কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৩৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৬৪
৩২১. রাতের (তাহাজ্জুদ) নামায সম্পর্কে।
১৩৬৪. আব্দুল মালিক ইবনে শুআইব (রাহঃ) ...... মাখরামা ইবনে সুলাইমান (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ তাঁকে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর আযাদকৃত গোলাম কুরাইব আবহিত করেন যে, একদা তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাত্রিতে কিরূপ নামায আদায় করতেন? তখন তিনি বলেনঃ একদা রাত্রিতে আমি তাঁর সাথে অবস্থান করি, ঐ সময় তিনি মায়মুনা (রাযিঃ) এর গৃহে ছিলেন। অতঃপর তিনি নিদ্রা যান এবং রাতের এক-তৃতীয়াংশে অথবা অর্ধেক অতিক্রান্ত হওয়ার পর তিনি গাত্রোত্থান করে পানির বদনায় কাছে গিয়ে উযু করেন এবং আমিও তাঁর সাথে উযু করি। অতঃপর তিনি নামাযে দণ্ডায়মান হলে আমি তাঁর বাম পাশে গিয়ে দাঁড়লে তিনি আমাকে টেনে ডান পাশে নিয়ে আসেন।
পরে তিনি তাঁর হস্ত মোবারক আমার মস্তকের উপর স্থাপন করেন, তিনি আমার কান মলে আমাকে সতর্ক করেন। এই সময় তিনি হাল্কাভাবে দুই রাকআত নামায আদায় করেন। আমার মনে হয় যে, তিনি প্রতি রাকআতে সূরা ফাতিহা পাঠ করেন। অতঃপর তিনি সালাম ফিরান এবং পরে বিতর সহ এগার রাকআত নামায আদায় করে ঘুমিয়ে পড়েন। অতঃপর বিলাল (রাযিঃ) এসে নামায ইয়া রাসুলাল্লাহ বলায় তিনি উযু করে দাঁড়িয়ে দুই রাকআত নামায (ফজরের সুন্নত) আদায় করেন, পরে মসজিদে গিয়ে লোকদের সাথে জামাআতে ফজরের নামায আদায় করেন।
পরে তিনি তাঁর হস্ত মোবারক আমার মস্তকের উপর স্থাপন করেন, তিনি আমার কান মলে আমাকে সতর্ক করেন। এই সময় তিনি হাল্কাভাবে দুই রাকআত নামায আদায় করেন। আমার মনে হয় যে, তিনি প্রতি রাকআতে সূরা ফাতিহা পাঠ করেন। অতঃপর তিনি সালাম ফিরান এবং পরে বিতর সহ এগার রাকআত নামায আদায় করে ঘুমিয়ে পড়েন। অতঃপর বিলাল (রাযিঃ) এসে নামায ইয়া রাসুলাল্লাহ বলায় তিনি উযু করে দাঁড়িয়ে দুই রাকআত নামায (ফজরের সুন্নত) আদায় করেন, পরে মসজিদে গিয়ে লোকদের সাথে জামাআতে ফজরের নামায আদায় করেন।
باب فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، عَنْ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ مَخْرَمَةَ بْنِ سُلَيْمَانَ، أَنَّ كُرَيْبًا، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، قَالَ : سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ كَيْفَ كَانَتْ صَلاَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِاللَّيْلِ قَالَ : بِتُّ عِنْدَهُ لَيْلَةً وَهُوَ عِنْدَ مَيْمُونَةَ، فَنَامَ حَتَّى إِذَا ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ أَوْ نِصْفُهُ اسْتَيْقَظَ فَقَامَ إِلَى شَنٍّ فِيهِ مَاءٌ فَتَوَضَّأَ وَتَوَضَّأْتُ مَعَهُ، ثُمَّ قَامَ فَقُمْتُ إِلَى جَنْبِهِ عَلَى يَسَارِهِ فَجَعَلَنِي عَلَى يَمِينِهِ، ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ عَلَى رَأْسِي كَأَنَّهُ يَمَسُّ أُذُنِي كَأَنَّهُ يُوقِظُنِي فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ، قُلْتُ : فَقَرَأَ فِيهِمَا بِأُمِّ الْقُرْآنِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ صَلَّى حَتَّى صَلَّى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً بِالْوِتْرِ، ثُمَّ نَامَ فَأَتَاهُ بِلاَلٌ فَقَالَ : الصَّلاَةُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَامَ فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ صَلَّى لِلنَّاسِ .
