আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
২১- হজ্জ্বের অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৭১
১০৫৫. (আরাফা থেকে) প্রত্যাবর্তনের সময় নবী (ﷺ) ধীরে চলার নির্দেশ দিতেন এবং তাঁদের প্রতি চাবুকের সাহায্যে ইশারা করতেন।
১৫৬৬। সা’ইদ ইবনে আবু মারয়াম (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি আরাফার দিনে নবী (ﷺ) এর সঙ্গে ফিরে আসছিলেন। তখন নবী (ﷺ) পিছনের দিকে খুব হাঁকডাক ও উট পিটানোর শব্দ শুনতে পেয়ে তাঁদের চাবুক দিয়ে ইশারা করে বললেনঃ হে লোক সকল! তোমরা ধীরস্থীরতা অবলম্বন কর। কেননা, উট দ্রুত হাঁকানোর মধ্যে কোন কল্যাণ নেই।
[হাদীসে উল্লেখিত إِيضَاعِ এর প্রসঙ্গে ইমাম বুখারী (রাহঃ) কুরআনে উদ্ধৃত কয়েকটি শব্দের মর্মার্থ দেন] (কুরআনে উদ্ধৃত) أَوْضَعُوا - তাঁরা দ্রুত চলত। خِلاَلَكُمْ - তোমাদের ফাঁকে ঢুকে فَجَّرْنَا خِلاَلَهُمَا - উভয়টির মধ্যে প্রবাহিত করেছি।
[হাদীসে উল্লেখিত إِيضَاعِ এর প্রসঙ্গে ইমাম বুখারী (রাহঃ) কুরআনে উদ্ধৃত কয়েকটি শব্দের মর্মার্থ দেন] (কুরআনে উদ্ধৃত) أَوْضَعُوا - তাঁরা দ্রুত চলত। خِلاَلَكُمْ - তোমাদের ফাঁকে ঢুকে فَجَّرْنَا خِلاَلَهُمَا - উভয়টির মধ্যে প্রবাহিত করেছি।
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এটা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিদায় হজ্জের কথা। তিনি আরাফার দিন সূর্যাস্তের পর সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে মুযদালিফায় যাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে বিপুল সংখ্যক লোক। সকলেই দ্রুত যাওয়ার জন্য উটগুলোকে সজোরে হাঁকাচ্ছিল। কেউ কেউ পেটাচ্ছিল। তাতে উটগুলো উচ্চস্বরে আওয়াজ করছিল। সব মিলে খুব শোরগোল হচ্ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে শোরগোল শুনে তাদের দিকে ফিরে তাকালেন এবং লাঠি দিয়ে ইশারা করে বললেন-
يَا أَيُّهَا النَّاسُ، عَلَيكُم بِالسَّكِينَةِ، فَإِنَّ البِرَّ لَيسَ بِالإيضَاعِ (হে লোকসকল! তোমরা শান্তভাবে চলো। কেননা দ্রুত চলায় কোনও পুণ্য নেই)। অর্থাৎ এটা হজ্জের আমল। মিনা, আরাফা ও মুযদালিফা হজ্জের অনুষ্ঠানাদি পালনের স্থান। সে হিসেবে এগুলো আল্লাহ তা'আলার নিদর্শন। এসবকে সম্মান করা জরুরি। সে সম্মানের দাবি হল আদবের সঙ্গে চলা। এ চলাটা সাধারণ কোনও চলা নয়। আরাফা থেকে মুযদালিফা গমন হজ্জেরই একটা আমল। তাই এ চলার স্বতন্ত্র মহিমা আছে। শোরগোল করার দ্বারা সে মহিমা ক্ষুণ্ণ হয়। কাজেই উটগুলোকে দ্রুত না হাঁকিয়ে ধীরে চালাও। তোমরা শান্তভাবে চলো। হইচই করো না। হজ্জের ভাবগাম্ভীর্য রক্ষা করো। আমাদের উদ্দেশ্য তো নেকী লাভ করা। দ্রুত চলাটা নেকী লাভের উপায় নয়। তাতে কেবল কষ্টই বাড়ে। পশুদেরও শুধু শুধু কষ্ট দেওয়া হয়। নেকী লাভের উপায় হল আল্লাহর সামনে বিনয়, নম্রতা এবং নিজ ক্ষুদ্রতা ও হীনতা প্রকাশ করা। ধীর-শান্তভাবে চলার দ্বারাই তার প্রকাশ হয়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. হজ্জের স্থানসমূহে চলাচলের ক্ষেত্রে ধীর-শান্ত ভাব বজায় রাখতে হবে।
খ. যে-কোনও মর্যাদাপূর্ণ স্থানে গমন ও মর্যাদাপূর্ণ কাজ করার সময় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রাখা উচিত।
গ. দ্রুত চলাটা পুণ্য লাভের উপায় নয়। বরং পুণ্য লাভ করার উপায় হল বিনয়-নম্রতার সঙ্গে চলা।
يَا أَيُّهَا النَّاسُ، عَلَيكُم بِالسَّكِينَةِ، فَإِنَّ البِرَّ لَيسَ بِالإيضَاعِ (হে লোকসকল! তোমরা শান্তভাবে চলো। কেননা দ্রুত চলায় কোনও পুণ্য নেই)। অর্থাৎ এটা হজ্জের আমল। মিনা, আরাফা ও মুযদালিফা হজ্জের অনুষ্ঠানাদি পালনের স্থান। সে হিসেবে এগুলো আল্লাহ তা'আলার নিদর্শন। এসবকে সম্মান করা জরুরি। সে সম্মানের দাবি হল আদবের সঙ্গে চলা। এ চলাটা সাধারণ কোনও চলা নয়। আরাফা থেকে মুযদালিফা গমন হজ্জেরই একটা আমল। তাই এ চলার স্বতন্ত্র মহিমা আছে। শোরগোল করার দ্বারা সে মহিমা ক্ষুণ্ণ হয়। কাজেই উটগুলোকে দ্রুত না হাঁকিয়ে ধীরে চালাও। তোমরা শান্তভাবে চলো। হইচই করো না। হজ্জের ভাবগাম্ভীর্য রক্ষা করো। আমাদের উদ্দেশ্য তো নেকী লাভ করা। দ্রুত চলাটা নেকী লাভের উপায় নয়। তাতে কেবল কষ্টই বাড়ে। পশুদেরও শুধু শুধু কষ্ট দেওয়া হয়। নেকী লাভের উপায় হল আল্লাহর সামনে বিনয়, নম্রতা এবং নিজ ক্ষুদ্রতা ও হীনতা প্রকাশ করা। ধীর-শান্তভাবে চলার দ্বারাই তার প্রকাশ হয়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. হজ্জের স্থানসমূহে চলাচলের ক্ষেত্রে ধীর-শান্ত ভাব বজায় রাখতে হবে।
খ. যে-কোনও মর্যাদাপূর্ণ স্থানে গমন ও মর্যাদাপূর্ণ কাজ করার সময় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রাখা উচিত।
গ. দ্রুত চলাটা পুণ্য লাভের উপায় নয়। বরং পুণ্য লাভ করার উপায় হল বিনয়-নম্রতার সঙ্গে চলা।
