কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ১৩৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৯৩
৩৩২. আল-কুরআনকে পারা ও অংশে ভাগ করে পড়া সম্পর্কে।
১৩৯৩. মুসাদ্দাদ এবং আব্দুল্লাহ ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ..... আওস ইবনে হুযাইফা (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমরা বনী ছাকীফ, যাদের সাথে চুক্তি হয়েছিল, গোত্রের প্রতিনিধি দলের সাথে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খিদমতে উপস্থিত হই। তারা মুগীরা ইবনে শোবা (রাযিঃ) এর বাড়িতে উঠেন। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মালেক গোত্রের লোকদের তাঁর একটি প্রকোষ্ঠে স্থান দেন।

রাবী মুসাদ্দাদের বর্ণনায় আছেঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খিদমতে বনী ছাকীফের যে প্রতিনিধি দল এসেছিল, তাদের মধ্যে আওস ইবনে হুযাইফাও ছিলেন। রাবী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রত্যহ ইশার নামায আদায়ের পর উক্ত প্রকোষ্ঠে (আবাসস্থানে) গমন করে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে কথাবার্তা বলতেন। রাবী আবু সাঈদ (রাযিঃ) বলেনঃ তিনি তাদেরকে দীর্ঘক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে ইরশাদ করার সময় একবার এক পায়ের উপর ভর করতেন এবং পুনরায় অন্য পায়ের উপর এবং তিনি তাঁর বক্তব্যে কুরায়েশদের সাথে সম্পর্কিত ব্যাপার নিয়ে অধিকাংশ সময় আলোচনা করতেন।

অতঃপর তিনি বলতেনঃ মক্কাতে অবস্থানকালে আমরা তাদের সমকক্ষ ছিলাম না, বরং দুর্বল ও অসহায় ছিলাম। অতঃপর মদীনাতে আগমনের পর যুদ্ধে কখনও আমরা বিজয়ী হয়েছি এবং কখনও তারা জয়ী হয়েছে। একদা রজনীতে তিনি আমাদের নিকট আসতে নির্ধারিত সময়ের চাইতে কিছু বিলম্ব করেন। তখন আমরা তাঁকে বলিঃ আজ আপনি বিলম্বে এসেছেন। তিনি বলেনঃ অদ্য কুরআন তিলাওয়াতের সময় তার কিছু অংশ পড়তে বাকি ছিল যা সমাপ্ত না করে আমি আসতে পছন্দ করি নাই।

রাবী আওস বলেনঃ একদা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবীদের জিজ্ঞাসা করিঃ আপনার কুরআন পাঠের জন্য কিরূপে বাছাই করেন? তখন তাঁরা বলেনঃ আমরা প্রথম অংশ তিন সূরা (বাকারা-নিসা), দ্বিতীয় অংশ পাঁচ সূরা (মায়েদা-তওবা), তৃতীয় অংশ সাত সূরা (ইউনুস-নাহল), চতুর্থ অংশ নয় সূরা (ইসরা-ফুরকান), পঞ্চম অংশ এগার সূরা (শুআরা-ইয়াসীন), ষষ্ঠ অংশ তের সূরা (সাফফাত-হুজুরাত) এবং সপ্তম অংশ মুফাসসালের (সূরা কাফ হতে সূরা নাস পর্যন্ত) সূরাগুলি পাঠ করি (অর্থাৎ আমরা সাত দিনে কুরআন খতম করে থাকি)।
باب تَحْزِيبِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، أَخْبَرَنَا قُرَّانُ بْنُ تَمَّامٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو خَالِدٍ، - وَهَذَا لَفْظُهُ - عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْلَى، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَوْسٍ، عَنْ جَدِّهِ، - قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ فِي حَدِيثِهِ أَوْسُ بْنُ حُذَيْفَةَ - قَالَ قَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي وَفْدِ ثَقِيفٍ - قَالَ - فَنَزَلَتِ الأَحْلاَفُ عَلَى الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ وَأَنْزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَنِي مَالِكٍ فِي قُبَّةٍ لَهُ . قَالَ مُسَدَّدٌ وَكَانَ فِي الْوَفْدِ الَّذِينَ قَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ ثَقِيفٍ قَالَ كَانَ كُلَّ لَيْلَةٍ يَأْتِينَا بَعْدَ الْعِشَاءِ يُحَدِّثُنَا . قَالَ أَبُو سَعِيدٍ قَائِمًا عَلَى رِجْلَيْهِ حَتَّى يُرَاوِحَ بَيْنَ رِجْلَيْهِ مِنْ طُولِ الْقِيَامِ وَأَكْثَرُ مَا يُحَدِّثُنَا مَا لَقِيَ مِنْ قَوْمِهِ مِنْ قُرَيْشٍ ثُمَّ يَقُولُ لاَ سَوَاءً كُنَّا مُسْتَضْعَفِينَ مُسْتَذَلِّينَ - قَالَ مُسَدَّدٌ بِمَكَّةَ - فَلَمَّا خَرَجْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ كَانَتْ سِجَالُ الْحَرْبِ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ نُدَالُ عَلَيْهِمْ وَيُدَالُونَ عَلَيْنَا فَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةً أَبْطَأَ عَنِ الْوَقْتِ الَّذِي كَانَ يَأْتِينَا فِيهِ فَقُلْنَا لَقَدْ أَبْطَأْتَ عَنَّا اللَّيْلَةَ . قَالَ إِنَّهُ طَرَأَ عَلَىَّ جُزْئِي مِنَ الْقُرْآنِ فَكَرِهْتُ أَنْ أَجِيءَ حَتَّى أُتِمَّهُ . قَالَ أَوْسٌ سَأَلْتُ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَيْفَ يُحَزِّبُونَ الْقُرْآنَ قَالُوا ثَلاَثٌ وَخَمْسٌ وَسَبْعٌ وَتِسْعٌ وَإِحْدَى عَشْرَةَ وَثَلاَثَ عَشْرَةَ وَحِزْبُ الْمُفَصَّلِ وَحْدَهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَحَدِيثُ أَبِي سَعِيدٍ أَتَمُّ .
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
rabi
বর্ণনাকারী:
সুনানে আবু দাউদ - হাদীস নং ১৩৯৩ | মুসলিম বাংলা