আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

১২. অধ্যায়ঃ জিহাদ

হাদীস নং: ১৯৪৬
অধ্যায়ঃ জিহাদ
আল্লাহর পথে ব্যয়, মুজাহিদদের প্রস্তুতিতে সহযোগিতা ও তাদের পরিবার-পরিজনদের দেখাশোনার প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গে
১৯৪৬. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বনী লিয়ান গোত্রের প্রতি দু'জন পুরুষের একজনকে জিহাদে পাঠানোর জন্য পয়গাম পাঠালেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমাদের মধ্যে যারা মুজাহিদদের জিহাদে প্রেরণ করে তাদের পরিবার-পরিজনদের দেখাশুনা করার জন্য বাড়িতে থাকবে, তাদেরকেও মুজাহিদের অনুরূপ সওয়াব দেয়া হবে।
(হাদীসটি মুসলিম, আবূ দাউদ প্রমুখ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْجِهَاد
التَّرْغِيب فِي النَّفَقَة فِي سَبِيل الله وتجهيز الْغُزَاة وخلفهم فِي أهلهم
1946- وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بعث إِلَى بني لحيان ليخرج من كل رجلَيْنِ رجل ثمَّ قَالَ للقاعد أَيّكُم خلف الْخَارِج فِي أَهله فَلهُ مثل أجره

رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَغَيرهمَا

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীছে প্রতি দু'জন থেকে একজনকে জিহাদে যেতে এবং অন্যজনকে বাড়িতে থেকে যেতে বলা হয়েছে। এ দু'জন এক পরিবারেরও হতে পারে, দু' পরিবারেরও হতে পারে। কিংবা এমনও হতে পারে যে, পাশাপাশি কয়েক পরিবারে সক্ষম পুরুষ হয়তো দু'জনই আছে। সে ক্ষেত্রে জিহাদের ডাক আসলে একজন জিহাদে চলে যাবে, অন্যজন বাড়িতে থেকে সকলের তত্ত্বাবধান করবে। এর দ্বারা বোঝা যাচ্ছে সকল সক্ষম পুরুষের একসঙ্গে জিহাদে বা অন্য কোনও সফরে চলে যাওয়া উচিত নয়। নারী ও শিশুদের দেখাশোনার জন্য কারও না কারও অবশ্যই থেকে যাওয়া উচিত। পরিবারবর্গের খোঁজখবর রাখাও দীনী দায়িত্ব। এ ব্যাপারে অবহেলার কোনও সুযোগ নেই।

হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ

ক. কেউ জিহাদে বা অন্য কোনও দীনী জরুরতে সফরে গেলে তার মহল্লায় এমন কোনও পুরুষ থাকা উচিত, যে তার অনুপস্থিতিতে তার পরিবারের দেখাশোনা করবে। গোটা মহল্লা পুরুষশূন্য হয়ে যাওয়া সমীচীন নয় ।

খ. মুমিন ব্যক্তির সর্বদা ছাওয়াব অর্জনের আকাঙ্ক্ষা থাকা উচিত। কাজেই সক্রিয়ভাবে কোনও দীনী কাজে অংশগ্রহণ করতে না পারলে এমন কোনও উপায় অবলম্বন করা উচিত, যাতে কোনও না কোনওভাবে সে কাজের সাথে তার সম্পর্ক স্থাপিত হয়ে যায়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব - হাদীস নং ১৯৪৬ | মুসলিম বাংলা