আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
৫. অধ্যায়ঃ নামাজ
হাদীস নং: ৫৮৩
প্রথম ওয়াক্তে সালাত আদায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা
৫৮৩. নবী (সা) এর কাছে বায়আতকারিণী হযরত উম্মু ফারওয়া (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী (সা) এর কাছে জিজ্ঞাসা করা হল: সর্বোত্তম কাজ কোনটি? তিনি বললেন: প্রথম ওয়াক্তে সালাত আদায় করা।
(আবূ দাউদ ও তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী (র) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন উমর উমরীর সূত্র ব্যতীত এ হাদীসের কোন সূত্র নেই। এ হাদীসটি মুহাদ্দিসগণের নিকট সনদের দিক থেকে শক্তিশালী নয়; বরং তাঁরা একে হাদীসে মুযতারাব বলেছেন।)
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] আবদুল্লাহ হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে সত্যবাদী। আহমদ (র) বলেনঃ আবদুল্লাহ হাদীস বর্ণনাক্ষেত্রে ভালো এবং ত্রুটিমুক্ত। ইবন মুঈন (র) বলেনঃ তাঁর হাদীস লিখে রাখা যায়। ইবন আদী বলেন: আবদুল্লাহ সত্যবাদী এবং দোষমুক্ত। আবূ হাতিম তাঁকে যঈফ বলেছেন। ইবন মাদিনী (র) বলেন: উন্মু ফারওয়া হলেন আবূ বকর (রা)-এর বৈপিত্রেয় বোন, যে বলে উম্মু ফারওয়া আনসার মহিলা, সে সন্দেহের শিকার হয়েছে।
(আবূ দাউদ ও তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী (র) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন উমর উমরীর সূত্র ব্যতীত এ হাদীসের কোন সূত্র নেই। এ হাদীসটি মুহাদ্দিসগণের নিকট সনদের দিক থেকে শক্তিশালী নয়; বরং তাঁরা একে হাদীসে মুযতারাব বলেছেন।)
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] আবদুল্লাহ হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে সত্যবাদী। আহমদ (র) বলেনঃ আবদুল্লাহ হাদীস বর্ণনাক্ষেত্রে ভালো এবং ত্রুটিমুক্ত। ইবন মুঈন (র) বলেনঃ তাঁর হাদীস লিখে রাখা যায়। ইবন আদী বলেন: আবদুল্লাহ সত্যবাদী এবং দোষমুক্ত। আবূ হাতিম তাঁকে যঈফ বলেছেন। ইবন মাদিনী (র) বলেন: উন্মু ফারওয়া হলেন আবূ বকর (রা)-এর বৈপিত্রেয় বোন, যে বলে উম্মু ফারওয়া আনসার মহিলা, সে সন্দেহের শিকার হয়েছে।
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي أول وَقتهَا
583 - وَعَن أم فَرْوَة رَضِي الله عَنْهَا وَكَانَت مِمَّن بَايع النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَت سُئِلَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَي الْأَعْمَال أفضل قَالَ الصَّلَاة لأوّل وَقتهَا
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ لَا يرْوى إِلَّا من حَدِيث عبد الله بن عمر الْعمريّ
وَلَيْسَ بِالْقَوِيّ عِنْد أهل الحَدِيث
واضطربوا فِي هَذَا الحَدِيث
قَالَ الْحَافِظ رَضِي الله عَنهُ عبد الله هَذَا صَدُوق حسن الحَدِيث فِيهِ لين
قَالَ أَحْمد صَالح الحَدِيث لَا بَأْس بِهِ وَقَالَ ابْن معِين يكْتب حَدِيثه وَقَالَ ابْن عدي صَدُوق لَا بَأْس بِهِ وَضَعفه أَبُو حَاتِم وَابْن الْمَدِينِيّ
وَأم فَرْوَة هَذِه هِيَ أُخْت أبي بكر الصّديق لِأَبِيهِ وَمن قَالَ فِيهَا أم فَرْوَة الْأَنْصَارِيَّة فقد وهم
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ لَا يرْوى إِلَّا من حَدِيث عبد الله بن عمر الْعمريّ
وَلَيْسَ بِالْقَوِيّ عِنْد أهل الحَدِيث
واضطربوا فِي هَذَا الحَدِيث
قَالَ الْحَافِظ رَضِي الله عَنهُ عبد الله هَذَا صَدُوق حسن الحَدِيث فِيهِ لين
قَالَ أَحْمد صَالح الحَدِيث لَا بَأْس بِهِ وَقَالَ ابْن معِين يكْتب حَدِيثه وَقَالَ ابْن عدي صَدُوق لَا بَأْس بِهِ وَضَعفه أَبُو حَاتِم وَابْن الْمَدِينِيّ
وَأم فَرْوَة هَذِه هِيَ أُخْت أبي بكر الصّديق لِأَبِيهِ وَمن قَالَ فِيهَا أم فَرْوَة الْأَنْصَارِيَّة فقد وهم
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছ দ্বারা নেক আমলের প্রতি সাহাবায়ে কেরামের আগ্রহ-উদ্দীপনার পরিচয় পাওয়া যায়। জানতে চাচ্ছেন, কোন আমল সবচে' শ্রেষ্ঠ। অর্থাৎ কোন আমল করলে আল্লাহ তাআলার বেশি নৈকট্য লাভ হবে। এ জিজ্ঞেস করার উদ্দেশ্য আল্লাহর কাছে যে আমল বেশি প্রিয় এবং যা দ্বারা তাঁর নৈকট্য বেশি লাভ হবে তাতে বেশি যত্নবান থাকা। দুনিয়াদারীতেও মানুষ সবচে' বেশি লাভজনক কাজ খোঁজে। সাহাবায়ে কেরামের অভ্যাস ছিল যে কাজ আখেরাতের পক্ষে বেশি লাভজনক তা জেনে নিয়ে তাতে বেশি বেশি মশগুল থাকা। এটা তাঁদের আখেরাতমুখী মানসিকতার পরিচায়ক।
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে জানালেন, ওয়াক্তমত নামায পড়া। অর্থাৎ ঈমানের পর ওয়াক্তমত নামায পড়া শ্রেষ্ঠতম আমল। এটাই আল্লাহ তাআলার কাছে সবচে' বেশি পসন্দ এবং এর দ্বারাই আল্লাহ তাআলার বেশি নৈকট্য লাভ করা যায়। অপর এক হাদীছে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন الصلاة خير موضوع، فمن استطاع أن يستكثر فليستكثر 'নামায আল্লাহপ্রদত্ত শ্রেষ্ঠতম কাজ। যার পক্ষে সম্ভব সে যেন তা বেশি বেশি করে।
ওয়াক্তমত নামায পড়া যখন শ্রেষ্ঠ আমল, তখন প্রত্যেকের উচিত পাঁচ ওয়াক্ত নামায ওয়াক্তমত আদায়ে সচেষ্ট থাকা। সতর্ক থাকা উচিত যাতে ইচ্ছাকৃতভাবে কোনও নামায কাযা না হয়ে যায়। ইচ্ছাকৃত নামায কাযা করা কবীরা গুনাহ। হাঁ, অসুস্থতা, ঘুম, শত্রুর হামলা বা অন্য কোনও গ্রহণযোগ্য ওযরের কারণে ওয়াক্তমত আদায় করতে না পারলে ভিন্ন কথা, তাতে গুনাহ নেই।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. ঈমানের পর নামাযই আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা বেশি প্রিয়। সুতরাং আমাদেরকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এ আমলে মনোযোগী থাকতে হবে।
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে জানালেন, ওয়াক্তমত নামায পড়া। অর্থাৎ ঈমানের পর ওয়াক্তমত নামায পড়া শ্রেষ্ঠতম আমল। এটাই আল্লাহ তাআলার কাছে সবচে' বেশি পসন্দ এবং এর দ্বারাই আল্লাহ তাআলার বেশি নৈকট্য লাভ করা যায়। অপর এক হাদীছে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন الصلاة خير موضوع، فمن استطاع أن يستكثر فليستكثر 'নামায আল্লাহপ্রদত্ত শ্রেষ্ঠতম কাজ। যার পক্ষে সম্ভব সে যেন তা বেশি বেশি করে।
ওয়াক্তমত নামায পড়া যখন শ্রেষ্ঠ আমল, তখন প্রত্যেকের উচিত পাঁচ ওয়াক্ত নামায ওয়াক্তমত আদায়ে সচেষ্ট থাকা। সতর্ক থাকা উচিত যাতে ইচ্ছাকৃতভাবে কোনও নামায কাযা না হয়ে যায়। ইচ্ছাকৃত নামায কাযা করা কবীরা গুনাহ। হাঁ, অসুস্থতা, ঘুম, শত্রুর হামলা বা অন্য কোনও গ্রহণযোগ্য ওযরের কারণে ওয়াক্তমত আদায় করতে না পারলে ভিন্ন কথা, তাতে গুনাহ নেই।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. ঈমানের পর নামাযই আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা বেশি প্রিয়। সুতরাং আমাদেরকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এ আমলে মনোযোগী থাকতে হবে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
