কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৩৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৬৭
৩২১. রাতের (তাহাজ্জুদ) নামায সম্পর্কে।
১৩৬৭. আল-কানবী (রাহঃ) ...... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর আযাদকৃত গোলাম কুরায়েব (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) তাঁর নিকট বর্ণনা করেন যে, এক রাতে তিনি তাঁর খালা এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর স্ত্রী মায়মুনা (রাযিঃ) এর গৃহে আবস্থান করেন। তিনি বলেনঃ আমি বালিশের পাশে মাথা রেখে শয়ন করি এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তাঁর পত্নি বালিশের লম্বা ভাগের উপর মাথা রেখে শয়ন করেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিদ্রাভিভূত হয়ে পড়েন। তিনি রাতের অর্ধেক বা এর চাইতে একটু কম বা বেশী সময়ের পর জাগ্রত হয়ে হাতের সাহায্যে তাঁর চক্ষু রগড়াতে থাকেন এবং সূরা আলে ইমরানের শেষ দশ আয়াত তিলাওয়াত করেন।
অতঃপর আমিও উঠে তাঁর মত উযু করে তাঁর পাশে গিয়ে দাঁড়াই। এ সময় তিনি তাঁর ডান হাত দ্বারা আমার কান স্পর্শ করেন। অতঃপর তিনি দুই রাকআত, পরে দুই রাকআত, আরো পরে দুই রাকআত, পুনঃ দুই রাকআত, আবার দুই রাকআত এবং সবশেষে আরো দুই রাকআত নামায আদায় করেন। রাবী আল-কানবী বলেনঃ এরূপ তিনি ছয় বার নামায আদায় করেন। অতঃপর তিনি শেষ রাকআতের সাথে এক রাকআত মিলিয়ে বিতর আদায় করে শুয়ে পড়েন। অবশেষে মুয়াযযিন এসে তাঁকে নামাযের খবর দিলে তিনি হালকাভাবে দুই রাকআত নামায (ফজরের সুন্নত) আদায় করে গৃহ হতে বের হয়ে ফজরের ফরয নামায (মসজিদে) জামাআতের সাথে আদায় করেন।
অতঃপর আমিও উঠে তাঁর মত উযু করে তাঁর পাশে গিয়ে দাঁড়াই। এ সময় তিনি তাঁর ডান হাত দ্বারা আমার কান স্পর্শ করেন। অতঃপর তিনি দুই রাকআত, পরে দুই রাকআত, আরো পরে দুই রাকআত, পুনঃ দুই রাকআত, আবার দুই রাকআত এবং সবশেষে আরো দুই রাকআত নামায আদায় করেন। রাবী আল-কানবী বলেনঃ এরূপ তিনি ছয় বার নামায আদায় করেন। অতঃপর তিনি শেষ রাকআতের সাথে এক রাকআত মিলিয়ে বিতর আদায় করে শুয়ে পড়েন। অবশেষে মুয়াযযিন এসে তাঁকে নামাযের খবর দিলে তিনি হালকাভাবে দুই রাকআত নামায (ফজরের সুন্নত) আদায় করে গৃহ হতে বের হয়ে ফজরের ফরয নামায (মসজিদে) জামাআতের সাথে আদায় করেন।
باب فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ مَخْرَمَةَ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، أَخْبَرَهُ : أَنَّهُ، بَاتَ عِنْدَ مَيْمُونَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهِيَ خَالَتُهُ - قَالَ - فَاضْطَجَعْتُ فِي عَرْضِ الْوِسَادَةِ، وَاضْطَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَهْلُهُ فِي طُولِهَا، فَنَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى إِذَا انْتَصَفَ اللَّيْلُ - أَوْ قَبْلَهُ بِقَلِيلٍ، أَوْ بَعْدَهُ بِقَلِيلٍ - اسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَلَسَ يَمْسَحُ النَّوْمَ عَنْ وَجْهِهِ بِيَدِهِ، ثُمَّ قَرَأَ الْعَشْرَ الآيَاتِ الْخَوَاتِمَ مِنْ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ، ثُمَّ قَامَ إِلَى شَنٍّ مُعَلَّقَةٍ فَتَوَضَّأَ مِنْهَا فَأَحْسَنَ وُضُوءَهُ، ثُمَّ قَامَ يُصَلِّي، قَالَ عَبْدُ اللَّهِ : فَقُمْتُ فَصَنَعْتُ مِثْلَ مَا صَنَعَ، ثُمَّ ذَهَبْتُ فَقُمْتُ إِلَى جَنْبِهِ، فَوَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى رَأْسِي فَأَخَذَ بِأُذُنِي يَفْتِلُهَا، فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ، قَالَ الْقَعْنَبِيُّ : سِتَّ مَرَّاتٍ، ثُمَّ أَوْتَرَ، ثُمَّ اضْطَجَعَ، حَتَّى جَاءَهُ الْمُؤَذِّنُ فَقَامَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ، ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى الصُّبْحَ .
