আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

২১- হজ্জ্বের অধ্যায়

হাদীস নং: ১৫২১
আন্তর্জাতিক নং: ১৬১৮ - ১৬১৯
১০২৪. পুরুষদের সাথে মহিলাদের তাওয়াফ করা।
[ইমাম বুখারী (রাহঃ) বলেন] আমাকে আমর ইবনে আলী (রাহঃ) ...... ইবনে জুরাইজ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আতা (রাহঃ) বলেছেন, ইবনে হিশাম (রাহঃ) যখন মহিলাদের পুরুষের সঙ্গে তাওয়াফ করতে নিষেধ করেন, তখন আতা (রাহঃ) তাঁকে বললেন, আপনি তাদের কি করে নিষেধ করেছেন, অথচ নবী সহধর্মিণীগণ পুরুষদের সঙ্গে তাওয়াফ করেছেন? [ইবনে জুরাইজ (রাহঃ) বলেন] আমি তাঁকে প্রশ্ন করলাম, তা কি পর্দার আয়াত নাযিল হওয়ার পরে, না পূর্বে? তিনি [আতা (রাহঃ)] বললেন, হ্যাঁ, আমার জীবনের কসম, আমি পর্দার আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পরের কথাই বলছি। আমি জানতে চাইলাম পুরুষগণ মহিলাদের সাথে মিলে কিভাবে তাওয়াফ করতেন? তিনি বললেন, পুরুষগণ মহিলাগণের সাথে মিশে তাওয়াফ করতেন না। আয়িশা (রাযিঃ) বরং পুরুষদের পাশ কাটিয়ে তাওয়াফ করতেন, তাদের মাঝে মিশে যেতেন না। এক মহিলা আয়িশা (রাযিঃ)-কে বললেন, চলুন, হে উম্মুল মু’মিনীন! আমরা তাওয়াফ করে আসি। তিনি বললেন, “তোমার মনে চাইলে তুমি যাও” আর তিনি যেতে অস্বীকার করলেন। তারা রাতের বেলা পর্দা করে বের হয়ে (সম্পূর্ণ না মিশে) পুরুষদের পাশাপাশি থেকে তওয়াফ করতেন। উম্মুল মু’মিনীনগণ বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করতে চাইলে সকল পুরুষ বের করে না দেওয়া পর্যন্ত তারা দাঁড়িয়ে থাকতেন।
আতা (রাহঃ) বলেন, উবাইদ ইবনে উমাইর এবং আমি আয়িশা (রাযিঃ)-এর কাছে গেলাম, তিনি তখন “সবীর” পর্বতে অবস্থান করছিলেন। [ইবনে জুরাইজ (রাহঃ) বলেন] আমি বললাম, তখন তিনি কি দিয়ে পর্দা করছিলেন? আতা (রাহঃ) বললেন, তখন তিনি পর্দা ঝুলান তুর্কী তাঁবুতে ছিলেন, এ ছাড়া তার ও আমাদের মাঝে অন্য কোন কিছু ছিল না। (অকস্মাৎ দৃষ্টি পড়ায়) আমি তাঁর গায়ে গোলাপী রং-এর চাদর দেখতে পেলাম।
১৫২১। ইসমাঈল (রাহঃ) ......... নবী সহধর্মিণী উম্মে সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট অসুস্থতার কথা জানালে তিনি বললেনঃ বাহনে আরোহণ করে মানুষের পেছনে থেকে তাওয়াফ কর। আমি মানুষের পেছনে পেছনে থেকে তাওয়াফ করছিলাম, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কাবা ঘরের পার্শ্বে নামায আদায় করছিলেন এবং তিনি وَالطُّورِ * وَكِتَابٍ مَسْطُورٍ এই (সূরাটি) তিলাওয়াত করছিলেন।
بَاب طَوَافِ النِّسَاءِ مَعَ الرِّجَالِ
1618 - وقَالَ لِي عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ: حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ [ص:153]، قَالَ: ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنَا قَالَ: أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ: إِذْ مَنَعَ ابْنُ هِشَامٍ النِّسَاءَ الطَّوَافَ مَعَ الرِّجَالِ، قَالَ: كَيْفَ يَمْنَعُهُنَّ؟ وَقَدْ طَافَ نِسَاءُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ الرِّجَالِ؟ قُلْتُ: أَبَعْدَ الحِجَابِ أَوْ قَبْلُ؟ قَالَ: إِي لَعَمْرِي، لَقَدْ أَدْرَكْتُهُ بَعْدَ الحِجَابِ، قُلْتُ: كَيْفَ يُخَالِطْنَ الرِّجَالَ؟ قَالَ: لَمْ يَكُنَّ يُخَالِطْنَ، كَانَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا تَطُوفُ حَجْرَةً مِنَ الرِّجَالِ، لاَ تُخَالِطُهُمْ، فَقَالَتْ امْرَأَةٌ: انْطَلِقِي نَسْتَلِمْ يَا أُمَّ المُؤْمِنِينَ، قَالَتْ: «انْطَلِقِي عَنْكِ» ، وَأَبَتْ، يَخْرُجْنَ مُتَنَكِّرَاتٍ بِاللَّيْلِ، فَيَطُفْنَ مَعَ الرِّجَالِ، وَلَكِنَّهُنَّ كُنَّ إِذَا دَخَلْنَ البَيْتَ، قُمْنَ حَتَّى يَدْخُلْنَ، وَأُخْرِجَ الرِّجَالُ، وَكُنْتُ آتِي عَائِشَةَ أَنَا وَعُبَيْدُ بْنُ عُمَيْرٍ، وَهِيَ مُجَاوِرَةٌ فِي جَوْفِ ثَبِيرٍ، قُلْتُ: وَمَا حِجَابُهَا؟ قَالَ: هِيَ فِي قُبَّةٍ تُرْكِيَّةٍ، لَهَا غِشَاءٌ، وَمَا بَيْنَنَا وَبَيْنَهَا غَيْرُ ذَلِكَ، وَرَأَيْتُ عَلَيْهَا دِرْعًا مُوَرَّدًا
1619 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا - زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَتْ: شَكَوْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنِّي أَشْتَكِي، فَقَالَ: «طُوفِي مِنْ وَرَاءِ النَّاسِ وَأَنْتِ رَاكِبَةٌ» فَطُفْتُ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَئِذٍ يُصَلِّي إِلَى جَنْبِ البَيْتِ وَهُوَ يَقْرَأُ: " وَالطُّورِ وَكِتَابٍ مَسْطُورٍ
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
সহীহ বুখারী - হাদীস নং ১৫২১ | মুসলিম বাংলা