আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
১২. অধ্যায়ঃ জিহাদ
হাদীস নং: ২০০২
আল্লাহর পথে একটি সকাল ও একটি বিকাল যাপনের প্রতি উৎসাহ দান, জিহাদে পদব্রজে চলা, ধূলিবালি লাগানো ও এতে ভয়ভীতি বরদাস্ত করার ফযীলত প্রসঙ্গ
২০০২. হযরত আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ জাহান্নামে পরস্পর ক্ষতিকারক দু'ব্যক্তি একত্রিত হবে না। যে মুসলমান কোন কাফিরকে হত্যা করেছে, তারপর সে শরীয়তের সীমারেখায় জীবন অতিবাহিত করেছে। জাহান্নামের ধোঁয়া ও আল্লাহর পথের ধূলিবালি কখনো এক ব্যক্তির পেটে একত্রিত হবে না। ঈমান ও কৃপণতা কোন ব্যক্তির অন্তরে একত্রিত হতে পারে না।
(হাদীসটি নাসাঈ ও হাকিম বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা হাকিম-এর এটি ত্রুটিপূর্ণ হাদীস। হাকিম বলেন, হাদীসটি মুসলিম-এর শর্তানুযায়ী সহীহ। নাসাঈ বলেছেন। ঈমান ও হিংসা। হাদীসটির প্রথমাংশ মুসলিম-এ বর্ণিত হয়েছে।)
(হাদীসটি নাসাঈ ও হাকিম বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা হাকিম-এর এটি ত্রুটিপূর্ণ হাদীস। হাকিম বলেন, হাদীসটি মুসলিম-এর শর্তানুযায়ী সহীহ। নাসাঈ বলেছেন। ঈমান ও হিংসা। হাদীসটির প্রথমাংশ মুসলিম-এ বর্ণিত হয়েছে।)
التَّرْغِيب فِي الغدوة فِي سَبِيل الله والروحة وَمَا جَاءَ فِي فضل الْمَشْي وَالْغُبَار فِي سَبِيل الله وَالْخَوْف فِيهِ
2002- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَا يَجْتَمِعَانِ فِي النَّار اجتماعا يضر أَحدهمَا الآخر مُسلم قتل كَافِرًا ثمَّ سدد الْمُسلم وقارب وَلَا يَجْتَمِعَانِ فِي جَوف عبد غُبَار فِي سَبِيل الله ودخان جَهَنَّم وَلَا يَجْتَمِعَانِ فِي قلب عبد الْإِيمَان وَالشح
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَالْحَاكِم وَاللَّفْظ لَهُ وَهُوَ أتم وَقَالَ صَحِيح على شَرط مُسلم وَقَالَ النَّسَائِيّ الْإِيمَان والحسد
وَصدر الحَدِيث فِي مُسلم
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَالْحَاكِم وَاللَّفْظ لَهُ وَهُوَ أتم وَقَالَ صَحِيح على شَرط مُسلم وَقَالَ النَّسَائِيّ الْإِيمَان والحسد
وَصدر الحَدِيث فِي مُسلم
হাদীসের ব্যাখ্যা:
জিহাদের ফযীলত সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, আল্লাহর পথে জিহাদ করতে গিয়ে শরীরে যে ধুলো লাগে, সে ধুলো ও জাহান্নামের ধোঁয়া কখনও একত্রিত হবে না। অর্থাৎ মুজাহিদ ব্যক্তিকে কখনও জাহান্নামের আগুন তো স্পর্শ করবেই না, এমনকি জাহান্নামের ধোঁয়াও তার গায়ে লাগবে না। সে জাহান্নাম থেকে বহু দূরে থাকবে।
প্রকাশ থাকে যে, আল্লাহর পথে জিহাদ বলতে আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে আল্লাহর শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করাকে বোঝায়। এ লড়াই যেমন মুখের দ্বারা হতে পারে, কলমের দ্বারা হতে পারে, তেমনি হতে পারে সশস্ত্র সংগ্রাম। এর প্রত্যেকটির জন্যই সুনির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন আছে। সে নিয়ম-কানুনের অধীনে সংগ্রাম করলেই তা মহান জিহাদ নামে অভিহিত হওয়ার উপযুক্ত হবে, অন্যথায় নয়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. জাহান্নাম থেকে বাঁচার লক্ষ্যে আমরা আপন সামর্থ্য অনুযায়ী আল্লাহর পথে জিহাদে রত থাকব, এমনকি সশস্ত্র সংগ্রামের জন্যও প্রস্তুত থাকব। এবং যখনই সে অবকাশ আসে, যথাযথ নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে তাতে ঝাঁপিয়ে পড়ব।
প্রকাশ থাকে যে, আল্লাহর পথে জিহাদ বলতে আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে আল্লাহর শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করাকে বোঝায়। এ লড়াই যেমন মুখের দ্বারা হতে পারে, কলমের দ্বারা হতে পারে, তেমনি হতে পারে সশস্ত্র সংগ্রাম। এর প্রত্যেকটির জন্যই সুনির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন আছে। সে নিয়ম-কানুনের অধীনে সংগ্রাম করলেই তা মহান জিহাদ নামে অভিহিত হওয়ার উপযুক্ত হবে, অন্যথায় নয়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. জাহান্নাম থেকে বাঁচার লক্ষ্যে আমরা আপন সামর্থ্য অনুযায়ী আল্লাহর পথে জিহাদে রত থাকব, এমনকি সশস্ত্র সংগ্রামের জন্যও প্রস্তুত থাকব। এবং যখনই সে অবকাশ আসে, যথাযথ নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে তাতে ঝাঁপিয়ে পড়ব।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
