আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

৩. অধ্যায়ঃ ইলেম

হাদীস নং: ২৩৪
অধ্যায়ঃ ইলেম
কলহ্ ও অনর্থক বাদানুবাদ, পারস্পরিক অনর্থক যুক্তি প্রদান, ক্ষুব্ধ হওয়া এবং বিজয়ী হওয়ার প্রবণতার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং সত্য প্রতিষ্ঠা ও মিথ্যা তিরোহিত করার প্রতি অনুপ্রেরণা
২৩৪. হযরত আবুদ-দারদা, হযরত আবু উমামা ও হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তাঁরা বলেন, একদা কোন দ্বীনী বিষয়ে আমাদের বাদানুবাদে রত থাকা অবস্থায় রাসূলুল্লাহ্ (সা) আমাদের নিকট এলেন। তিনি ভীষণ ক্রদ্ধ হলেন, যার অনুরূপ ক্রদ্ধ তিনি কখনো হননি। অতঃপর তিনি আমাদের ধমক দিলেন। তিনি বললেন, হে উম্মতে মুহাম্মদী। তোমাদের পূর্বেকার উম্মত এজন্যই ধ্বংস হয়ে গেছে। তোমরা বাক-বিতণ্ডা বর্জন কর। কেননা এতে খুব অল্পই মঙ্গল রয়েছে। তোমরা বাক-বিতণ্ডা বর্জন কর। কেননা মুমিন বাক-বিতণ্ডা করে না। তোমরা ঝগড়া-বিবাদ বর্জন কর। কেননা বাক-বিতণ্ডাকারীর সর্বনাশের পূর্ণতা সাধিত হয়েছে। তোমরা বাক-বিতন্ডা পরিহার কর। কেননা কোন ব্যক্তির পাপী হওয়ার জন্যে তার অহরহ বাক-বিতণ্ডায় লিপ্ত থাকাটাই যথেষ্ট। বাক-বিতণ্ডা পরিহার কর, কেননা বাক-বিতণ্ডাকারীর জন্য আমি কিয়ামতের দিন শাফাআত করব না। তোমরা ঝগড়া-বিবাদ বর্জন করে চলো। কেননা যথার্থ দলীল-প্রমাণের অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যক্তি তা বর্জন করবে, আমি তার জন্য জান্নাতের পার্শ্বে, মধ্যস্থানে ও ঊর্ধ্বদেশে অবস্থিত তিনটি ঘরের যামিনদার। তোমরা ঝগড়া-বিবাদ বর্জন কর। কেননা মূর্তিপূজা বর্জনের পর আমার প্রতিপালক আমাকে যা সর্বপ্রথম নিষেধ করেন তা হলো, ঝগড়া-বিবাদ।
(ইমাম তাবারানী তাঁর 'কাবীর' গ্রন্থে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন।)
كتاب الْعلم
التَّرْهِيب من المراء والجدال والمخاصمة والمحاججة والقهر وَالْغَلَبَة وَالتَّرْغِيب فِي تَركه للمحق والمبطل
234 - وَرُوِيَ عَن أبي الدَّرْدَاء وَأبي أُمَامَة وواثلة بن الْأَسْقَع وَأنس بن مَالك رَضِي الله عَنْهُم قَالُوا خرج علينا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَوْمًا وَنحن نتمارى فِي شَيْء من أَمر الدّين فَغَضب غَضبا شَدِيدا لم يغْضب مثله ثمَّ انتهرنا فَقَالَ مهلا يَا أمة مُحَمَّد إِنَّمَا هلك من كَانَ قبلكُمْ
بِهَذَا ذَروا المراء لقلَّة خَيره ذَروا المراء فَإِن الْمُؤمن لَا يُمَارِي ذَروا المراء فَإِن المماري قد تمت خسارته ذَروا المراء فَكفى إِثْمًا أَن لَا تزَال مماريا ذَروا المراء فَإِن المماري لَا أشفع لَهُ يَوْم الْقِيَامَة ذَروا المراء فَأَنا زعيم بِثَلَاثَة أَبْيَات فِي الْجنَّة فِي رباضها ووسطها وأعلاها لمن ترك المراء وَهُوَ صَادِق ذَروا المراء فَإِن أول مَا نهاني عَنهُ رَبِّي بعد عبَادَة الْأَوْثَان المراء
الحَدِيث رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير