কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১০৫১
আন্তর্জাতিক নং: ১০৫১
২১৫. জুমআর নামাযের ফযিলত।
১০৫১. ইবরাহীম ইবনে মুসা (রাহঃ) ..... আতা আল-খুরাসানীর স্ত্রী উম্মে উছমানের আযাদকৃত গোলাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি আলী (রাযিঃ)-কে কুফার মসজিদে মিম্বরের উপর বসে বলতে শুনেছিঃ যখন জুমআর দিন আসে, তখন শয়তান স্বীয় ঢালসহ বাজারে (বা লোকদের একত্রিত হওয়ার স্থানে) ঘুরে বেড়ায় আর লোকজন বিভিন্ন প্রয়োজনের বেড়াজালে নিক্ষিপ্ত করে নামায হতে বিরত রাখতে চেষ্টা করে এবং জুমআয় হাযির হতে বিলম্ব ঘটায়। পক্ষান্তরে জুমআর দিন ফিরিশতারা দপ্তরসহ (নথিপত্র) আগমন করেন এবং মসজিদের দরজায় উপবেশন করে এবং প্রত্যেক ব্যক্তির আগমনের সময় লিপিবদ্ধ করেন, এমনকি ইমাম খুতবা দেয়ার জন্য মিম্বরের উপর আরোহণ করা পর্যন্ত তাঁরা একাজে লিপ্ত থাকেন। (অতঃপর ইমাম মিম্বরের উপর বসার সাথে সাথেই তাঁরা খাতা বন্ধ করে দেন)।
ইমাম খুতবা দেয়া শুরু করলে যে ব্যক্তি চুপচাপ বসে শুনে সে দুইটি বিনিময় প্রাপ্ত হয়। আর যে ব্যক্তি এতদূরে বসে যে, ইমামের খুতবা শুনতে পায় না; তবুও সে চুপ করে বসে থাকার জন্য একটি বিনিময় প্রাপ্ত হবে। আর যে ব্যক্তি এমন স্থানে উপবেশন করে যেখান হতে সে ইচ্ছা করলে ইমামের খুতবা শুনতে এবং তাকে দেখতেও পারে, কিন্তু সে এরূপ না করে বেহুদা কথা ও কর্মে লিপ্ত হয়, সে গুনাহগার হবে। অতঃপর যে ব্যক্তি জুমআর দিন ইমামের খুতবা দানের সময় অন্যকে চুপ থাকতে বলে সেও বেহুদা কর্মে লিপ্ত হয়। আর যে ব্যক্তি এরূপ বেহুদা কথা বা কর্মে লিপ্ত হয়, সে জুমআর দিনের কোন ফযীলাত প্রাপ্ত হবে না। অতঃপর আলী (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে এরূপ বলতে শুনেছি।
ইমাম খুতবা দেয়া শুরু করলে যে ব্যক্তি চুপচাপ বসে শুনে সে দুইটি বিনিময় প্রাপ্ত হয়। আর যে ব্যক্তি এতদূরে বসে যে, ইমামের খুতবা শুনতে পায় না; তবুও সে চুপ করে বসে থাকার জন্য একটি বিনিময় প্রাপ্ত হবে। আর যে ব্যক্তি এমন স্থানে উপবেশন করে যেখান হতে সে ইচ্ছা করলে ইমামের খুতবা শুনতে এবং তাকে দেখতেও পারে, কিন্তু সে এরূপ না করে বেহুদা কথা ও কর্মে লিপ্ত হয়, সে গুনাহগার হবে। অতঃপর যে ব্যক্তি জুমআর দিন ইমামের খুতবা দানের সময় অন্যকে চুপ থাকতে বলে সেও বেহুদা কর্মে লিপ্ত হয়। আর যে ব্যক্তি এরূপ বেহুদা কথা বা কর্মে লিপ্ত হয়, সে জুমআর দিনের কোন ফযীলাত প্রাপ্ত হবে না। অতঃপর আলী (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে এরূপ বলতে শুনেছি।
باب فَضْلِ الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا عِيسَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَطَاءٌ الْخُرَاسَانِيُّ، عَنْ مَوْلَى، امْرَأَتِهِ أُمِّ عُثْمَانَ قَالَ سَمِعْتُ عَلِيًّا، - رضى الله عنه - عَلَى مِنْبَرِ الْكُوفَةِ يَقُولُ " إِذَا كَانَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ غَدَتِ الشَّيَاطِينُ بِرَايَاتِهَا إِلَى الأَسْوَاقِ فَيَرْمُونَ النَّاسَ بِالتَّرَابِيثِ أَوِ الرَّبَائِثِ وَيُثَبِّطُونَهُمْ عَنِ الْجُمُعَةِ وَتَغْدُو الْمَلاَئِكَةُ فَيَجْلِسُونَ عَلَى أَبْوَابِ الْمَسْجِدِ فَيَكْتُبُونَ الرَّجُلَ مِنْ سَاعَةٍ وَالرَّجُلَ مِنْ سَاعَتَيْنِ حَتَّى يَخْرُجَ الإِمَامُ فَإِذَا جَلَسَ الرَّجُلُ مَجْلِسًا يَسْتَمْكِنُ فِيهِ مِنَ الاِسْتِمَاعِ وَالنَّظَرِ فَأَنْصَتَ وَلَمْ يَلْغُ كَانَ لَهُ كِفْلاَنِ مِنْ أَجْرٍ فَإِنْ نَأَى وَجَلَسَ حَيْثُ لاَ يَسْمَعُ فَأَنْصَتَ وَلَمْ يَلْغُ كَانَ لَهُ كِفْلٌ مِنْ أَجْرٍ وَإِنْ جَلَسَ مَجْلِسًا يَسْتَمْكِنُ فِيهِ مِنَ الاِسْتِمَاعِ وَالنَّظَرِ فَلَغَا وَلَمْ يُنْصِتْ كَانَ لَهُ كِفْلٌ مِنْ وِزْرٍ وَمَنْ قَالَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ لِصَاحِبِهِ صَهْ . فَقَدْ لَغَا وَمَنْ لَغَا فَلَيْسَ لَهُ فِي جُمُعَتِهِ تِلْكَ شَىْءٌ " . ثُمَّ يَقُولُ فِي آخِرِ ذَلِكَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ذَلِكَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنِ ابْنِ جَابِرٍ قَالَ بِالرَّبَائِثِ وَقَالَ مَوْلَى امْرَأَتِهِ أُمِّ عُثْمَانَ بْنِ عَطَاءٍ .
