আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
২১- হজ্জ্বের অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৪১
১০৩৮. উযুসহ তাওয়াফ করা
১৫৪০। আহমদ ইবনে ‘ঈসা (রাহঃ) ......... মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে নাওফাল কুরাশী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাহঃ) কে নবী (ﷺ) এর হজ্জ সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেন, নবী (ﷺ) এর হজ্জ এর বিষয়টি আয়িশা (রাযিঃ) আমাকে এইরূপে বর্ণনা দিয়েছেন যে, নবী (ﷺ) মক্কায় উপনীত হয়ে সর্বপ্রথম উযু করে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করেন।* তা উমরার তাওয়াফ ছিল না। পরে আবু বকর (রাযিঃ) হজ্জ করেছেন, তিনিও হজ্জের প্রথম কাজ বায়তুল্লাহর তাওয়াফ দ্বারাই শুরু করতেন, তা উমরার তাওয়াফ ছিল না। তারপর উমর (রাযিঃ)-ও অনুরূপ করতেন। এরপর উসমান (রাযিঃ) হজ্জ করেন। আমি তাকেও (হজ্জের কাজ) বায়তুল্লাহর তাওয়াফ দ্বারাই শুরু করতে দেখেছি, তাঁর এই তাওয়াফও উমরার তাওয়াফ ছিল না।
মুআবিয়া এবং আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) (অনুরূপ করেন)। এরপর আমি আমার পিতা যুবাইর ইবনে আওয়াম (রাযিঃ) এর সঙ্গে হজ্জ করলাম। তিনি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ থেকেই শুরু করেন, আর তাঁর এ তাওয়াফ উমরার তাওয়াফ ছিল না। মুহাজির ও আনসার সাহাবীগণ (রা)-কে আমি এরূপ করতে দেখেছি । তাদের সে তাওয়াফও উমরার তাওয়াফ ছিল না। সবশেষে আমি আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) কেও অনুরূপ করতে দেখেছি। তিনিও সে তাওয়াফ উমরার তাওয়াফ হিসাবে করেন নি। ইবনে উমর (রাযিঃ) তো তাদের নিকটেই আছেন তাঁর কাছে জেনে নিন না কেন? সাহাবীগণের মধ্যে যারা অতীত হয়ে গেছেন তাদের কেউই মসজিদে হারামে প্রবেশ করে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ সমাধা করার পূর্বে অন্য কোন কাজ করতেন না এবং তাওয়াফ করে ইহরাম ভঙ্গ করতেন না।
আমার মা (আসমা) ও খালা (আয়িশা) (রাযিঃ) কে দেখেছি, তাঁরা উভয়ে মসজিদুল হারামে প্রবেশ করে সর্বপ্রথম তাওয়াফ সমাধা করেন, কিন্তু তাওয়াফ করে ইহরাম ভঙ্গ করেন নি। আমার মা আমাকে বললেন যে, তিনি, তাঁর বোন [আয়িশা (রাযিঃ)] ও (আমার পিতা) যুবাইর (রাযিঃ) এবং অমুক অমুক উমরার নিয়তে ইহরাম বাঁধেন। এরপর তাওয়াফ (ও সা’ঈ) শেষে হালাল হয়ে যান।
*কাসতাল্লানী বলেন, জমহুর ফুকাহার মত হল, উযু ছাড়া তাওয়াফ বৈধ হবে না। কিন্তু হানাফী মাযহাবের আইনী রাহঃ বলেন, উযুর সাথে তাওয়াফ করা মুসতাহাব।
মুআবিয়া এবং আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) (অনুরূপ করেন)। এরপর আমি আমার পিতা যুবাইর ইবনে আওয়াম (রাযিঃ) এর সঙ্গে হজ্জ করলাম। তিনি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ থেকেই শুরু করেন, আর তাঁর এ তাওয়াফ উমরার তাওয়াফ ছিল না। মুহাজির ও আনসার সাহাবীগণ (রা)-কে আমি এরূপ করতে দেখেছি । তাদের সে তাওয়াফও উমরার তাওয়াফ ছিল না। সবশেষে আমি আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) কেও অনুরূপ করতে দেখেছি। তিনিও সে তাওয়াফ উমরার তাওয়াফ হিসাবে করেন নি। ইবনে উমর (রাযিঃ) তো তাদের নিকটেই আছেন তাঁর কাছে জেনে নিন না কেন? সাহাবীগণের মধ্যে যারা অতীত হয়ে গেছেন তাদের কেউই মসজিদে হারামে প্রবেশ করে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ সমাধা করার পূর্বে অন্য কোন কাজ করতেন না এবং তাওয়াফ করে ইহরাম ভঙ্গ করতেন না।
আমার মা (আসমা) ও খালা (আয়িশা) (রাযিঃ) কে দেখেছি, তাঁরা উভয়ে মসজিদুল হারামে প্রবেশ করে সর্বপ্রথম তাওয়াফ সমাধা করেন, কিন্তু তাওয়াফ করে ইহরাম ভঙ্গ করেন নি। আমার মা আমাকে বললেন যে, তিনি, তাঁর বোন [আয়িশা (রাযিঃ)] ও (আমার পিতা) যুবাইর (রাযিঃ) এবং অমুক অমুক উমরার নিয়তে ইহরাম বাঁধেন। এরপর তাওয়াফ (ও সা’ঈ) শেষে হালাল হয়ে যান।
*কাসতাল্লানী বলেন, জমহুর ফুকাহার মত হল, উযু ছাড়া তাওয়াফ বৈধ হবে না। কিন্তু হানাফী মাযহাবের আইনী রাহঃ বলেন, উযুর সাথে তাওয়াফ করা মুসতাহাব।
