কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
৫. হজ্ব আদায়ের নিয়মাবলীর বিবরণ
হাদীস নং: ১৭৭০
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৭০
১৯. ইহরাম বাঁধার নির্দিষ্ট সময়।
১৭৭০. মুহাম্মাদ ইবনে মনসুর ...... সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-কে বলি, হে আবুল আব্বাস! আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সাহাবীদের মধ্যে মতানৈক্য দেখে আশ্চর্যান্বিত হই যে, নবী করীম (ﷺ) হজ্জের জন্য কখন ইহরাম বাঁধতেন।
তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে সকলের চেয়ে অধিক জানি। তা এই যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মাত্র একবারই হজ্জ করেছেন। আর এ কারণেই লোকেরা মতানৈক্য করছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) (মদীনা হতে) হজ্জে রওয়ানা হন। তিনি পথিমধ্যে যুল হুলাইফা নামক স্থানে অবতরণ করে সেখানকার মসজিদে (ইহরামের জন্য) দুই রাকআত নামায আদায় করেন। এই দুই রাকআত নামায শেষে তিনি হজ্জের ইহরাম বাঁধেন। এ সময় কিছু লোক তাঁর তালবিয়া পাঠ শোনেন এবং তারা এটা তাঁর নিকট হতে সংরক্ষণ করেন।
অতঃপর তিনি তাঁর উটে সওয়ার হন। তারা যখন নবী করীম (ﷺ)কে নিয়ে চলতে শুরু করে তখন তিনি জোরে জোরে তালবিয়া পাঠ করতে থাকেন। কিছু লোক তাঁর নিকট হতে এটা শুনে সংরক্ষণ করেন। আর এ ব্যাপারটি (অর্থাৎ তালবিয়া শুরু) সম্পর্কে মতানৈক্যের কারণ এই যে, লোকেরা এ সময় বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে তাঁর নিকট আসা-যাওয়া করতো। এমতাবস্থায় তারা তাঁকে উটের উপর বসে চলমান অবস্থায় তালবিয়া পাঠ করতে শুনেছিলেন। সে কারণে তাদের ধারণা হল যে, তিনি তখন হতেই তালবিয়া পাঠ শুরু করেন যখন তাঁর উট তাঁকে নিয়ে চলতে শুরু করে। (বস্তুত তারা জানত না যে, তিনি ইতিপূর্বেই তালবিয়া পাঠ শুরু করেছেন।)
এরপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সম্মুখে অগ্রসর হন। তিনি যখন বায়দার উচ্চভূমিতে ওঠেন, তখন সেখানেও তালবিয়া পাঠ করেন। এখানে কিছু সংখ্যক ব্যক্তি তা শুনতে পেয়ে বলেন, তিনি বায়দার উচ্চভূমিতে তালবিয়া পাঠ শুরু করেন। আল্লাহর শপথ! রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নামায আদায়ের পরই ইহরাম বাঁধেন এবং জোরে জোরে তালবিয়া পাঠ শুরু করেন, যখন তিনি উটের পৃষ্ঠে সওয়ার হন। বায়দার উচ্চভূমিতেও তিনি জোরে জোরে তালবিয়া পাঠ করেন।
রাবী সাঈদ বলেন, যে ব্যক্তি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর বর্ণনানুযায়ী কাজ করে, সে যেন দু রাকআত নামায আদায়ের পর ইহরাম বাঁধেন এবং তালবিয়া পাঠ শুরু করেন।
তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে সকলের চেয়ে অধিক জানি। তা এই যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মাত্র একবারই হজ্জ করেছেন। আর এ কারণেই লোকেরা মতানৈক্য করছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) (মদীনা হতে) হজ্জে রওয়ানা হন। তিনি পথিমধ্যে যুল হুলাইফা নামক স্থানে অবতরণ করে সেখানকার মসজিদে (ইহরামের জন্য) দুই রাকআত নামায আদায় করেন। এই দুই রাকআত নামায শেষে তিনি হজ্জের ইহরাম বাঁধেন। এ সময় কিছু লোক তাঁর তালবিয়া পাঠ শোনেন এবং তারা এটা তাঁর নিকট হতে সংরক্ষণ করেন।
অতঃপর তিনি তাঁর উটে সওয়ার হন। তারা যখন নবী করীম (ﷺ)কে নিয়ে চলতে শুরু করে তখন তিনি জোরে জোরে তালবিয়া পাঠ করতে থাকেন। কিছু লোক তাঁর নিকট হতে এটা শুনে সংরক্ষণ করেন। আর এ ব্যাপারটি (অর্থাৎ তালবিয়া শুরু) সম্পর্কে মতানৈক্যের কারণ এই যে, লোকেরা এ সময় বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে তাঁর নিকট আসা-যাওয়া করতো। এমতাবস্থায় তারা তাঁকে উটের উপর বসে চলমান অবস্থায় তালবিয়া পাঠ করতে শুনেছিলেন। সে কারণে তাদের ধারণা হল যে, তিনি তখন হতেই তালবিয়া পাঠ শুরু করেন যখন তাঁর উট তাঁকে নিয়ে চলতে শুরু করে। (বস্তুত তারা জানত না যে, তিনি ইতিপূর্বেই তালবিয়া পাঠ শুরু করেছেন।)
এরপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সম্মুখে অগ্রসর হন। তিনি যখন বায়দার উচ্চভূমিতে ওঠেন, তখন সেখানেও তালবিয়া পাঠ করেন। এখানে কিছু সংখ্যক ব্যক্তি তা শুনতে পেয়ে বলেন, তিনি বায়দার উচ্চভূমিতে তালবিয়া পাঠ শুরু করেন। আল্লাহর শপথ! রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নামায আদায়ের পরই ইহরাম বাঁধেন এবং জোরে জোরে তালবিয়া পাঠ শুরু করেন, যখন তিনি উটের পৃষ্ঠে সওয়ার হন। বায়দার উচ্চভূমিতেও তিনি জোরে জোরে তালবিয়া পাঠ করেন।
রাবী সাঈদ বলেন, যে ব্যক্তি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর বর্ণনানুযায়ী কাজ করে, সে যেন দু রাকআত নামায আদায়ের পর ইহরাম বাঁধেন এবং তালবিয়া পাঠ শুরু করেন।
باب فِي وَقْتِ الإِحْرَامِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، - يَعْنِي ابْنَ إِبْرَاهِيمَ - حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ حَدَّثَنِي خُصَيْفُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجَزَرِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ يَا أَبَا الْعَبَّاسِ عَجِبْتُ لاِخْتِلاَفِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي إِهْلاَلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ أَوْجَبَ . فَقَالَ إِنِّي لأَعْلَمُ النَّاسِ بِذَلِكَ إِنَّهَا إِنَّمَا كَانَتْ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَجَّةٌ وَاحِدَةٌ فَمِنْ هُنَاكَ اخْتَلَفُوا خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَاجًّا فَلَمَّا صَلَّى فِي مَسْجِدِهِ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْهِ أَوْجَبَ فِي مَجْلِسِهِ فَأَهَلَّ بِالْحَجِّ حِينَ فَرَغَ مِنْ رَكْعَتَيْهِ فَسَمِعَ ذَلِكَ مِنْهُ أَقْوَامٌ فَحَفِظْتُهُ عَنْهُ ثُمَّ رَكِبَ فَلَمَّا اسْتَقَلَّتْ بِهِ نَاقَتُهُ أَهَلَّ وَأَدْرَكَ ذَلِكَ مِنْهُ أَقْوَامٌ وَذَلِكَ أَنَّ النَّاسَ إِنَّمَا كَانُوا يَأْتُونَ أَرْسَالاً فَسَمِعُوهُ حِينَ اسْتَقَلَّتْ بِهِ نَاقَتُهُ يُهِلُّ فَقَالُوا إِنَّمَا أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ اسْتَقَلَّتْ بِهِ نَاقَتُهُ ثُمَّ مَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا عَلاَ عَلَى شَرَفِ الْبَيْدَاءِ أَهَلَّ وَأَدْرَكَ ذَلِكَ مِنْهُ أَقْوَامٌ فَقَالُوا إِنَّمَا أَهَلَّ حِينَ عَلاَ عَلَى شَرَفِ الْبَيْدَاءِ وَايْمُ اللَّهِ لَقَدْ أَوْجَبَ فِي مُصَلاَّهُ وَأَهَلَّ حِينَ اسْتَقَلَّتْ بِهِ نَاقَتُهُ وَأَهَلَّ حِينَ عَلاَ عَلَى شَرَفِ الْبَيْدَاءِ . قَالَ سَعِيدٌ فَمَنْ أَخَذَ بِقَوْلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَهَلَّ فِي مُصَلاَّهُ إِذَا فَرَغَ مِنْ رَكْعَتَيْهِ .
