কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
৫. হজ্ব আদায়ের নিয়মাবলীর বিবরণ
হাদীস নং: ১৮০৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৮০৫
২২. হজ্জে কিরান।
১৮০৫. আব্দুল মালিক ইবনে শুআইব ইবনে লাইস ..... সালিম ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বিদায় হজ্জে তামাত্তো হজ্জ করেন, অর্থাৎ হজ্জের পূর্বে উমরা করেন। তিনি যুল হুলাইফা হতে ইহরাম বাঁধেন এবং নিজের সাথে কুরবানীর পশু নেন। আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁর হজ্জ এরূপে শুরু করেন যে, তিনি প্রথমে উমরার ইহরাম বাঁধেন, এরপর হজ্জের ইহরাম বাঁধেন। আর লোকেরাও নবী করীম (ﷺ) এর সাথে হজ্জের পূর্বে উমরা করেন।
কতিপয় লোক কুরবানীর পশু নেন আর কারো সাথে তা ছিল না। এরপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন মক্কায় উপনীত হন, তখন তিনি লোকদের বলেন, যাদের সাথে কুরবানীর পশু আছে তারা হজ্জের যাবতীয় অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইহরামুক্ত হতে পারবে না। আর যাদের সাথে কুরবানীর পশু নেই, তারা বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা মারওয়ার সা‘ঈ সম্পন্ন করে, মাথার চুল কেটে এরপর উমরা হতে হালাল হবে, তারপর হজ্জের যাবতীয় ইহরাম বাঁধবে এবং কুরবানী করবে। আর যে ব্যক্তি কুরবানী করতে অক্ষম সে যেন হজ্জের মধ্যে (সময়ে) তিনদিন এবং পরে নিজের পরিবারে প্রত্যাবর্তনের পর সাতদিন রোযা রাখে।
আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মক্কায় উপনীত হওয়ার পর সর্বপ্রথম হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করেন। এরপর সাতবার তাওয়াফের মধ্যে প্রথম তিন (বার) তাওয়াফ তিনি দ্রুত পদক্ষেপে সম্পন্ন করেন এবং বাকি চার (বার) তাওয়াফ সাধারণ গতিতে হেঁটে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করেন। অতঃপর হজ্জ সমাপন, কুরবানীর দিন কুরবানী করা এবং এরপর বায়তুল্লাহর তাওয়াফ সম্পন্ন না করা পর্যন্ত তিনি ইহরাম খুলেননি। এরপর যাবতীয় হারাম বস্তু হতে হালাল হন। (অর্থাৎ স্ত্রী সহবাস, শিকার ও অন্যান্য বস্তু যা হজ্জের মধ্যে নিষিদ্ধ ছিল তা হালাল হয়) আর যেসব লোক কুরবানীর পশু সঙ্গে এনেছিলেন তাঁরাও ঐরূপ করেন, যেরূপ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) করেছেন।
কতিপয় লোক কুরবানীর পশু নেন আর কারো সাথে তা ছিল না। এরপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন মক্কায় উপনীত হন, তখন তিনি লোকদের বলেন, যাদের সাথে কুরবানীর পশু আছে তারা হজ্জের যাবতীয় অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইহরামুক্ত হতে পারবে না। আর যাদের সাথে কুরবানীর পশু নেই, তারা বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা মারওয়ার সা‘ঈ সম্পন্ন করে, মাথার চুল কেটে এরপর উমরা হতে হালাল হবে, তারপর হজ্জের যাবতীয় ইহরাম বাঁধবে এবং কুরবানী করবে। আর যে ব্যক্তি কুরবানী করতে অক্ষম সে যেন হজ্জের মধ্যে (সময়ে) তিনদিন এবং পরে নিজের পরিবারে প্রত্যাবর্তনের পর সাতদিন রোযা রাখে।
আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মক্কায় উপনীত হওয়ার পর সর্বপ্রথম হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করেন। এরপর সাতবার তাওয়াফের মধ্যে প্রথম তিন (বার) তাওয়াফ তিনি দ্রুত পদক্ষেপে সম্পন্ন করেন এবং বাকি চার (বার) তাওয়াফ সাধারণ গতিতে হেঁটে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করেন। অতঃপর হজ্জ সমাপন, কুরবানীর দিন কুরবানী করা এবং এরপর বায়তুল্লাহর তাওয়াফ সম্পন্ন না করা পর্যন্ত তিনি ইহরাম খুলেননি। এরপর যাবতীয় হারাম বস্তু হতে হালাল হন। (অর্থাৎ স্ত্রী সহবাস, শিকার ও অন্যান্য বস্তু যা হজ্জের মধ্যে নিষিদ্ধ ছিল তা হালাল হয়) আর যেসব লোক কুরবানীর পশু সঙ্গে এনেছিলেন তাঁরাও ঐরূপ করেন, যেরূপ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) করেছেন।
باب فِي الإِقْرَانِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، ( عَنْ جَدِّي، ) عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ تَمَتَّعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَأَهْدَى وَسَاقَ مَعَهُ الْهَدْىَ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ وَبَدَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ ثُمَّ أَهَلَّ بِالْحَجِّ وَتَمَتَّعَ النَّاسُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَكَانَ مِنَ النَّاسِ مَنْ أَهْدَى وَسَاقَ الْهَدْىَ وَمِنْهُمْ مَنْ لَمْ يُهْدِ فَلَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَكَّةَ قَالَ لِلنَّاسِ " مَنْ كَانَ مِنْكُمْ أَهْدَى فَإِنَّهُ لاَ يَحِلُّ لَهُ مِنْ شَىْءٍ حَرُمَ مِنْهُ حَتَّى يَقْضِيَ حَجَّهُ وَمَنْ لَمْ يَكُنْ مِنْكُمْ أَهْدَى فَلْيَطُفْ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَلْيُقَصِّرْ وَلْيَحْلِلْ ثُمَّ لْيُهِلَّ بِالْحَجِّ وَلْيُهْدِ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ هَدْيًا فَلْيَصُمْ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ وَسَبْعَةً إِذَا رَجَعَ إِلَى أَهْلِهِ " . وَطَافَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ قَدِمَ مَكَّةَ فَاسْتَلَمَ الرُّكْنَ أَوَّلَ شَىْءٍ ثُمَّ خَبَّ ثَلاَثَةَ أَطْوَافٍ مِنَ السَّبْعِ وَمَشَى أَرْبَعَةَ أَطْوَافٍ ثُمَّ رَكَعَ حِينَ قَضَى طَوَافَهُ بِالْبَيْتِ عِنْدَ الْمَقَامِ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ فَانْصَرَفَ فَأَتَى الصَّفَا فَطَافَ بِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ سَبْعَةَ أَطْوَافٍ ثُمَّ لَمْ يَحْلِلْ مِنْ شَىْءٍ حَرُمَ مِنْهُ حَتَّى قَضَى حَجَّهُ وَنَحَرَ هَدْيَهُ يَوْمَ النَّحْرِ وَأَفَاضَ فَطَافَ بِالْبَيْتِ ثُمَّ حَلَّ مِنْ كُلِّ شَىْءٍ حَرُمَ مِنْهُ وَفَعَلَ النَّاسُ مِثْلَ مَا فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ أَهْدَى وَسَاقَ الْهَدْىَ مِنَ النَّاسِ .
