কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১১৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ১১৭৪
২৬৫. ইসতিসকার নামায আদায়কালে দুই হাত তুলে দু'আ করা।
১১৭৪. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জীবদ্দশায় একবার মদীনায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। ঐ সময় জুমআর নামাযে বক্তৃতা দেয়াকালে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! অনাবৃষ্টির জন্য উট বকরী ইত্যাদি প্রায় ধংসোম্মুখ। আপনি আল্লাহর নিকট আমাদের জন্য বৃষ্টি বর্ষণের দুআ করুন। অতঃপর তিনি হাত উঠিয়ে দুআ করেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, তিনি দুআ করার পূর্বে আকাশ সচ্ছ ও রৌদ্রোজ্জ্বল ছিল (এবং দুআর পর) বাতাস প্রবাহিত হতে শুরু করে এবং মেঘমালা একত্রিত হয়ে অঝোর ধারায় বৃষ্টিপাত হতে থাকে।
রাবী বলেন, অতঃপর আমরা বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে আমাদের ঘরে প্রত্যাবর্তন করি এবং একাধারে পরবর্তী জুমআ পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে থাকে। সেদিন ঐ ব্যক্তি অথবা অন্য কোন ব্যক্তি দণ্ডায়মান হয়ে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অধিক বৃষ্টিপাতের ফলে আমাদের ঘরবাড়ি ধ্বসে যাচ্ছে, আপনি তা বন্ধের জন্য দুআ করুন। তখন তিনি মুচকি হেসে দুআ করেনঃ (ইয়া আল্লাহ) তা (মেঘমালা) আমাদের উপর হতে অন্য দিকে সরিয়ে নাও।
রাবী বলেন, এই সময় আমি আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করে দেখতে পাই যে, পুঞ্জীভূত মেঘমালা মদীনার আকাশ হতে সরে গিয়ে চতুর্দিকে গোলাকার ধারণ করেছে।
রাবী বলেন, অতঃপর আমরা বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে আমাদের ঘরে প্রত্যাবর্তন করি এবং একাধারে পরবর্তী জুমআ পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে থাকে। সেদিন ঐ ব্যক্তি অথবা অন্য কোন ব্যক্তি দণ্ডায়মান হয়ে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অধিক বৃষ্টিপাতের ফলে আমাদের ঘরবাড়ি ধ্বসে যাচ্ছে, আপনি তা বন্ধের জন্য দুআ করুন। তখন তিনি মুচকি হেসে দুআ করেনঃ (ইয়া আল্লাহ) তা (মেঘমালা) আমাদের উপর হতে অন্য দিকে সরিয়ে নাও।
রাবী বলেন, এই সময় আমি আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করে দেখতে পাই যে, পুঞ্জীভূত মেঘমালা মদীনার আকাশ হতে সরে গিয়ে চতুর্দিকে গোলাকার ধারণ করেছে।
باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الاِسْتِسْقَاءِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، وَيُونُسُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ أَصَابَ أَهْلَ الْمَدِينَةِ قَحْطٌ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبَيْنَمَا هُوَ يَخْطُبُنَا يَوْمَ جُمُعَةٍ إِذْ قَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلَكَ الْكُرَاعُ هَلَكَ الشَّاءُ فَادْعُ اللَّهَ أَنْ يَسْقِيَنَا فَمَدَّ يَدَيْهِ وَدَعَا قَالَ أَنَسٌ وَإِنَّ السَّمَاءَ لَمِثْلُ الزُّجَاجَةِ فَهَاجَتْ رِيحٌ ثُمَّ أَنْشَأَتْ سَحَابَةً ثُمَّ اجْتَمَعَتْ ثُمَّ أَرْسَلَتِ السَّمَاءُ عَزَالِيَهَا فَخَرَجْنَا نَخُوضُ الْمَاءَ حَتَّى أَتَيْنَا مَنَازِلَنَا فَلَمْ يَزَلِ الْمَطَرُ إِلَى الْجُمُعَةِ الأُخْرَى فَقَامَ إِلَيْهِ ذَلِكَ الرَّجُلُ أَوْ غَيْرُهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ تَهَدَّمَتِ الْبُيُوتُ فَادْعُ اللَّهَ أَنْ يَحْبِسَهُ فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ " حَوَالَيْنَا وَلاَ عَلَيْنَا " . فَنَظَرْتُ إِلَى السَّحَابِ يَتَصَدَّعُ حَوْلَ الْمَدِينَةِ كَأَنَّهُ إِكْلِيلٌ .
