আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
৬. অধ্যায়ঃ নফল
হাদীস নং: ১০২৬
অধ্যায়ঃ নফল
সালাতুল হাজাত ও তাতে দু'আর অনুপ্রেরণা
১০২৬. হযরত ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (সা) বলেছেন: তুমি দিনে হোক কি রাতে, বারো রাকাআত সালাত আদায় করবে এবং প্রতি দুই রাক'আতে তাশাহ্হুদ পাঠ করবে। তখন আল্লাহর প্রশংসা করবে এবং নবী-এর প্রতি দরূপ পাঠ করবে। এরপর সিজদা অবস্থায় তুমি সাতবার সূরা ফাতিহা পাঠ করবে এবং সাতবার আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে। তুমি আরো দশবার বলবেঃ
لاَ إِلهَ إِلاَّ الله وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
"আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। তিনি এক। তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁরই সমস্ত রাজত্ব। তাঁরই সমস্ত প্রশংসা। তিনি সর্ববিষয়ে শক্তিমান।" এরপর তুমি এই দু'আ পাঠ করবে:
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك بمعاقد الْعِزّ من عرشك ومنتهى الرَّحْمَة من كتابك واسمك الْأَعْظَم وَجدك الْأَعْلَى وكلماتك التَّامَّة
"হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে তোমার আরশের সম্মানের খাতিরে, তোমার নিকট লেখা রহমতের চূড়ান্ত দয়ায়, তোমার মহান নামের, তোমার মাহাত্ম্যের খাতিরে এবং তোমার পূর্ণ কালেমাসমূহের খাতিরে কামনা করি।"
এরপর তুমি তোমার প্রয়োজনের কথা বলবে। পরে মাথা তুলে ডানে-বামে সালাম ফিরিয়ে নেবে। তোমরা নির্বোধদের এই দু'আ শিক্ষা দিও না। কেননা তারাও এরদ্বারা দু'আ করলে তা কবুল হবে।
(হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আহমদ ইবন হারব বলেন, আমি হাদীসটি পরীক্ষা করে যথাযথ পেয়েছি। ইবরাহীম ইবন আলী দাবিলী বলেন: আমি হাদীসটি যথাযথ পেয়েছি। হাকিম বলেন: আবূ যাকরিয়া আমাদের কাছে অনুরূপ বলেছেন। হাকিম বলেন: আমি নিজেই তা পরীক্ষা করে যথাযথ ফল পেয়েছি। হাদীসটি আমির ইবন খাদ্দাশ এককভাবে বর্ণনা করেন। তিনি একজন বিশ্বস্ত রাবী।)
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] আমির ইবন খাদ্দাশ নিশাপুরের অধিবাসী। আমাদের উস্তাদ হাফিয আবুল হাসান বলেছেন: আমিরের বর্ণনা অজানা। তাঁর থেকে উমর ইবন হারুন বালখী এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বর্জিত ও অভিযুক্ত। ইবন মাহদী ব্যতীত কেউ তাঁর প্রশংসা করেছেন বলে আমার জানা নেই। একমাত্র অভিজ্ঞতার মাধ্যমে এই জাতীয় বর্ণনাকারীর উপর নির্ভর করা যায়, কেবল সনদের বিচার করলে চলে না। আল্লাহই সর্বজ্ঞ।
لاَ إِلهَ إِلاَّ الله وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
"আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। তিনি এক। তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁরই সমস্ত রাজত্ব। তাঁরই সমস্ত প্রশংসা। তিনি সর্ববিষয়ে শক্তিমান।" এরপর তুমি এই দু'আ পাঠ করবে:
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك بمعاقد الْعِزّ من عرشك ومنتهى الرَّحْمَة من كتابك واسمك الْأَعْظَم وَجدك الْأَعْلَى وكلماتك التَّامَّة
"হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে তোমার আরশের সম্মানের খাতিরে, তোমার নিকট লেখা রহমতের চূড়ান্ত দয়ায়, তোমার মহান নামের, তোমার মাহাত্ম্যের খাতিরে এবং তোমার পূর্ণ কালেমাসমূহের খাতিরে কামনা করি।"
এরপর তুমি তোমার প্রয়োজনের কথা বলবে। পরে মাথা তুলে ডানে-বামে সালাম ফিরিয়ে নেবে। তোমরা নির্বোধদের এই দু'আ শিক্ষা দিও না। কেননা তারাও এরদ্বারা দু'আ করলে তা কবুল হবে।
(হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আহমদ ইবন হারব বলেন, আমি হাদীসটি পরীক্ষা করে যথাযথ পেয়েছি। ইবরাহীম ইবন আলী দাবিলী বলেন: আমি হাদীসটি যথাযথ পেয়েছি। হাকিম বলেন: আবূ যাকরিয়া আমাদের কাছে অনুরূপ বলেছেন। হাকিম বলেন: আমি নিজেই তা পরীক্ষা করে যথাযথ ফল পেয়েছি। হাদীসটি আমির ইবন খাদ্দাশ এককভাবে বর্ণনা করেন। তিনি একজন বিশ্বস্ত রাবী।)
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] আমির ইবন খাদ্দাশ নিশাপুরের অধিবাসী। আমাদের উস্তাদ হাফিয আবুল হাসান বলেছেন: আমিরের বর্ণনা অজানা। তাঁর থেকে উমর ইবন হারুন বালখী এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বর্জিত ও অভিযুক্ত। ইবন মাহদী ব্যতীত কেউ তাঁর প্রশংসা করেছেন বলে আমার জানা নেই। একমাত্র অভিজ্ঞতার মাধ্যমে এই জাতীয় বর্ণনাকারীর উপর নির্ভর করা যায়, কেবল সনদের বিচার করলে চলে না। আল্লাহই সর্বজ্ঞ।
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الْحَاجة ودعائها
1026 - وَعَن ابْن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ اثْنَتَيْ عشرَة رَكْعَة تصليهن من ليل أَو نَهَار وتتشهد بَين كل رَكْعَتَيْنِ فَإِذا تشهدت فِي آخر صَلَاتك فأثن على الله عز وَجل وصل على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم واقرأ وَأَنت ساجد فَاتِحَة الْكتاب سبع مَرَّات وَآيَة الْكُرْسِيّ سبع مَرَّات وَقل لاَ إِلهَ إِلاَّ الله وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ عشر مَرَّات ثمَّ قل اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك بمعاقد الْعِزّ من عرشك ومنتهى الرَّحْمَة من كتابك واسمك الْأَعْظَم وَجدك الْأَعْلَى وكلماتك التَّامَّة ثمَّ سل حَاجَتك ثمَّ ارْفَعْ رَأسك ثمَّ سلم يَمِينا وَشمَالًا وَلَا تعلموها السُّفَهَاء فَإِنَّهُم يدعونَ بهَا فيستجابون
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ قَالَ أَحْمد بن حَرْب قد جربته فَوَجَدته حَقًا وَقَالَ إِبْرَاهِيم بن عَليّ الدبيلي قد جربته فَوَجَدته حَقًا وَقَالَ الْحَاكِم قَالَ لنا أَبُو زَكَرِيَّا قد جربته فَوَجَدته حَقًا
قَالَ الْحَاكِم قد جربته فَوَجَدته حَقًا
تفرد بِهِ عَامر بن خِدَاش وَهُوَ ثِقَة مَأْمُون انْتهى
قَالَ الْحَافِظ أما عَامر بن خِدَاش هَذَا هُوَ النَّيْسَابُورِي
قَالَ شَيخنَا الْحَافِظ أَبُو الْحسن كَانَ صَاحب مَنَاكِير وَقد تفرد بِهِ عَن عمر بن هَارُون الْبَلْخِي وَهُوَ مَتْرُوك مُتَّهم أثنى
عَلَيْهِ ابْن مهْدي وَحده فِيمَا أعلم والاعتماد فِي مثل هَذَا على التجربة لَا على الْإِسْنَاد وَالله أعلم
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ قَالَ أَحْمد بن حَرْب قد جربته فَوَجَدته حَقًا وَقَالَ إِبْرَاهِيم بن عَليّ الدبيلي قد جربته فَوَجَدته حَقًا وَقَالَ الْحَاكِم قَالَ لنا أَبُو زَكَرِيَّا قد جربته فَوَجَدته حَقًا
قَالَ الْحَاكِم قد جربته فَوَجَدته حَقًا
تفرد بِهِ عَامر بن خِدَاش وَهُوَ ثِقَة مَأْمُون انْتهى
قَالَ الْحَافِظ أما عَامر بن خِدَاش هَذَا هُوَ النَّيْسَابُورِي
قَالَ شَيخنَا الْحَافِظ أَبُو الْحسن كَانَ صَاحب مَنَاكِير وَقد تفرد بِهِ عَن عمر بن هَارُون الْبَلْخِي وَهُوَ مَتْرُوك مُتَّهم أثنى
عَلَيْهِ ابْن مهْدي وَحده فِيمَا أعلم والاعتماد فِي مثل هَذَا على التجربة لَا على الْإِسْنَاد وَالله أعلم