কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৯৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৯৮৭
১৯২. তাশাহ্হুদের মধ্যে (আঙ্গুল দ্বারা) ইশারা করা।
৯৮৭. আল-কানবী (রাহঃ) ..... আলী ইবনে আব্দুর রহমান আল-মুআবী (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) আমাকে নামাযের মধ্যে কংকর নিয়ে অনর্থক খেলতে দেখেন। তিনি নামায শেষে আমাকে এরূপ করতে নিষেধ করেন এবং বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যেরূপে নামায আদায় করতেন, তদ্রূপ করবে। তখন আমি তাঁকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামায পাঠ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। জবাবে তিনি বলেন, তিনি যখন নামাযের মধ্যে বসতেন, তখন ডান হাতের তালুকে ডান পায়ের রানের উপর রাখতেন এবং তার সমস্ত আঙ্গুলগুলো (শাহাদাত আঙ্গুল ব্যতীত) বন্ধ করে রাখতেন এবং শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করতেন। এবং তিনি বাম হাতের তালু বাম পায়ের রানের উপর রাখতেন।
باب الإِشَارَةِ فِي التَّشَهُّدِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُعَاوِيِّ، قَالَ رَآنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ وَأَنَا أَعْبَثُ بِالْحَصَى فِي الصَّلاَةِ فَلَمَّا انْصَرَفَ نَهَانِي وَقَالَ اصْنَعْ كَمَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصْنَعُ . فَقُلْتُ وَكَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصْنَعُ قَالَ كَانَ إِذَا جَلَسَ فِي الصَّلاَةِ وَضَعَ كَفَّهُ الْيُمْنَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُمْنَى وَقَبَضَ أَصَابِعَهُ كُلَّهَا وَأَشَارَ بِأُصْبُعِهِ الَّتِي تَلِي الإِبْهَامَ وَوَضَعَ كَفَّهُ الْيُسْرَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُسْرَى .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, তাশাহহুদের সময় শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করতে হবে।
ফায়দা : ইশারা কখন করতে হবে এ ব্যাপারে হানাফী মাযহাবের গবেষক ইমামগণ বলেছেন যে, يَرْفَعُهَا عِنْدَ النَّفْيِ وَيَضَعُهَا عِنْدَ الْإِثْبَاتِ. নফী তথা لاَ إِلَهَ বলার সময় উঠাবে। আর ইসবাত তথা إِلَّا الله বলার সময় নামাবে। (শামী: ১/৫০৯) আল্লামা নববী রহ. শাফেয়ী মাযহাবের আমল হিসেবেও প্রায় অনুরূপ পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন। (শরহু মুসলিম: ১১৮৫ নম্বর হাদীসের ব্যাখ্যায়, ‘সালাতে বসা ও দুই উরুর উপর দুই হাত রাখার নিয়ম’ অধ্যায়)
ফায়দা : ইশারা কখন করতে হবে এ ব্যাপারে হানাফী মাযহাবের গবেষক ইমামগণ বলেছেন যে, يَرْفَعُهَا عِنْدَ النَّفْيِ وَيَضَعُهَا عِنْدَ الْإِثْبَاتِ. নফী তথা لاَ إِلَهَ বলার সময় উঠাবে। আর ইসবাত তথা إِلَّا الله বলার সময় নামাবে। (শামী: ১/৫০৯) আল্লামা নববী রহ. শাফেয়ী মাযহাবের আমল হিসেবেও প্রায় অনুরূপ পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন। (শরহু মুসলিম: ১১৮৫ নম্বর হাদীসের ব্যাখ্যায়, ‘সালাতে বসা ও দুই উরুর উপর দুই হাত রাখার নিয়ম’ অধ্যায়)
