের ন্যায়। নহরে একজনকে সাঁতরাতে দেখলাম। নহরের পাড়ে একজন লোক দাঁড়িয়ে ছিল। যার নিকট ছিল অসংখ্য পাথরের এক স্তূপ। সাঁতারকারী লোকটি সাঁতার শেষ করে যার নিকট পাথরের স্তূপ ছিল, তার নিকট এসে মুখ খুলে দিত। আর সে তার মুখে একটি পাথর নিক্ষেপ করতে। তারপর সে সাঁতরাতে চলে যেত। সাঁতরায়ে ফিরে এসে বার বার মুখ খুলে দিত। আর ঐ লোকটি তার মুখে পাথর নিক্ষেপ করতো। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এরা কারা? তারা বললেন, সামনে চলুন। আমরা সামনে অগ্রসর হয়ে একজন বীভৎস চেহারার লোক দেখতে পেলাম। যেরূপ তোমরা কোন বীভৎস চেহারার লোক দেখে থাক। তার নিকট ছিল আগুন। সে আগুন জ্বালাচ্ছিল ও তার চতুর্দিকে দৌড়াচ্ছিল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এ লোক কে? তারা বললেন, সামনে চলুন। সামনে আমরা এক ঘন সন্নিবিষ্ট বাগানে উপনীত হলাম। বাগানটি বসন্তের হরেক রকম ফুলে সুশোভিত ছিল, বাগানের মাঝে ছিল একজন লোক। যার আকৃতি এতখানি দীর্ঘকায় ছিল, আমরা তার মাথা দেখতে পাচ্ছিলাম না। তার চারপাশে বিপুলসংখ্যক বালক ছিল, যেরূপ আর কখনও আমি দেখিনি। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এ লোক কে? আর এরাই বা কারা? তারা বললেন, সামনে চলুন, সামনে চলুন। অবশেষে আমরা এক বিরাট বাগানে গিয়ে উপনীত হলাম। এরূপ বড় ও সুন্দর বাগান আর আমি কখনও দেখিনি। তারা আমাকে বললেন, এর উপর আরোহণ করুন। আমরা তাতে আরোহণ করলে এক শহর আমাদের নজরে পড়লো। সেটি ছিল সোনা ও রূপার ইট দিয়ে তৈরী। আমরা ঐ শহরের দরজায় পৌঁছলাম। দরজা খুলতে বললে আমাদের জন্য দরজা খুলে দেয়া হলো। ভেতরে প্রবেশ করে আমরা কিছু লোকের দেখা পেলাম, যাদের শরীরের অর্ধেক খুবই সৌন্দর্যমন্ডিত ছিল। যেরূপ তোমরা খুব সুন্দর কাউকে দেখে থাক। আর অর্ধেক ছিল খুবই কদাকার। যেরূপ তোমরা খুব কদাকার কাউকে দেখে থাক। তারা উভয়ে ঐ লোকদের উদ্দেশ্যে বললেন, যাও, তোমরা এ ঝর্ণায় নেমে পড়। দেখা গেল প্রস্থের দিকে লম্বা প্রবাহমান একটি ঝর্ণা রয়েছে। তার পানি ছিল সম্পূর্ণ সাদা। তারা গেল এবং তাতে নেমে পড়লো। তারপর তারা আমাদের নিকট ফিরে আসলে দেখা গেল, তাদের কদাকৃতি দুর হয়ে গিয়েছে। এক্ষণে তারা খুব সুন্দর আকৃতিবিশিষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফেরেশতাদ্বয় আমাকে বললেন, এটাই 'আদন' নামক বেহশত। এটাই আপনার বাসস্থান। আমি উপরের দিকে তাকালাম। দেখলাম ধবধবে সাদা মেঘের ন্যায় এক অট্টালিকা। তারা আমাকে জানাল, এটাই আপনার প্রাসাদ। আমি বললাম, আল্লাহ আপনাদের উভয়ের কল্যাণ করুন! আমাকে ছেড়ে দিন আমি এতে প্রবেশ করব। তারা বললেন, এখন নয়, তবে এতে আপনি অবশ্যই প্রবেশ করবেন। আমি তাদের বললাম, সারারাত ধরে আমি অনেক অনেক আশ্চর্য জিনিস প্রত্যক্ষ করলাম। এগুলোর তাৎপর্য কি? তারা উত্তরে বললেন, এক্ষণে আমরা তা আপনাকে জানাব। প্রথম যে ব্যক্তির নিকট আপনি গিয়েছেন, যার মাথা পাথর মেরে মেরে চৌচির করা হচ্ছিল, সে কুরআন মুখস্ত করে তার উপর আমল ছেড়ে দিয়েছিল। আর ঘুমিয়ে ফরয নামায তরক করতো। আর যে ব্যক্তির নিকট আপনি গেলেন যার গলদেশের পেছন পর্যন্ত চেরা হচ্ছিল আর নাসারন্ধ্র ও তার চোখ পিঠ পর্যন্ত চেরা হচ্ছিল, সে সকাল বেলা আপন ঘর থেকে বেরিয়ে যেত, আর চতুর্দিকে মিথ্যার বেশাতি করে বেড়াত। আর ঐ উলংগ নারী-পুরুষ যাদের প্রজ্জ্বলিত চুলায় দেখতে পেয়েছেন, তারা ছিল যেনাকার পুরুষ ও যেনাকার নারী। আর যে লোক ঝর্ণায় সাঁতরাচ্ছিল, যার নিকট দিয়ে আপনি গিয়েছিলেন এবং যে পাথরের লোকমা খাচ্ছিল, সে ছিল সুদখোর। আর ঐ কদাকার ব্যক্তি, যাকে আপনি আগুনের নিকট দেখতে পেয়েছিলেন, যে আগুন জ্বালিয়ে চারিদিকে দৌড়াচ্ছিল, সে জাহান্নামের দারগা মালিক ফেরেশতা। বাগানে যে দীর্ঘাকৃত লোকটিকে দেখেছিলেন, তিনি ছিলেন ইব্রাহীম (আ), আর তার চারপাশে যে বালক আপনি দেখতে পান তারা ঐ সব শিশু যারা স্বভাব ধর্মের উপর মৃত্যুবরণ করেছে। বর্ণনাকারী বলেন, মুসলমানদের কেউ কেউ জিজ্ঞেস করেছিল: হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! মুশরিকদের সন্তানরা কোথায়? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছিলেন, তারাও সেখানে ছিল। আর যাদের দেহের অধিকাংশ অতি সুন্দর ছিল, এবং আরেক অংশ অতি কদাকার ছিল। তারা ঐসব লোক, যারা ভাল মন্দ উভয় প্রকার কাজ মিশ্রিতভাবে করেছিল, আল্লাহ তাদের ত্রুটিসমূহ ক্ষমা করে দিয়েছেন।
তাঁর দ্বিতীয় বর্ণনায় আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফযরের সালাত আদায় করে আমাদের দিকে ফিরে বলতেন, তোমাদের কেউ রাতে কোন স্বপ্ন দেখেছ কি? যদি কেউ রাতে কোন স্বপ্ন দেখতো, তবে যা দেখতো, তা বলতো, যা আল্লাহ চাইতেন। তেমনি একদিন তিনি আমাদেরকে প্রশ্ন করলেন, তোমাদের কেউ রাতে কোন স্বপ্ন দেখেছ কি? আমরা বললাম, না। তিনি বললেন, তবে আমি দেখলাম, রাতে দুজন লোক (ফেরেশতা) আমার নিকট এসেছিল। তারা আমার হাত ধরলো এবং আমাকে নিয়ে একটি খালি জায়গা অথবা সমতল জায়গার দিকে বের হলো। এরপর আমাকে নিয়ে এক ব্যক্তির নিকট দিয়ে অতিক্রম করছিল, এভাবে তিনি অনুরূপ পূর্বের হাদীসটি উল্লেখ করলেন। এরপর আমি তাদের সাথে চললাম এবং সেখানে একটি ঘরে প্রজ্জ্বলিত আগুনের চুলা দেখতে পেলাম, তার উপরের দিক সঙ্কীর্ণ এবং নীচের দিক প্রশস্থ। নীচ থেকে আগুনের লেলিহান শিখা প্রজ্বলিত হচ্ছিল, সেখানে নারী ও পুরুষদেরকে উলংঙ্গ অবস্থায় দেখতে পেলাম। আগুন জালানো হলে তার লেলিহান শিখা উপর পর্যন্ত পৌছে ভিতরের লোকগুলো উপরের চলে আসতো। এমন কি তারা বের হওয়ার চেষ্টা করতো।
আগুনের তেজ কমে গেলে তাদেরকে আবার আগুনের মধ্যে ফিরিয়ে আনা হতো তারপর আমি সামনে চলতে লাগলাম, সেখানে একটি রক্তের নহরের মধ্যে এক ব্যক্তিকে দেখলাম। নহরের পাড়ে এক ব্যক্তি হাতে পাথর নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। নহরে সাঁতরানো ব্যক্তি তার নিকট এসে মুখ খুলে দিত, আর সে তার মুখে একটি পাথর নিক্ষেপ করত। তারপর সে তার স্থানে চলে যেত।
তারপর আমি চললাম এবং সেখানে একটি সবুজ বাগান ও বড় একটি গাছ দেখতে পেলাম। সেখানে একজন বৃদ্ধ লোক, যার চারপাশে বালকরা ছিল, তাদের নিকটে এক ব্যক্তি ছিল, যার সামনে ছিল আগুন, যা সে প্রজ্বলিত করছিল। তারা (ফিরিশতাদ্বয়) আমাকে নিয়ে বাগানে প্রবেশ করে একটি গাছের উপর উঠে, এবং আমাকে অতি সুন্দর ঘরের মধ্যে প্রবেশ করায়। এরূপ সুন্দর ঘর আমি আর কখনও দেখিনি। সেখানে পুরুষ বৃদ্ধ, যুবক, নারী ও বালকদেরকে দেখতে পেলাম। তারা সেখান থেকে আমাকে বের করলো এবং আমাকে নিয়ে একটি গাছে উঠলো। সেখানে আমাকে একটি ঘরে প্রবেশ করালো এ ঘরটি পূর্বের ঘরের চেয়ে উত্তম ও মর্যাদাপূর্ণ ছিল। সেখানে যুবক ও বৃদ্ধরা অবস্থান করছিল তিনি বর্ণনা করেন, ফেরেশতা আমাকে বললেন, যে ঘরে আমি প্রথমে প্রবেশ করেছিলাম, সেটি ছিল সাধারণ মুমিনদের বাসস্থান, দ্বিতীয় ঘরটি শহীদদের বাসস্থান আর আমি হলাম জিবরাঈল আর উনি হলেন- মিকাইল (আ)। তারপর তারা আমাকে বললেন, হে মুহাম্মদ (ﷺ)! আপনি মাথা উঠান, আমি মাথা উঁচু করলাম, সে স্থানটি ছিল মেঘের আকৃতির মত। তখন তারা আমাকে বললেন, এটি আপনার বাসস্থান। আমি তাদেরকে বললাম, আমাকে ছেড়ে দিন, আমি আমার ঘরে প্রবেশ করি, তারা বললেন, আপনার এখনও কাজ বাকী আছে, যা আপনি পূর্ণ করেননি। আপনি তা পূর্ণ করার পর আপনার ঘরে প্রবেশ করবেন।
كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي
القسم الخامس من الكتاب قسم الترهيب

كتاب الكبائر وأنواع اخرى من المعاصي

باب ما جاء في الترهيب من المعاصي مطلقا وغيره الله على مرتكبها
عن سمرة بن جندب الفزاري) (2) قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم مما يقوله لأصحابه هل رأى أحد منكم رؤيا؟ قال فيقص عليه من شاء الله أن يقص قال وإنه قال لنا ذات يوم غداة (3) إنه آتاني الليلة آيتان (4) وانهما ابتعثاني وانهما قالا لي انطلق واني انطلقت معهما (5) وانا اتينا على رجل مضطجع واذا آخر قائم عليه بصخرة واذا هو يهوي بالصخرة لرأسه فيثلغ (6) بها رأسه فيتدهده الحجر ههنا (7) فيتبع الحجر يأخذه (8) فما يرجع إليه (9) حتى يصح رأسه كما كان ثم يعود عليه فيفعل به مثل ما فعل المرة الأولى قال قلت سبحان الله ما هذان (10) قال قالا لي انطلق انطلق فانطلقت معهما فأتينا على رجل مستلق لقفاه وإذا آخر قائم عليه بكلوب (11) من حديد فإذا هو يأتي أحد شقي وجهه فيشرشر (12) شدقه إلى قفاه ومنخراه إلى قفاه وعيناه إلى قفاه قال ثم يتحول إلى الجانب الآخر فيفعل به مثل ما فعل بالجانب الأول حتى يصبح الأول كما كان ثم يعود فيفعل به مثل ما فعل به المرة الأولى قال قلت سبحان الله ما هذان؟ قال قالا لي انطلق انطلق قال فانطلقت فأتينا على مثل بناء التنور (13) قال عوف وأحسب أنه قال وإذا فيه لغط وأصواب قال فأطلعت فإذا فيه رجال ونساء عراة واذا هم يأتيهم لهب من اسفل منهم فإذا اتاهم ذلك اللهب ضوضوا (1) قال قلت من هؤلاء؟ قال قالا لي انطلق انطلق قال فانطلقنا فأثبنا على نهر حسبت أنه قال أحمر مثل الدم واذا في النهر رجل يسبح (2) ثم يأتي ذلك الرجل الذي جمع الحجارة فيفغر له (3) فاه فيلقمه حجرا حجرا قال فينطلق فيسبح ما يسبح ثم يرجع إليه كلما رجع إليه فغر له فاه والقمه حجرا قال قلت ما هذا؟ قال قالا لي انطلق انطلق قال فانطلقنا فأتينا على رجل كريه المرآة (4) كأكره ما أنت راه رجلا مرآة فإذا هو عند نار له يحشها (5) ويسعى حولها قال قلت لهما ما هذا؟ قال قالا لي انطلق انطلق قال فانطلقنا فأتينا على روضة معشبة (6) فيها من كل نور الربيع قال وإذا بين ظهراني الروضة رجل قائم طويل لا اكاد ان أرى رأسه طولا في السماء واذا حول الرجل من أكثر ولدان رأيتهم قط وأحسنه قال قلت لهما ما هذا وما هؤلاء؟ قال فقالا لي انطلق انطلق قال فانطلقنا فانتهينا إلى دوحة (7) عظيمة لم أر دوحة قط اعظم منها ولا أحسن فقالا لي ارق فيها (8) فارتقينا فيها فانتهينا إلى مدينة مبنية بلبن ذهب ولبن فضة (9) فأتينا باب المدينة فاستفتحنا ففتح لنا فدخلنا فلقينا فيها رجالا شطر (10) من خلقهم كأحسن ما أنت راه وشطر كأقبح ما انت راه قال فقالا لهم اذهبوا فقعوا في ذلك النهر فإذا نهر صغير معترض يجري كانما هو المحض (11) في البياض قال فذهبوا فوقعوا فيه ثم رجعوا الينا وقد ذهب ذلك السوء عنهم وصاروا في أحسن صورة قال فقالا لي هذه جنة عدن وهذاك منزلك قال فبينما بصري في صعدا (12) فإذا قصر مثل الربابة (13) البيضاء قالا لي هذاك منزلك قال قلت لهما بارك الله فيكما ذراني (14) فلأدخله قال قالا لي أما الآن فلا وأنت داخله (15) قال فإني رأيت منذ الليلة عجبا فما هذا الذي رأيت؟ قال قالا لي أما إنا سنخبرك (أما) الرجل الأول الذي أتيت عليه يثلغ رأسه بالحجر فإنه رجل يأخذ القرآن فيرفضه وينام عن الصلوات المكتوبة (وأما) الرجل الذي أتيت يشرشر شدقه إلى قفاه وعيناه إلى قفاه ومنخراه إلى قفاه فإنه الرجل يغدو من بيته فيكذب الكذبة تبلغ الآفاق (وأما) الرجال والنساء العراة الذين في بناء مثل بناء التنور فإنهم الزناة والزواني (وأما) الرجل الذي يسبح في النهر ويلقم الحجارة فإنه آكل الربا (وأما) الرجل الكريه المرآة الذي عند النار يحشها فإنه مالك خازن جهنم (وأما) الرجل الطويل الذي رأيت في الروضة غابة إبراهيم عليه السلام (وأما) الولدان الذين حوله فكل مولود مات على الفطرة؟ قال فقال بعض المسلمين يا رسول الله وأولاد المشركين؟ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم وأولاد المشركين (وأما) القوم الذي كان شطر منهم حسنا وشطر منهم قبيح فإنهم خلطوا عملا صالحا وآخر سيئا فتجاوز الله عنهم قال أبو عبد الرحمن (1) قال أبي سمعت من عباد بن عباد يخبر به عن عوف عن أبي رجاء عن سمرة بن جندب عن النبي صلى الله عليه وسلم قال فيتدهده الحجر ههنا قال أبي فجعلت اتعجب من فصاحة عباد (2) قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا صلى صلاة الغداة أقبل علينا بوجهه فقال هل رأى أحد منكم الليلة رؤيا؟ فإن كان أحد رأى تلك الليلة رؤيا تشعها عليه فيقول فيها ما شاء الله أن يقول فسألنا يوما فقال هل رأى أحد منكم الليلة رؤيا؟ فقلنا لا قال لكن أنا رأيت رجلين أتياني فأخذا بيدي فأخرجاني إلى أرض فضاء أو أرض مستوية فرا بي على رجل فذكر نحو الحديث المتقدم وفيه فانطلقت معهما فإذا بيت مبني على بناء التنور أعلاه ضيق وأسفله واسع يوقد تحته نار فإذا فيه رجال ونساء عراة فإذا أوقدت ارتفعوا حتى يكادوا أن يخرجوا فإذا خمدت رجعوا فيها (وفيه) فانطلقت فإذا نهر من دم فيه رجل وعلى شط النهر رجل بين يديه حجارة فيقبل الرجل الذي في النهر فإذا دنا ليخرج رمى في فيه حجرا فرجع إلى مكانه (وفيه) فانطلقت فإذا روضه خضراء فإذا فيها شجرة عظيمة وإذا شيخ في أصلها حوله صبيان وإذا رجل قريب منه بين يديه نار يحششها ويوقدها فصعدا بي في الشجرة فأدخلاني دار لم أر دارا أحسن منها فإذا فيها رجال شيوخ وشبان وفيها نساء وصبيان فأخرجاني منها فصعدا بي في الشجرة فأدخلاني دارا هي أحسن وأفضل منها فيها شيوخ وشباب (وفيه) وأما الدار التي دخلت أولا فدار عامة المؤمنين وأما الدار الأخرى فدار الشهداء وانا جبريل وهذا ميكائيل ثم قالا لي ارفع رأسك فرفعت رأسي فإذا هي كهيئة السحاب فقالا لي وتلك دارك فقلت لهما دعاني ادخل داري فقالا إنه قد بقي لك عمل لم تستكمله فلو استكملته دخلت دارك
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান