কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ১১৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ১১৭৮
২৬৭. (কুসুফের নামাযের) দুই রাকআতে চারটি রুকু সম্পর্কে।
১১৭৮. আহমাদ ইবনে হাম্বল (রাহঃ) ..... জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে তাঁর প্রিয় পুত্র ইবরাহীমের মৃত্যুর দিন সূর্যগ্রহণ হলে লোকেরা বলাবলি করতে থাকে যে, ইবরাহীমের ইন্তিকালের ফলে সূর্যগ্রহণ হয়েছে। নবী করীম (ﷺ) লোকদের নিয়ে ছয়টি রুকু ও চারটি সিজদাহ সহকারে দুই রাকআত নামায আদায় করেন। তিনি ″আল্লাহু আকবার″ বলে তাহরিমা বাঁধার পর দীর্ঘক্ষণব্যাপী কিরাত পাঠের পর রুকুতে গিয়ে অনুরূপ সময় অতিবাহিত করেন। অতঃপর তিনি মাথা তলার পর পূর্বের কিরাতের চেয়ে ছোট কিরাত পাঠ করে পুনরায় রুকুতে যান এবং দাঁড়ানোর সমপরিমাণ সময় রুকুতে থাকার পর পুনরায় মাথা উঠিয়ে দ্বিতীয় বারের চেয়ে আরও ছোট সূরা তিলাওয়াত করেন। অতঃপর তিনি রুকুতে গিয়ে দাঁড়ানোর সমপরিমাণ সময় অতিবাহিত করে মাথা তোলেন এবং পরে সিজদায় যান।

তিনি দুইটি সিজদা করার পর দ্বিতীয় রাকআতের জন্য দণ্ডায়মান হন এবং এখানেও তিনি সিজদায় যাওয়ার পূর্বে তিনটি রুকু করেন। তাঁর দ্বিতীয় রাকআতের (দাঁড়ানোর) সময়ও দীর্ঘ ছিল, কিন্তু তার পরিমাণ প্রথম কিয়ামের চেয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় কিয়ামের সময় যথাক্রমে কম ছিল এবং তাঁর রুকুতে অবস্থানের সময় কিয়ামের সমপরিমাণ ছিল। অতঃপর তিনি তাঁর দাঁড়ানোর স্থান হতে পেছনে সরে আসেন, যার ফলে মুসল্লীদের কাতার কিছুটা পিছনের দিকে সরে যায়। পুনরায় তিনি সস্থানে আসেন, এবং মুসল্লীগণও স্ব স্ব স্থানে ফিরে আসেন। এবং এইরূপে নামায শেষ করার মুহূর্তে সূর্যগ্রহণ শেষ হয়ে যায়। এ সময় তিনি ইরশাদ করেনঃ হে লোকগণ! নিশ্চয়ই চন্দ্র ও সূর্য আল্লাহ তাআলার মহান নিদর্শনাবলির অন্যতম। এরা কোন ব্যক্তির মৃত্যুতে রাহুগ্রস্ত হয় না। অতএব যখন তোমরা গ্রহণ হতে দেখবে, তখন তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত নামাযে রত থাকবে। এইরূপে হাদীসের বাকি অংশ বর্ণিত হয়েছে।
باب مَنْ قَالَ أَرْبَعُ رَكَعَاتٍ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، حَدَّثَنِي عَطَاءٌ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُسِفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ ذَلِكَ فِي الْيَوْمِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ إِبْرَاهِيمُ ابْنُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ النَّاسُ إِنَّمَا كُسِفَتْ لِمَوْتِ إِبْرَاهِيمَ ابْنِهِ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى بِالنَّاسِ سِتَّ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ كَبَّرَ ثُمَّ قَرَأَ فَأَطَالَ الْقِرَاءَةَ ثُمَّ رَكَعَ نَحْوًا مِمَّا قَامَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَرَأَ دُونَ الْقِرَاءَةِ الأُولَى ثُمَّ رَكَعَ نَحْوًا مِمَّا قَامَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَرَأَ الْقِرَاءَةَ الثَّالِثَةَ دُونَ الْقِرَاءَةِ الثَّانِيَةِ ثُمَّ رَكَعَ نَحْوًا مِمَّا قَامَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَانْحَدَرَ لِلسُّجُودِ فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ قَامَ فَرَكَعَ ثَلاَثَ رَكَعَاتٍ قَبْلَ أَنْ يَسْجُدَ لَيْسَ فِيهَا رَكْعَةٌ إِلاَّ الَّتِي قَبْلَهَا أَطْوَلُ مِنَ الَّتِي بَعْدَهَا إِلاَّ أَنَّ رُكُوعَهُ نَحْوٌ مِنْ قِيَامِهِ قَالَ ثُمَّ تَأَخَّرَ فِي صَلاَتِهِ فَتَأَخَّرَتِ الصُّفُوفُ مَعَهُ ثُمَّ تَقَدَّمَ فَقَامَ فِي مَقَامِهِ وَتَقَدَّمَتِ الصُّفُوفُ فَقَضَى الصَّلاَةَ وَقَدْ طَلَعَتِ الشَّمْسُ فَقَالَ " يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ بَشَرٍ فَإِذَا رَأَيْتُمْ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ فَصَلُّوا حَتَّى تَنْجَلِيَ " . وَسَاقَ بَقِيَّةَ الْحَدِيثِ .
সুনানে আবু দাউদ - হাদীস নং ১১৭৮ | মুসলিম বাংলা