কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৮০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৮০৪
১৩৬. শেষের দুই রাকআত সংক্ষেপ করা সম্পর্কে।
৮০৪. আব্দুল্লাহ্ ইবনে মুহাম্মাদ ..... আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যোহর ও আসরের নামাযে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতেন, আমরা তা নির্ণয় করেছি। আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহগ করি যে, তিনি যোহরের নামাযের প্রথম দুই রাকআতে ৩০ আয়াত পাঠ করার পরিমাণ সময় দাঁড়াতেন- যেমন সূরা “আলিফ-লাম মীম আস্-সিজদা” ইত্যাদি এবং শেষ দুই রাকআতে তিনি প্রথম দুই রাকআতের চাইতে অর্ধেক পরিমাণ সময় দাঁড়িয়ে থাকতেন। তিনি যোহরের শেষ দুই রাকআতে যতক্ষণ দাঁড়াতেন- আসরের প্রথম দুই রাকআতেও ততক্ষণ দণ্ডায়মান থাকতেন। তিনি আসরের শেষ দুই রাকআতে তার প্রথম দুই রাকআতের অর্ধেক পরিমাণ সময় দাঁড়িয়ে থাকতেন।
باب تَخْفِيفِ الأُخْرَيَيْنِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، - يَعْنِي النُّفَيْلِيَّ - حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا مَنْصُورٌ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ الْهُجَيْمِيِّ، عَنْ أَبِي الصِّدِّيقِ النَّاجِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ حَزَرْنَا قِيَامَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ فَحَزَرْنَا قِيَامَهُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُولَيَيْنِ مِنَ الظُّهْرِ قَدْرَ ثَلاَثِينَ آيَةً قَدْرَ ( الم * تَنْزِيلُ ) السَّجْدَةِ وَحَزَرْنَا قِيَامَهُ فِي الأُخْرَيَيْنِ عَلَى النِّصْفِ مِنْ ذَلِكَ وَحَزَرْنَا قِيَامَهُ فِي الأُولَيَيْنِ مِنَ الْعَصْرِ عَلَى قَدْرِ الأُخْرَيَيْنِ مِنَ الظُّهْرِ وَحَزَرْنَا قِيَامَهُ فِي الأُخْرَيَيْنِ مِنَ الْعَصْرِ عَلَى النِّصْفِ مِنْ ذَلِكَ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
রসূল স. যোহরের নামাযে আলিফ লাম মীম সিজদা বা ভিন্ন বর্ণনা অনুযায়ী ৩০ আয়াত বিশিষ্ট ছূরা তিলাওয়াত করেছেন। আর এটা তিওয়ালে মুফাছ্ছাল (হুজুরাত থেকে বুরুজ পর্যন্ত)-এর সমপরিমাণ বা তার কাছাকাছি হয়। আর আসরের নামাযে তিনি যোহরের অর্ধেক পরিমাণ তিলাওয়াত করেছেন যা আওসাতে মুফাছ্ছাল (ত্বরিক থেকে বায়্যিনাহ পর্যন্ত)-এর সমপরিমাণ হয়। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, যোহরের নামাযের উত্তম কিরাত হলো তিওয়ালে মুফাছ্ছাল। আর আসরের নামাযের উত্তম কিরাত হলো আওসাতে মুফাছ্ছাল। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৪৯২) এর বিপরীতে মুসলিম শরীফের ৯১৩ নং হাদীসে বর্ণিত আছে যে, রসূলুলস্নাহ স. যোহরের নামাযে ছূরা আল-লাইল পড়তেন। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, তিনি যোহরের নামাযে আওসাতে মুফাছ্ছাল (ত্বরিক থেকে বায়্যিনাহ পর্যন্ত) পড়তেন। এটাও আমল করা যেতে পারে।


বর্ণনাকারী: