কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৩২৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৩২৯
৩২০. রাতের (নফল) নামাযে কিরাতের স্বশব্দে পাঠ করা সম্পর্কে।
১৩২৯. মুসা ইবনে ইসমাঈল ও হাসান ইবনুস সাব্বাহ (রাহঃ) .... আবু কাতাদা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা নবী করীম (ﷺ) ঘর হতে বের হয়ে আবু বকর (রাযিঃ)-কে আস্তে আস্তে (নিঃশব্দে কিরাআত দ্বারা) নামায আদায় করতে দেখেন। অতঃপর তিনি উমর (রাযিঃ) এর পাশ দিয়ে গমনকালে দেখতে পান যে, তিনি শব্দ করে (জোর কিরাআত পাঠ করে) নামায আদায় করছেন।
রাবী বলেনঃ অতঃপর তাঁরা উভয়ে নবী কারিম (ﷺ) এর খিদমতে হাযির হলে তিনি বলেনঃ হে আবু বকর! আমি তোমার পাশ দিয়ে গমনকালে তোমাকে নিঃশব্দে নামায করতে দেখেছি। তখন তিনি (আবু বকর) বলেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি আমার রবের সাথে গোপনে আলাপ করেছি এবং তিনি তা শ্রবণকারী (কাজেই আমি সশব্দে নামায আদায়ের প্রয়োজন বোধ করি নাই)।
রাবী বলেনঃ অতঃপর তিনি উমর (রাযিঃ)-কে বলেনঃ আমি তোমার পাশ দিয়ে গমনকালে তোমাকে সশব্দে নামায আদায় করতে দেখেছি। উমর (রাযিঃ) বলেনঃ এর দ্বারা আমার ইচ্ছা ছিল ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগ্রত করা এবং শয়তানকে বিতাড়িত করা। রাবী হাসান তাঁর বর্ণিত হাদীসে এরূপ অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, তখন নবী করীম (ﷺ) বলেনঃ হে আবু বকর! তুমি তোমার কিরাআতকে একটু শব্দ করে পাঠ করবে। অতঃপর তিনি উমর (রাযিঃ)-কে বলেনঃ তুমি তোমার কিরাআত একটু নিম্ন শব্দে পাঠ করবে।
রাবী বলেনঃ অতঃপর তাঁরা উভয়ে নবী কারিম (ﷺ) এর খিদমতে হাযির হলে তিনি বলেনঃ হে আবু বকর! আমি তোমার পাশ দিয়ে গমনকালে তোমাকে নিঃশব্দে নামায করতে দেখেছি। তখন তিনি (আবু বকর) বলেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি আমার রবের সাথে গোপনে আলাপ করেছি এবং তিনি তা শ্রবণকারী (কাজেই আমি সশব্দে নামায আদায়ের প্রয়োজন বোধ করি নাই)।
রাবী বলেনঃ অতঃপর তিনি উমর (রাযিঃ)-কে বলেনঃ আমি তোমার পাশ দিয়ে গমনকালে তোমাকে সশব্দে নামায আদায় করতে দেখেছি। উমর (রাযিঃ) বলেনঃ এর দ্বারা আমার ইচ্ছা ছিল ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগ্রত করা এবং শয়তানকে বিতাড়িত করা। রাবী হাসান তাঁর বর্ণিত হাদীসে এরূপ অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, তখন নবী করীম (ﷺ) বলেনঃ হে আবু বকর! তুমি তোমার কিরাআতকে একটু শব্দ করে পাঠ করবে। অতঃপর তিনি উমর (রাযিঃ)-কে বলেনঃ তুমি তোমার কিরাআত একটু নিম্ন শব্দে পাঠ করবে।
باب فِي رَفْعِ الصَّوْتِ بِالْقِرَاءَةِ فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ إِسْحَاقَ، أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، : أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ لَيْلَةً فَإِذَا هُوَ بِأَبِي بَكْرٍ - رضى الله عنه - يُصَلِّي يَخْفِضُ مِنْ صَوْتِهِ - قَالَ - وَمَرَّ بِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَهُوَ يُصَلِّي رَافِعًا صَوْتَهُ - قَالَ - فَلَمَّا اجْتَمَعَا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم : " يَا أَبَا بَكْرٍ مَرَرْتُ بِكَ وَأَنْتَ تُصَلِّي تَخْفِضُ صَوْتَكَ " . قَالَ : قَدْ أَسْمَعْتُ مَنْ نَاجَيْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ وَقَالَ لِعُمَرَ : " مَرَرْتُ بِكَ وَأَنْتَ تُصَلِّي رَافِعًا صَوْتَكَ " . قَالَ فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ أُوقِظُ الْوَسْنَانَ وَأَطْرُدُ الشَّيْطَانَ . زَادَ الْحَسَنُ فِي حَدِيثِهِ : فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم : " يَا أَبَا بَكْرٍ ارْفَعْ مِنْ صَوْتِكَ شَيْئًا " . وَقَالَ لِعُمَرَ : " اخْفِضْ مِنْ صَوْتِكَ شَيْئًا " .
