কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
৩. যাকাতের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৬২৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৬২৯
২৩. যাকাত কাকে দিতে হবে এবং কাকে ধনী বলা যায়।
১৬২৯. আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ..... সাহল ইবনুর-রাবী আল-হানযালীয়া (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খিদমতে উয়াইনা ইবনে হিসন ও আল-আকরা ইবনে হাবিস আগমন করে। তারা উভয়ে তাঁর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করলে তিনি তাদের প্রার্থনার অনুরূপ মাল প্রদানের নির্দেশ দেন এবং মুআবিয়া (রাযিঃ)-কে তাদের অনুকূলে একটি দলীল লিখে দিতে নির্দেশ দেন। তখন মুআবিয়া (রাযিঃ) তাদের উভয়ের চাহিদা অনুযায়ী তা লিখে দেন। অতঃপর আকরা এই নির্দেশনামা নিয়ে তা ভাঁজ করে তার পাগড়ীর মধ্যে লুকিয়ে চলে যায়। কিন্তু উয়াইনা নিজের নির্দেশনামা গ্রহণ করে তা নিয়ে নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট এসে বলেঃ ইয়া মুহাম্মাদ! আপনি কি চান যে, আমি আমার কওমের নিকট এমন একটি পত্র বহন করে নিয়ে যাই যার বিষয়বস্তু সম্পর্কে আমি অজ্ঞ (সহীফাতুল মুতালাম্মেসের)* মত।
মুআবিয়া (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে তার কথা অবহিত করেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ যে ব্যক্তি ধনী (অমুখাপেক্ষী) হওয়া সত্ত্বেও সম্পদ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে অন্যের নিকট কিছু চায়, সে অধিক দোজখের আগুন চায়। রাবী নুফায়লীর অন্য বর্ণনায় আছেঃ জাহান্নামের জ্বলন্ত অঙ্গার চায়। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! ধনী (বা মুখাপেক্ষী) হওয়ার সীমা কি? রাবী নুফায়লীর অন্য বর্ণনায় উল্লেখ করেনঃ অমুখাপেক্ষীতার সীমা কি, যার কারণে অন্যের নিকট কিছু চাওয়া অনুচিত হয়? তিনি বলেন, কারো নিকট এমন সম্পদ থাকা, যা তার সকাল ও সন্ধ্যার প্রয়োজনের জন্য যথেষ্ট। রাবী নুফায়লীর অন্য বর্ণনায় আছেঃ যে ব্যক্তির নিকট এমন পরিমাণ সম্পদ হবে, যা তার রাত-দিন বা দিন-রাতের জন্য যথেষ্ট। ইমাম আবু দাউদ (রাহঃ) বলেনঃ আমি এখানে যে হাদীস উল্লেখ করলাম তা নুফায়লী আমাদের নিকট সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন।
* মুতালাম্মেসের দলীল, ইনি প্রাচীন আরবের একজন কবি ছিলেন। কোন এক বাদশাহের বিরুদ্ধে বিদ্রুপাত্মক কবিতা রচনা করায় তিনি রুষ্ট হন এবং তাঁর এক গভর্নরের নিকট একটি একটি পত্রসহ তাঁকে পাঠান। কবি মনে করেন, নিশ্চয় বাদ্শাহ তাঁকে পুরস্কৃত করার জন্য লিখেছেন। পথিমধ্যে সন্দেহ বশে তিনি পত্র খুলে দেখতে পান যে, তন্মধ্যে তাঁর মৃত্যুদন্ড দেওয়ার নিদের্শ আছে। অতঃপর তিনি সেই গভর্নরের নিকট উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকেন এবং বেঁচে যান। এমতাবস্থায় তা একটি আরবীয় প্রবাদবাক্যে পরিণত হয়েছে।
মুআবিয়া (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে তার কথা অবহিত করেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ যে ব্যক্তি ধনী (অমুখাপেক্ষী) হওয়া সত্ত্বেও সম্পদ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে অন্যের নিকট কিছু চায়, সে অধিক দোজখের আগুন চায়। রাবী নুফায়লীর অন্য বর্ণনায় আছেঃ জাহান্নামের জ্বলন্ত অঙ্গার চায়। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! ধনী (বা মুখাপেক্ষী) হওয়ার সীমা কি? রাবী নুফায়লীর অন্য বর্ণনায় উল্লেখ করেনঃ অমুখাপেক্ষীতার সীমা কি, যার কারণে অন্যের নিকট কিছু চাওয়া অনুচিত হয়? তিনি বলেন, কারো নিকট এমন সম্পদ থাকা, যা তার সকাল ও সন্ধ্যার প্রয়োজনের জন্য যথেষ্ট। রাবী নুফায়লীর অন্য বর্ণনায় আছেঃ যে ব্যক্তির নিকট এমন পরিমাণ সম্পদ হবে, যা তার রাত-দিন বা দিন-রাতের জন্য যথেষ্ট। ইমাম আবু দাউদ (রাহঃ) বলেনঃ আমি এখানে যে হাদীস উল্লেখ করলাম তা নুফায়লী আমাদের নিকট সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন।
* মুতালাম্মেসের দলীল, ইনি প্রাচীন আরবের একজন কবি ছিলেন। কোন এক বাদশাহের বিরুদ্ধে বিদ্রুপাত্মক কবিতা রচনা করায় তিনি রুষ্ট হন এবং তাঁর এক গভর্নরের নিকট একটি একটি পত্রসহ তাঁকে পাঠান। কবি মনে করেন, নিশ্চয় বাদ্শাহ তাঁকে পুরস্কৃত করার জন্য লিখেছেন। পথিমধ্যে সন্দেহ বশে তিনি পত্র খুলে দেখতে পান যে, তন্মধ্যে তাঁর মৃত্যুদন্ড দেওয়ার নিদের্শ আছে। অতঃপর তিনি সেই গভর্নরের নিকট উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকেন এবং বেঁচে যান। এমতাবস্থায় তা একটি আরবীয় প্রবাদবাক্যে পরিণত হয়েছে।
باب مَنْ يُعْطَى مِنَ الصَّدَقَةِ وَحَدِّ الْغِنَى
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مِسْكِينٌ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُهَاجِرِ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي كَبْشَةَ السَّلُولِيِّ، حَدَّثَنَا سَهْلُ ابْنُ الْحَنْظَلِيَّةِ، قَالَ قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ عُيَيْنَةُ بْنُ حِصْنٍ وَالأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ فَسَأَلاَهُ فَأَمَرَ لَهُمَا بِمَا سَأَلاَ وَأَمَرَ مُعَاوِيَةَ فَكَتَبَ لَهُمَا بِمَا سَأَلاَ فَأَمَّا الأَقْرَعُ فَأَخَذَ كِتَابَهُ فَلَفَّهُ فِي عِمَامَتِهِ وَانْطَلَقَ وَأَمَّا عُيَيْنَةُ فَأَخَذَ كِتَابَهُ وَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَكَانَهُ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ أَتَرَانِي حَامِلاً إِلَى قَوْمِي كِتَابًا لاَ أَدْرِي مَا فِيهِ كَصَحِيفَةِ الْمُتَلَمِّسِ . فَأَخْبَرَ مُعَاوِيَةُ بِقَوْلِهِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ سَأَلَ وَعِنْدَهُ مَا يُغْنِيهِ فَإِنَّمَا يَسْتَكْثِرُ مِنَ النَّارِ " . وَقَالَ النُّفَيْلِيُّ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ " مِنْ جَمْرِ جَهَنَّمَ " . فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا يُغْنِيهِ وَقَالَ النُّفَيْلِيُّ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ وَمَا الْغِنَى الَّذِي لاَ تَنْبَغِي مَعَهُ الْمَسْأَلَةُ قَالَ " قَدْرُ مَا يُغَدِّيهِ وَيُعَشِّيهِ " . وَقَالَ النُّفَيْلِيُّ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ " أَنْ يَكُونَ لَهُ شِبَعُ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ أَوْ لَيْلَةٍ وَيَوْمٍ " . وَكَانَ حَدَّثَنَا بِهِ مُخْتَصِرًا عَلَى هَذِهِ الأَلْفَاظِ الَّتِي ذُكِرَتْ .
