আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

১৯. অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা

হাদীস নং: ৩৩২৯
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
মুসলমানের কোন কাজে ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনভার গ্রহণ করা ইত্যাদির প্রতি অনুপ্রেরণা এবং প্রজাদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা, অত্যাচার করা, প্রতারণা করা, তাদের সাক্ষাৎ না দেওয়া, তাদের প্রয়োজনের সময় দরজা বন্ধ রাখার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩২৯. হযরত ইবনে উমার (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: পৃথিবীতে ন্যায়পরায়ণ শাসক আল্লাহর রহমতের একটি ছায়া। মাযলুম বান্দাগণ তার নিকট আশ্রয় চায়। যদি সে সুবিচার করে, তবে সে পুরস্কৃত হবে, আর প্রজাদের উচিত তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। আর যদি সে যালিম হয় অথবা ধ্বংসকারী হয় অথবা নিষ্ঠুর হয় তবে তার জন্য রয়েছে পাপের বোঝা। এমতাবস্থায় প্রজাদের উচিত ধৈর্যধারণ করা। শাসক যখন যালিম হয়, তখন অনাবৃষ্টির ফলে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় এবং যখন যাকাত আদায় করা হয় না, তখন চতুষ্পদ জন্তু ধ্বংস হয়ে যায়। ব্যভিচার যখন ছড়িয়ে পড়ে, তখন দুর্ভিক্ষ ও লাঞ্ছনা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। শাসনকার্যে যখন বিশ্বাসঘাতকতা দেখা দেয়, তখন বিজাতির হাতে ক্ষমতা চলে যায় অথবা তিনি অনুরূপ বলেছেন।
(ইবনে মাজা বর্ণিত। তবে ইবনে মাজার শব্দমালা পেছনে বর্ণিত রয়েছে। বাযযার নিজশব্দে ও বায়হাকী বর্ণিত। বায়হাকী (র) নিজ শব্দে ইবনে উমার (রা) হতে এরূপা বর্ণনা করেনঃ তোমাদের মধ্যে যখন পাঁচটি অপরাধ দেখা দেবে, তখন তোমাদের অবস্থা কেমন হবে, আমি তোমাদের মধ্যে তা পতিত না হওয়ার ব্যাপারে আল্লাহর কাছে পানাহ চাচ্ছি অথবা তিনি বলেছেন: তোমরা যেন সেগুলোর শিকার না হও। তা হলঃ ১. যে জাতির মধ্যে খোলাখুলি ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়বে, তাদের মধ্যে 'তাউন' ব্যাধি প্রসার লাভ করবে এবং তা এমন রোগ, যা তাদের পূর্ববর্তীগণের মধ্যে ছিল না। ২. যে জাতি যাকাত আদায় করবে না, আকাশের বৃষ্টি তাদের জন্য বন্ধ থাকবে, চতুষ্পদ জন্তু না হলে তাদের উপর মোটেই বৃষ্টি হতো না। ৩. যে জাতি ওযনে কম দেবে, তারা দুর্ভিক্ষ এবং কঠিন বিপদের শিকার হবে এবং ৪. যে সকল শাসক আল্লাহর আইন পরিপন্থি শাসন ব্যবস্থা কায়েম করবে, তাদের উপর আল্লাহ্ বিজাতির শাসন চাপিয়ে দেবেন। এরপর তারা তাদের সব কিছু ছিনিয়ে নেবে। ৫. আর যে দেশে আল্লাহর আইন এবং নবী (ﷺ)-এর সুন্নাত বন্ধ করে দেওয়া হবে, তাদের মধ্যে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব সংঘাত শুরু হবে।
হাকিম (র) বুরায়দা (রা) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেন। তিনি (হাকিম) বলেন: হাদীসটি মুসলিমের বর্ণনানুসারে, বিশুদ্ধ।)
كتاب القضاء
ترغيب من ولي شَيْئا من أُمُور الْمُسلمين فِي الْعدْل إِمَامًا كَانَ أَو غَيره وترهيبه أَن يشق على رَعيته أَو يجور أَو يغشهم أَو يحتجب عَنْهُم أَو يغلق بَابه دون حوائجهم
3329- وَرُوِيَ عَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ السُّلْطَان ظلّ الله فِي الأَرْض يأوي إِلَيْهِ كل مظلوم من عباده فَإِن عدل كَانَ لَهُ الْأجر وَكَانَ يَعْنِي على الرّعية الشُّكْر وَإِن جَار أَو حاف أَو ظلم كَانَ عَلَيْهِ الْوزر وعَلى الرّعية الصَّبْر وَإِذا جارت الْوُلَاة قحطت السَّمَاء وَإِذا منعت الزَّكَاة هَلَكت الْمَوَاشِي وَإِذا ظهر الزِّنَا ظهر الْفقر والمسكنة وَإِذا أخفرت الذِّمَّة أديل الْكفَّار أَو كلمة نَحْوهَا

رَوَاهُ ابْن مَاجَه
وَتقدم لَفظه وَالْبَزَّار وَاللَّفْظ لَهُ وَالْبَيْهَقِيّ وَلَفظه عَن ابْن عمر قَالَ كُنَّا عِنْد رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ كَيفَ أَنْتُم إِذا وَقعت فِيكُم خمس وَأَعُوذ بِاللَّه أَن تكون فِيكُم أَو تدركوهن مَا ظَهرت الْفَاحِشَة فِي قوم قطّ يعْمل بهَا فيهم عَلَانيَة إِلَّا ظهر فيهم الطَّاعُون والأوجاع الَّتِي لم تكن فِي أسلافهم وَمَا منع قوم الزَّكَاة إِلَّا منعُوا الْقطر من السَّمَاء وَلَوْلَا الْبَهَائِم لم يمطروا وَمَا بخس قوم الْمِكْيَال وَالْمِيزَان إِلَّا أخذُوا بِالسِّنِينَ وَشدَّة الْمُؤْنَة وجور السُّلْطَان وَلَا حكم أمراؤهم بِغَيْر مَا أنزل الله إِلَّا سلط عَلَيْهِم عدوهم فاستنقذوا بعض
مَا فِي أَيْديهم وَمَا عطلوا كتاب الله وَسنة نبيه إِلَّا جعل الله بأسهم بَينهم
رَوَاهُ الْحَاكِم بِنَحْوِهِ من حَدِيث بُرَيْدَة وَقَالَ صَحِيح على شَرط مُسلم
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান