আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

২১- হজ্জ্বের অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৯১
১০৬৫. যে ব্যক্তি কুরবানীর জানোয়ার সঙ্গে নিয়ে যায়
১৫৮৫। ইয়াহয়া ইবনে বুকাইর (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বিদায় হজ্জের সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হজ্জ ও উমরা একসাথে পালন করেছেন। তিনি হাদী পাঠান অর্থাৎ যুল হুলাইফা থেকে কুরবানীর জানোয়ার সাথে নিয়ে নেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রথমে উমরার ইহরাম বাঁধেন, এরপর হজ্জের ইহরাম বাঁধেন। সাহাবীগণ তাঁর সঙ্গে উমরা ও হজ্জের নিয়াতে তামাত্তু করলেন। সাহাবীগণের কতেক হাদী সাথে নিয়ে চললেন, আর কেউ কেউ হাদী সাথে নেন নি। এরপর নবী (ﷺ) মক্কা পৌঁছে সাহাবীগণকে উদ্দেশ্য করে বললেনঃ তোমাদের মধ্যে যারা হাদী সাথে নিয়ে এসেছ, তাঁদের জন্য হজ্জ সমাপ্ত করা পর্যন্ত কোন নিষিদ্ধ জিনিস হালাল হবে না। আর তোমাদের মধ্যে যারা হাদী সাথে নিয়ে আসনি, তাঁরা বায়তুল্লাহর এবং সাফা-মারওয়ার তাওয়াফ করে চুল কেটে হালাল হয়ে যাবে। এরপর হজ্জের ইহরাম বাধবে। তবে যারা কুরবানী করতে পারবে না তাঁরা হজ্জের সময় তিনদিন এবং বাড়িতে ফিরে গিয়ে সাতদিন রোযা পালন করবে। নবী (ﷺ) মক্কা পৌঁছেই তাওয়াফ করলেন। প্রথমে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করলেন এবং তিন চক্কর রমল করে আর চার চক্কর স্বাভাবিকভাবে হেঁটে তাওয়াফ করলেন। বায়তুল্লাহর তাওয়াফ সম্পন্ন করে তিনি মাকামে ইবরাহীমের নিকট দু’ রাক’আত নামায আদায় করলেন, সালাম ফিরিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাফায় আসলেন এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাত চক্কর সা’ঈ করলেন। হজ্জ সমাধা করা পর্যন্ত তিনি যা কিছু হারাম ছিল তা থেকে হালাল হননি। তিনি কুরবানীর দিনে হাদী কুরবানী করলেন, সেখান থেকে এসে তিনি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করলেন। তারপর তাঁর উপর যা হারাম ছিল সে সবকিছু থেকে তিনি হালাল হয়ে গেলেন। সাহাবীগণের মধ্যে যারা হাদী সাথে নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা সেরূপ করলেন, যেরূপ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) করেছিলেন।
উরওয়া (রাহঃ) আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, নবী (ﷺ) হজ্জের সাথে উমরা পালন করেন এবং তাঁর সঙ্গে সাহাবীগণও তামাত্তু করেন, যেমনি বর্ণনা করেছেন সালিম (রাহঃ) ইবনে উমর (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন