কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ১৪৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৩৫
৩৪৯. বিতরের ওয়াক্ত সম্পর্কে।
১৪৩৫. আহমাদ ইবনে ইউনুস (রাহঃ) .... মাসরূক (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞসা করি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাত্রির কোন সময়ে বিতর আদায় করতেন? তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইশার নামায আদায়ের পর বিতরের নামায কোন সময় রাত্রির প্রথমাংশে, কোন সময় মধ্যম অংশে এবং কোন সময় শেষাংশে আদায় করতেন। তবে তিনি ইনতিকালের পূর্বে শেষ রাত্রিতে বিতরের নামায আদায় করতেন।
باب فِي وَقْتِ الْوِتْرِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ مَتَى كَانَ يُوتِرُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ كُلَّ ذَلِكَ قَدْ فَعَلَ أَوْتَرَ أَوَّلَ اللَّيْلِ وَوَسَطَهُ وَآخِرَهُ وَلَكِنِ انْتَهَى وِتْرُهُ حِينَ مَاتَ إِلَى السَّحَرِ .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, রসূল স. রাতের যে কোন অংশে বিতির পড়তেন। তবে তাঁর জীবনের সর্বশেষ শেষ আমল ছিলো শেষ রাতে বিতির পড়া। সুতরাং শেষ রাতে ঘুম ভাঙ্গা নিশ্চিত হলে তখন বিতির পড়া তুলনামূলক বেশী উত্তম হবে। হযরত জাবের রা. থেকে বর্ণিত অপর একটি সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, রসূল স. বলেন, أَيُّكُمْ خَافَ أَنْ لَا يَقُومَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ فَلْيُوتِرْ، ثُمَّ لِيَرْقُدْ، وَمَنْ وَثِقَ بِقِيَامٍ مِنَ اللَّيْلِ فَلْيُوتِرْ مِنْ آخِرِهِ، “যে ব্যক্তি আশঙ্কা করে যে, শেষ রাতে উঠতে পারবে না, সে যেন শুরু রাতে বিতির পড়ে তারপরে ঘুমায়। আর যে ব্যক্তি রাতে উঠার দৃঢ়তা রাখে সে যেন শেষ রাতে বিতির পড়ে”। (মুসলিম-১৬৪০) এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৩৬৯)
সুনানে আবু দাউদ - হাদীস নং ১৪৩৫ | মুসলিম বাংলা