কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৩৪২
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৪২
৩২১. রাতের (তাহাজ্জুদ) নামায সম্পর্কে।
১৩৪২. হাফস ইবনে উমর (রাহঃ) .... সা’দ ইবনে হিশাম (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি আমার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর (বসরা) হতে মদীনায় আমার যে যমীনটি ছিল, তা বিক্রয় করে যুদ্ধাস্ত্র খরিদের উদ্দেশ্যে মদীনায় গমন করি এবং এ কাজে আমার উদ্দেশ্য ছিল (রোমকদের) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা। ঐ সময়ে আমি নবী করীম (ﷺ)-এর সাহাবীদের সাথে সাক্ষাত করি। তখন তাঁরা বলেনঃ আমাদের মধ্যেকার ছয় ব্যক্তিও তোমার ন্যায় স্বীয় স্ত্রীকে পরিত্যাগ করে যুদ্ধে গমনের ইচ্ছা করেছিল। তখন নবী করীম (ﷺ) তাঁদেরকে এরূপ করতে নিষেধ করেন এবং ইরশাদ করেনঃ “তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের জীবনে উত্তম আদর্শ নিহিত আছে।″
রাবী বলেনঃ অতঃপর আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে তাঁর নিকট নবী করীম (ﷺ)-এর বিতর নামায আদায় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। তিনি বলেনঃ এ সম্পর্কে যিনি সবচাইতে অভিজ্ঞ আমি তোমাকে তাঁর ঠিকানা প্রদান করছি। কাজেই তুমি এব্যাপারে জানার জন্য আয়িশা (রাযিঃ)-এর নিকট গমন কর। তখন আমি তাঁর নিকট গমনের জন্য ইবনে আফলাহকে অনুরোধ করি। কিন্তু তিনি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন। এমতাবস্থায় আমি তাঁকে আল্লাহর নামে শপথ প্রদান করে আমার সাথে যেতে অনুরোধ করি। তখন হাকীম ইবনে আফলাহ আমাকে নিয়ে আয়িশা (রাযিঃ)-এর কাছে গমন করে সাক্ষাতের জন্য অনুমতি প্রার্থনা করেন।
আয়িশা (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করেনঃ কে? জবাবে তিনি বলেনঃ (আমি) হাকীম ইবনে আফলাহ। তখন তিনি বলেনঃ তোমার সঙ্গী কে? আমি বলিঃ সা’দ ইবনে হিশাম। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ ঐ হিশাম না কি, যিনি উহুদের যুদ্ধে মারা যান? তখন হাকিম বলেনঃ হ্যাঁ। আয়িশা (রাযিঃ) বলেনঃ হিশাম ইবনে আমের তো অত্যন্ত ভালো লোক ছিল। তখন সাদ বলেনঃ হে উম্মুল মুমেনীন! আপনি আমার নিকট রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পুতঃপবিত্র চরিত্র সম্পর্কে কিছু বলুন। তিনি বলেনঃ তুমি কুরআন পাঠ কর না? রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পবিত্র জীবনই ছিল কুরআন।
আমি তাঁকে বলিঃ আপনি তাঁর রাত জাগরন সম্পর্কে কিছু বলুন। তিনি বলেনঃ তুমি কি সূরা মুযযাম্মিল পাঠ কর নাই? জবাবে আমি বলিঃ হ্যাঁ। তিনি (আয়িশা) বলেনঃ এই সূরায় প্রথমাংশ যখন নাযিল হয়, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহাবীগণ দীর্ঘ বারটি মাস সারা রাত এমনভাবে দাঁড়িয়ে (নামাযে) কাটাতেন যে, তাঁদের পা ফুলে যেত। অতঃপর ঐ সূরার শেষাংশ অবতীর্ণ হলে, এই রাত্রির দাঁড়ান (অবস্থা) ফরয হতে নফলে পরিবর্তিত হয়।
অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বিতর নামায পাঠ সম্পর্কে কিছু বলতে বললে তিনি ইরশাদ করেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাতে প্রথম নয় রাকআত নামাযের শেষ তিন রাকআত বিতর হিসাবে আদায় করে সালাম ফিরাতেন অতঃপর তিনি বসে দুই রাকআত নামায আদায় করতেন। কাজেই হে প্রিয় বৎস! এটাই তাঁর সর্বমোট এগার রাকআত নামায পাঠের বর্ণনা।
অতঃপর বয়োঃবৃদ্ধির কারণে তিনি সাত রাকআত নামাযের শেষ তিন রাকআত বিতর আদায় করে সালাম ফিরাতেন। অতঃপর বসে দুই রাকআত নামায আদায় করতেন। হে বৎস। এটাই তার নয় রাকআত নামায আদায়ের বর্ণনা। তিনি আরো বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সারা রাত জেগে থেকে কোন সময়ই ইবাদত করেন নাই এবং তিনি এক রাতে কুরআন খতম কোন সময়ই করেন নাই এবং রমযান ব্যতীত অন্য মাসে তিনি সারা মাস রোযা রাখেন নাই এবং যখন তিনি কোন নামায আদায় করা শুরু করতেন, তখন তিনি তা নিয়মিতভাবে আদায় করতেন। আর রাত্রিতে যখন তিনি কোন কারণবশত নিদ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন, তখন তিনি দিনের বেলা ঐ বার রাকআত নামায আদায় করতেন।
রাবী বলেনঃ অতঃপর আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকট গমন করে এরূপ বর্ণনা করায় তিনি বলেনঃ আল্লাহর শপথ! এটাই আসল হাদীস। আমি যদি তাঁর (আয়িশা) সাথে আলাপ করতাম তবে এ ব্যাপারে আমি সরাসরি তাঁর সাথে বাক্যবিনিময় করতাম। অতঃপর রাবী বলেনঃ যদি আমি জানতাম যে, আপনি তাঁর সাথে বাক্যালাপ করেন তবে এটা আমি আপনার নিকট বর্ণনা করতাম না।
রাবী বলেনঃ অতঃপর আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে তাঁর নিকট নবী করীম (ﷺ)-এর বিতর নামায আদায় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। তিনি বলেনঃ এ সম্পর্কে যিনি সবচাইতে অভিজ্ঞ আমি তোমাকে তাঁর ঠিকানা প্রদান করছি। কাজেই তুমি এব্যাপারে জানার জন্য আয়িশা (রাযিঃ)-এর নিকট গমন কর। তখন আমি তাঁর নিকট গমনের জন্য ইবনে আফলাহকে অনুরোধ করি। কিন্তু তিনি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন। এমতাবস্থায় আমি তাঁকে আল্লাহর নামে শপথ প্রদান করে আমার সাথে যেতে অনুরোধ করি। তখন হাকীম ইবনে আফলাহ আমাকে নিয়ে আয়িশা (রাযিঃ)-এর কাছে গমন করে সাক্ষাতের জন্য অনুমতি প্রার্থনা করেন।
আয়িশা (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করেনঃ কে? জবাবে তিনি বলেনঃ (আমি) হাকীম ইবনে আফলাহ। তখন তিনি বলেনঃ তোমার সঙ্গী কে? আমি বলিঃ সা’দ ইবনে হিশাম। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ ঐ হিশাম না কি, যিনি উহুদের যুদ্ধে মারা যান? তখন হাকিম বলেনঃ হ্যাঁ। আয়িশা (রাযিঃ) বলেনঃ হিশাম ইবনে আমের তো অত্যন্ত ভালো লোক ছিল। তখন সাদ বলেনঃ হে উম্মুল মুমেনীন! আপনি আমার নিকট রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পুতঃপবিত্র চরিত্র সম্পর্কে কিছু বলুন। তিনি বলেনঃ তুমি কুরআন পাঠ কর না? রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পবিত্র জীবনই ছিল কুরআন।
আমি তাঁকে বলিঃ আপনি তাঁর রাত জাগরন সম্পর্কে কিছু বলুন। তিনি বলেনঃ তুমি কি সূরা মুযযাম্মিল পাঠ কর নাই? জবাবে আমি বলিঃ হ্যাঁ। তিনি (আয়িশা) বলেনঃ এই সূরায় প্রথমাংশ যখন নাযিল হয়, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহাবীগণ দীর্ঘ বারটি মাস সারা রাত এমনভাবে দাঁড়িয়ে (নামাযে) কাটাতেন যে, তাঁদের পা ফুলে যেত। অতঃপর ঐ সূরার শেষাংশ অবতীর্ণ হলে, এই রাত্রির দাঁড়ান (অবস্থা) ফরয হতে নফলে পরিবর্তিত হয়।
অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বিতর নামায পাঠ সম্পর্কে কিছু বলতে বললে তিনি ইরশাদ করেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাতে প্রথম নয় রাকআত নামাযের শেষ তিন রাকআত বিতর হিসাবে আদায় করে সালাম ফিরাতেন অতঃপর তিনি বসে দুই রাকআত নামায আদায় করতেন। কাজেই হে প্রিয় বৎস! এটাই তাঁর সর্বমোট এগার রাকআত নামায পাঠের বর্ণনা।
অতঃপর বয়োঃবৃদ্ধির কারণে তিনি সাত রাকআত নামাযের শেষ তিন রাকআত বিতর আদায় করে সালাম ফিরাতেন। অতঃপর বসে দুই রাকআত নামায আদায় করতেন। হে বৎস। এটাই তার নয় রাকআত নামায আদায়ের বর্ণনা। তিনি আরো বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সারা রাত জেগে থেকে কোন সময়ই ইবাদত করেন নাই এবং তিনি এক রাতে কুরআন খতম কোন সময়ই করেন নাই এবং রমযান ব্যতীত অন্য মাসে তিনি সারা মাস রোযা রাখেন নাই এবং যখন তিনি কোন নামায আদায় করা শুরু করতেন, তখন তিনি তা নিয়মিতভাবে আদায় করতেন। আর রাত্রিতে যখন তিনি কোন কারণবশত নিদ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন, তখন তিনি দিনের বেলা ঐ বার রাকআত নামায আদায় করতেন।
রাবী বলেনঃ অতঃপর আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকট গমন করে এরূপ বর্ণনা করায় তিনি বলেনঃ আল্লাহর শপথ! এটাই আসল হাদীস। আমি যদি তাঁর (আয়িশা) সাথে আলাপ করতাম তবে এ ব্যাপারে আমি সরাসরি তাঁর সাথে বাক্যবিনিময় করতাম। অতঃপর রাবী বলেনঃ যদি আমি জানতাম যে, আপনি তাঁর সাথে বাক্যালাপ করেন তবে এটা আমি আপনার নিকট বর্ণনা করতাম না।
باب فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، قَالَ : طَلَّقْتُ امْرَأَتِي فَأَتَيْتُ الْمَدِينَةَ لأَبِيعَ عَقَارًا كَانَ لِي بِهَا، فَأَشْتَرِيَ بِهِ السِّلاَحَ وَأَغْزُوَ، فَلَقِيتُ نَفَرًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا : قَدْ أَرَادَ نَفَرٌ مِنَّا سِتَّةٌ أَنْ يَفْعَلُوا ذَلِكَ فَنَهَاهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ : " لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ " . فَأَتَيْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَسَأَلْتُهُ عَنْ وِتْرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ : أَدُلُّكَ عَلَى أَعْلَمِ النَّاسِ بِوِتْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأْتِ عَائِشَةَ رضى الله عنها . فَأَتَيْتُهَا فَاسْتَتْبَعْتُ حَكِيمَ بْنَ أَفْلَحَ فَأَبَى فَنَاشَدْتُهُ فَانْطَلَقَ مَعِي، فَاسْتَأْذَنَّا عَلَى عَائِشَةَ، فَقَالَتْ : مَنْ هَذَا قَالَ : حَكِيمُ بْنُ أَفْلَحَ . قَالَتْ : وَمَنْ مَعَكَ قَالَ : سَعْدُ بْنُ هِشَامٍ . قَالَتْ : هِشَامُ بْنُ عَامِرٍ الَّذِي قُتِلَ يَوْمَ أُحُدٍ قَالَ قُلْتُ : نَعَمْ . قَالَتْ : نِعْمَ الْمَرْءُ كَانَ عَامِرًا . قَالَ قُلْتُ : يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ حَدِّثِينِي عَنْ خُلُقِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَتْ : أَلَسْتَ تَقْرَأُ الْقُرْآنَ فَإِنَّ خُلُقَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ الْقُرْآنَ . قَالَ قُلْتُ : حَدِّثِينِي عَنْ قِيَامِ اللَّيْلِ قَالَتْ : أَلَسْتَ تَقْرَأُ ( يَا أَيُّهَا الْمُزَّمِّلُ ) قَالَ قُلْتُ : بَلَى . قَالَتْ : فَإِنَّ أَوَّلَ هَذِهِ السُّورَةِ نَزَلَتْ، فَقَامَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى انْتَفَخَتْ أَقْدَامُهُمْ، وَحُبِسَ خَاتِمَتُهَا فِي السَّمَاءِ اثْنَىْ عَشَرَ شَهْرًا، ثُمَّ نَزَلَ آخِرُهَا فَصَارَ قِيَامُ اللَّيْلِ تَطَوُّعًا بَعْدَ فَرِيضَةٍ . قَالَ قُلْتُ : حَدِّثِينِي عَنْ وِتْرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَتْ : كَانَ يُوتِرُ بِثَمَانِ رَكَعَاتٍ لاَ يَجْلِسُ إِلاَّ فِي الثَّامِنَةِ، ثُمَّ يَقُومُ فَيُصَلِّي رَكْعَةً أُخْرَى، لاَ يَجْلِسُ إِلاَّ فِي الثَّامِنَةِ وَالتَّاسِعَةِ، وَلاَ يُسَلِّمُ إِلاَّ فِي التَّاسِعَةِ، ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ فَتِلْكَ إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يَا بُنَىَّ، فَلَمَّا أَسَنَّ وَأَخَذَ اللَّحْمَ أَوْتَرَ بِسَبْعِ رَكَعَاتٍ لَمْ يَجْلِسْ إِلاَّ فِي السَّادِسَةِ وَالسَّابِعَةِ، وَلَمْ يُسَلِّمْ إِلاَّ فِي السَّابِعَةِ، ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ، فَتِلْكَ هِيَ تِسْعُ رَكَعَاتٍ يَا بُنَىَّ، وَلَمْ يَقُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةً يُتِمُّهَا إِلَى الصَّبَاحِ، وَلَمْ يَقْرَإِ الْقُرْآنَ فِي لَيْلَةٍ قَطُّ، وَلَمْ يَصُمْ شَهْرًا يُتِمُّهُ غَيْرَ رَمَضَانَ، وَكَانَ إِذَا صَلَّى صَلاَةً دَاوَمَ عَلَيْهَا، وَكَانَ إِذَا غَلَبَتْهُ عَيْنَاهُ مِنَ اللَّيْلِ بِنَوْمٍ صَلَّى مِنَ النَّهَارِ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً . قَالَ : فَأَتَيْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَحَدَّثْتُهُ . فَقَالَ : هَذَا وَاللَّهِ هُوَ الْحَدِيثُ، وَلَوْ كُنْتُ أُكَلِّمُهَا لأَتَيْتُهَا حَتَّى أُشَافِهَهَا بِهِ مُشَافَهَةً . قَالَ قُلْتُ : لَوْ عَلِمْتُ أَنَّكَ لاَ تُكَلِّمُهَا مَا حَدَّثْتُكَ .
