আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

২২. অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার

হাদীস নং: ৪৬৬৩
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পাশা খেলা সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন
৪৬৬৩. হযরত আবূ মূসা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে পাশা খেলা খেলল সে
আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অবাধ্যাচরণ করল।
(মালিক (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। উপরিউক্ত পাঠ তাঁরই বর্ণিত। আবূ দাউদ, ইবন মাজাহ, হাকিম, বায়হাকীও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁরা نردشیر শব্দটি বলেন নি। হাকিম বলেন: হাদীসটি বুখারী-মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ। বায়হাকী (র) বলেনঃ আমি হাদীসটি অপর এক সনদে মুহাম্মদ ইব্‌ন কা'ব (র)-এর মধ্যস্থতায় আবূ মূসা (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছি। তিনি (ﷺ) বলেন: যে কেউ পাশার খুঁটি চালিয়ে তার ফলাফলের অপেক্ষা করল সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অবাধ্যাচারণ করল।)
হাফিয (র) বলেনঃ অধিকাংশ আলিম এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে পাশা খেলা হারাম। আমাদের একজন শ্রদ্ধেয় উস্তাদ এখেলা হারাম হওয়ার ব্যাপারে ইজমা বর্ণনা করেছেন। তবে আলিমগণ দাবা খেলা সম্পর্কে বিভিন্ন মত পোষণ করেছেন। কেউ কেউ এটা জায়িয বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। কেননা, এর দ্বারা যুদ্ধ ও যুদ্ধের কৌশলগত বিষয়ে সাহায্য নেওয়া যায়। তবে এটা তিনটি শর্ত সাপেক্ষ। এক, এ কারণে সালাত কাযা না হয়, দুই, এতে জুয়ার আকার না হয়; তিন, খেলার সময় অশ্লীল, কুৎসিত ইতর শ্রেণীর কথাবার্তা থেকে মুখকে হিফাযত করা হয়। সুতরাং যখন কেউ এ ধরনের খেলা খেলবে অথবা উপরিউক্ত বিষয়সমূহের কোন একটি করবে তখন সে ভদ্রতা বিবর্জিত ও সাক্ষ্যের ক্ষেত্রে অগ্রহণযোগ্য বিবেচিত হবে। যাঁরা এখেলা জায়িয বলেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাঈদ ইব্‌ন জুবায়র ও শা'বী। ইমাম শাফিয়ী (র) এটাকে মাকরূহ তানযীহ্ হিসেবে অপসন্দ করেছেন। পক্ষান্তরে এক দল আলিম এটাকে পাশার ন্যায় হারাম বলে মত প্রকাশ করেছেন। কিছু কিছু হাদীসে দাবা খেলার আলোচনা এসেছে, তবে তন্মধ্যে কোন হাদীসের কোন সহীহ্ অথবা হাসান সনদ আমার জানা নেই। আল্লাহই অধিকতর জ্ঞাত।
كتاب الأدب
التَّرْهِيب من اللّعب بالنرد
4663- وَعَن أبي مُوسَى رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من لعب بنرد أَو نردشير فقد عصى الله وَرَسُوله

رَوَاهُ مَالك وَاللَّفْظ لَهُ وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه وَالْحَاكِم وَالْبَيْهَقِيّ وَلم يَقُولُوا أَو نردشير وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح على شَرطهمَا
قَالَ الْبَيْهَقِيّ وروينا من وَجه آخر عَن مُحَمَّد بن كَعْب عَن أبي مُوسَى عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَا يقلب كعباتها أحد ينْتَظر مَا تَأتي بِهِ إِلَّا عصى الله وَرَسُوله
قَالَ الْحَافِظ قد ذهب جُمْهُور الْعلمَاء إِلَى أَن اللّعب بالنرد حرَام وَنقل بعض مَشَايِخنَا الْإِجْمَاع على تَحْرِيمه وَاخْتلفُوا فِي اللّعب بالشطرنج فَذهب بَعضهم إِلَى إِبَاحَته لِأَنَّهُ يستعان بِهِ فِي أُمُور الْحَرْب ومكائده لَكِن بِشُرُوط ثَلَاثَة أَحدهَا أَن لَا يُؤَخر بِسَبَبِهِ صَلَاة عَن وَقتهَا
وَالثَّانِي أَن لَا يكون فِيهِ قمار
وَالثَّالِث أَن يحفظ لِسَانه حَال اللّعب عَن الْفُحْش والخنا ورديء الْكَلَام فَمَتَى لعب بِهِ أَو فعل شَيْئا من هَذِه الْأُمُور كَانَ سَاقِط الْمُرُوءَة مَرْدُود الشَّهَادَة وَمِمَّنْ ذهب إِلَى إِبَاحَته سعيد بن جُبَير وَالشعْبِيّ وَكَرِهَهُ الشَّافِعِي كَرَاهَة تَنْزِيه وَذهب جماعات من الْعلمَاء إِلَى تَحْرِيمه كالنرد وَقد ورد ذكر الشطرنج فِي أَحَادِيث لَا أعلم لشَيْء مِنْهَا إِسْنَادًا صَحِيحا وَلَا حسنا وَالله أعلم
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান