কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৩১০
আন্তর্জাতিক নং: ১৩১০
৩১৩. নামাযের মধ্যে তন্দ্রা এলে।
১৩১০. আল-কানবী (রাহঃ) .... নবী করীম (ﷺ)-এর স্ত্রী আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী করীম (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ যখন তোমাদের কারও নামাযের মধ্যে তন্দ্রাভাব আসে, সে যেন তখন নিদ্রা যায়; যাতে তার নিদ্রা পূর্ণ হওয়ার পর ঐ ভাব চলে যায়। কেননা তোমাদের কেউ যখন তন্দ্রা অবস্থায় নামায আদায়কালে ‘ইস্তিগফার’ (গুনাহ মাফের জন্য প্রার্থনা) করে তখন হয়ত সে (অজান্তে) নিজেকে নিজেই গালি দেয়।
باب النُّعَاسِ فِي الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا نَعَسَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلاَةِ فَلْيَرْقُدْ حَتَّى يَذْهَبَ عَنْهُ النَّوْمُ فَإِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا صَلَّى وَهُوَ نَاعِسٌ لَعَلَّهُ يَذْهَبُ يَسْتَغْفِرُ فَيَسُبَّ نَفْسَهُ " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছে নামায পড়া অবস্থায় ঘুমের চাপ দেখা দিলে শুয়ে পড়তে বলা হয়েছে। এর কারণ- যদি ঘুমের চাপ খুব বেশি দেখা দেয় এবং এমন তন্দ্রাগ্রস্ত হয়ে পড়ে যে, নিজের উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে, তখন নামায পড়তে থাকলে অনেক বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। এক তো শারীরিক দুর্ঘটনা যে, তন্দ্রার প্রকোপে আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলবে এবং পড়ে গিয়ে কঠিন ব্যাথা পাবে। আরেক হচ্ছে ঈমান-আমল সম্পর্কিত দুর্ঘটনা। তন্দ্রাগ্রস্ত হয়ে পড়ার কারণে অনেক সময়ই বোধ-অনুভব এমন আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে যে, তখন কী বলা হয় নিজেই বুঝতে পারে না। বলতে চায় একটা, বলে ফেলে আরেকটা। নামাযে এমন হলে হয়তো সূরা পড়তে গিয়ে বলে ফেলবে অন্যকিছু, ইস্তিগফার করতে গিয়ে করে বসবে গালাগালি, আল্লাহর কাছে চাবে জান্নাত কিন্তু চেয়ে বসবে জাহান্নাম এবং চাওয়ার ইচ্ছা হিদায়াত কিন্তু চেয়ে ফেলবে গোমরাহী। এটা তো শারীরিক দুর্ঘটনা অপেক্ষাও বেশি বিপজ্জনক। এ কারণেই তন্দ্রা অবস্থায় সংক্ষেপে নামায শেষ করে শুয়ে পড়তে বলা হয়েছে।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় নামায পড়া ঠিক নয়।
খ. নফল ইবাদতে এত বেশি বাড়াবাড়ি করা উচিত নয়, যাতে শরীরের হক নষ্ট হয়। ঘুমও শরীরের একটা হক।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় নামায পড়া ঠিক নয়।
খ. নফল ইবাদতে এত বেশি বাড়াবাড়ি করা উচিত নয়, যাতে শরীরের হক নষ্ট হয়। ঘুমও শরীরের একটা হক।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
