কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
৫. হজ্ব আদায়ের নিয়মাবলীর বিবরণ
হাদীস নং: ১৭৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৩৩
৫. (হজ্জের সময়) পশু ভাড়ায় খাটানো।
১৭৩৩. মুসাদ্দা্দ (রাহঃ) ...... আবু উমামা আত-তায়মী (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এমন এক ব্যক্তি যে এই (হজ্জের সফরের) উদ্দেশ্যে (জন্তু-যান) ভাড়ায় দিতাম এবং লোকেরা (আমাকে) বলতঃ তোমার হজ্জ শুদ্ধ হয় না। (কেননা তুমি আসলে হজ্জের উদ্দেশ্যে বের হও না, বরং ব্যবসার উদ্দেশ্যে নির্গত হও)। অতএব আমি ইবনে উমর (রাযিঃ) এর সাথে সাক্ষাত করে বললাম, হে আবু আব্দুর রহমান! আমি এই (হজ্জের সফরের) উদ্দেশ্যে (জন্তুযান) ভাড়ায় দিয়ে থাকি। আর লোকেরা বলেঃ তোমার হজ্জ হয় না।
ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, তুমি কি ইহরামের বস্ত্র পরিধান কর না, তালবিয়া পাঠ কর না, আল্লাহর ঘর তাওয়াফ কর না, আরাফাতে অবস্থান কর না এবং জামরায় কংকর নিক্ষেপ কর না? রাবী বলেন, আমি বললাম, হ্যাঁ, সবই করি। তিনি (ইবনে উমর) বলেন, নিশ্চয় তবে তো তোমার হজ্জ হয়ে গেল। একব্যক্তি নবী করিম (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাঁকে এরূপ প্রশ্ন করেন, যেরূপ প্রশ্ন তুমি আমাকে করেছ। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তার প্রশ্নের জবাব না দিয়ে চুপ থাকেন। যতক্ষণ না এই আয়াত নাযিল হয়ঃ (অর্থ) ‘‘তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ সন্ধান করাতে তোমাদের কোন পাপ নেই’’। (সূরা বাকারা: ১৯৮)। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ঐ ব্যক্তিকে ডেকে পাঠালেন এবং তার সামনে আয়াত তিলাওয়াত করেন এবং বলেন, তোমার হজ্জ শুদ্ধ হয়েছে।
ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, তুমি কি ইহরামের বস্ত্র পরিধান কর না, তালবিয়া পাঠ কর না, আল্লাহর ঘর তাওয়াফ কর না, আরাফাতে অবস্থান কর না এবং জামরায় কংকর নিক্ষেপ কর না? রাবী বলেন, আমি বললাম, হ্যাঁ, সবই করি। তিনি (ইবনে উমর) বলেন, নিশ্চয় তবে তো তোমার হজ্জ হয়ে গেল। একব্যক্তি নবী করিম (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাঁকে এরূপ প্রশ্ন করেন, যেরূপ প্রশ্ন তুমি আমাকে করেছ। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তার প্রশ্নের জবাব না দিয়ে চুপ থাকেন। যতক্ষণ না এই আয়াত নাযিল হয়ঃ (অর্থ) ‘‘তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ সন্ধান করাতে তোমাদের কোন পাপ নেই’’। (সূরা বাকারা: ১৯৮)। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ঐ ব্যক্তিকে ডেকে পাঠালেন এবং তার সামনে আয়াত তিলাওয়াত করেন এবং বলেন, তোমার হজ্জ শুদ্ধ হয়েছে।
باب الْكَرِيِّ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا الْعَلاَءُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، حَدَّثَنَا أَبُو أُمَامَةَ التَّيْمِيُّ، قَالَ كُنْتُ رَجُلاً أُكْرِي فِي هَذَا الْوَجْهِ وَكَانَ نَاسٌ يَقُولُونَ لِي إِنَّهُ لَيْسَ لَكَ حَجٌّ فَلَقِيتُ ابْنَ عُمَرَ فَقُلْتُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنِّي رَجُلٌ أُكْرِي فِي هَذَا الْوَجْهِ وَإِنَّ نَاسًا يَقُولُونَ لِي إِنَّهُ لَيْسَ لَكَ حَجٌّ فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ أَلَيْسَ تُحْرِمُ وَتُلَبِّي وَتَطُوفُ بِالْبَيْتِ وَتُفِيضُ مِنْ عَرَفَاتٍ وَتَرْمِي الْجِمَارَ قَالَ قُلْتُ بَلَى . قَالَ فَإِنَّ لَكَ حَجًّا جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَهُ عَنْ مِثْلِ مَا سَأَلْتَنِي عَنْهُ فَسَكَتَ عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يُجِبْهُ حَتَّى نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ( لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَبْتَغُوا فَضْلاً مِنْ رَبِّكُمْ ) فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَرَأَ عَلَيْهِ هَذِهِ الآيَةَ وَقَالَ " لَكَ حَجٌّ " .
