আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
১৬. অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
হাদীস নং: ২৯৭৩
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
স্বামীর প্রতি তার স্ত্রীর হক আদায় ও তার প্রতি সদাচরণ এবং স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর হক আদায় ও আনুগত্য করার অনুপ্রেরণা এবং স্বামীর হক বিনষ্ট করা ও বিরোধিতা করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৯৭৩. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে উত্তম চরিত্রের অধিকারী
এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল, সেই কামিল ঈমানদার।
(তিরমিযী ও হাকিম বর্ণিত। ইমাম হাকিম (র) বলেন: বুখারী, ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী হাদীসটি সহীহ। ইমাম তিরমিযী (র) বলেনঃ হাদীসটি হাসান। হযরত আয়েশা (রা) থেকে আবু কিলাবা (র) হাদীস বর্ণনা করেছেন বলে আমরা জানি না।)
এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল, সেই কামিল ঈমানদার।
(তিরমিযী ও হাকিম বর্ণিত। ইমাম হাকিম (র) বলেন: বুখারী, ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী হাদীসটি সহীহ। ইমাম তিরমিযী (র) বলেনঃ হাদীসটি হাসান। হযরত আয়েশা (রা) থেকে আবু কিলাবা (র) হাদীস বর্ণনা করেছেন বলে আমরা জানি না।)
كتاب النكاح
ترغيب الزَّوْج فِي الْوَفَاء بِحَق زَوجته وَحسن عشرتها وَالْمَرْأَة بِحَق زَوجهَا وطاعته وترهيبها من إِسْقَاطه ومخالفته
2973- وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن من أكمل الْمُؤمنِينَ إِيمَانًا أحْسنهم خلقا وألطفهم بأَهْله
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على
شَرطهمَا كَذَا قَالَ وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث حسن وَلَا نَعْرِف لأبي قلَابَة سَمَاعا من عَائِشَة
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على
شَرطهمَا كَذَا قَالَ وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث حسن وَلَا نَعْرِف لأبي قلَابَة سَمَاعا من عَائِشَة
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছে বলা হয়েছে- أَكْمَلُ الْمُؤْمِنِينَ إِيْمَانًا أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا (ঈমানের দিক থেকে সর্বাপেক্ষা পূর্ণাঙ্গ মুমিন সেই ব্যক্তি, যার আখলাক-চরিত্র সবচেয়ে ভালো)। অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ আখলাক-চরিত্রওয়ালাকে সর্বাপেক্ষা পরিপূর্ণ মুসলিম বলা হয়েছে। আখলাক-চরিত্র হচ্ছে মানুষের স্বভাবগত এক ক্ষমতা, যা মানুষকে প্রশংসনীয় কাজে উৎসাহ যোগায় ও ভদ্রোচিত আচরণে উদ্বুদ্ধ করে। হাসান বসরী রহ. বলেন, উত্তম চরিত্রের হাকীকত হল মানুষের উপকার করা, তাদেরকে কষ্টদান থেকে বিরত থাকা এবং প্রসন্ন মুখে সাক্ষাত করা। ইমাম বাজী রহ.-এর মতে চরিত্র সুন্দর হওয়ার অর্থ যারা তার সঙ্গে ওঠাবসা করে বা সাক্ষাত করতে আসে, তাদের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলা, সহনশীল আচরণ করা ও মায়া-মমতা প্রকাশ করা, শিক্ষাদানে সবর অবলম্বন করা এবং ছোট-বড় সকলের সঙ্গে মহব্বত ও ভালোবাসা বজায় রাখা।
ভালো আখলাক-চরিত্র অনেকের জন্মগতভাবেই থাকে। আবার কাউকে এটা চেষ্টা-সাধনা দ্বারা অর্জন করতে হয়।
এ হাদীছে পূর্ণাঙ্গ মুমিনের বৈশিষ্ট্য বলা হয়েছে উত্তম আখলাকওয়ালা হওয়া। এর দ্বারা বোঝা যায় আখলাক-চরিত্র উন্নত করাই শ্রেষ্ঠ আমল। আবার অন্যান্য হাদীছে আরও বিভিন্ন আমলকে শ্রেষ্ঠ সাব্যস্ত করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এর মধ্যে কোনও বিরোধ নেই। স্থান-কাল-পাত্রভেদে আমল-আখলাকের মান-মর্যাদায় পার্থক্য হতে পারে। ইসলামের সূচনাকালে জিহাদ ছিল শ্রেষ্ঠতম আমল। কারণ তখন এটা ছিল ইসলামের প্রতিষ্ঠা ও স্থিতির বড় উপায়। বিভিন্ন হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত, দান-সদাকা অপেক্ষা নামায শ্রেষ্ঠ। কিন্তু যখন মন্দা ও দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, তখন দান-সদাকার ফযীলত অনেক বেড়ে যায়। আখলাক-চরিত্রের বিষয়টাও এরকমই। ক্ষেত্রবিশেষে এর গুরুত্ব অন্যসব আমলকে ছাপিয়ে যায়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছ আমাদেরকে আখলাক-চরিত্র উন্নত করার উৎসাহ যোগায়।
ভালো আখলাক-চরিত্র অনেকের জন্মগতভাবেই থাকে। আবার কাউকে এটা চেষ্টা-সাধনা দ্বারা অর্জন করতে হয়।
এ হাদীছে পূর্ণাঙ্গ মুমিনের বৈশিষ্ট্য বলা হয়েছে উত্তম আখলাকওয়ালা হওয়া। এর দ্বারা বোঝা যায় আখলাক-চরিত্র উন্নত করাই শ্রেষ্ঠ আমল। আবার অন্যান্য হাদীছে আরও বিভিন্ন আমলকে শ্রেষ্ঠ সাব্যস্ত করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এর মধ্যে কোনও বিরোধ নেই। স্থান-কাল-পাত্রভেদে আমল-আখলাকের মান-মর্যাদায় পার্থক্য হতে পারে। ইসলামের সূচনাকালে জিহাদ ছিল শ্রেষ্ঠতম আমল। কারণ তখন এটা ছিল ইসলামের প্রতিষ্ঠা ও স্থিতির বড় উপায়। বিভিন্ন হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত, দান-সদাকা অপেক্ষা নামায শ্রেষ্ঠ। কিন্তু যখন মন্দা ও দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, তখন দান-সদাকার ফযীলত অনেক বেড়ে যায়। আখলাক-চরিত্রের বিষয়টাও এরকমই। ক্ষেত্রবিশেষে এর গুরুত্ব অন্যসব আমলকে ছাপিয়ে যায়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছ আমাদেরকে আখলাক-চরিত্র উন্নত করার উৎসাহ যোগায়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)