কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৭৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭৮৬
১৩১. উচ্চস্বরে বিসমিল্লাহ পাঠ করার বর্ণনা।
৭৮৬. আমর ইবনে আওন ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উছমান (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করি যে, আপনারা সূরা বারাআত-কে সূরা আনফালের অন্তর্ভূক্ত করে আল-কুরআনের সাবউল মাছানী (সাতটি সূরা)-এর মধ্যে কিরূপে পরিগণিত করেন এবং উভয় সূরার মধ্যস্থলে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম কেন লিখেন নাই? অথচ বারাআত সূরাটি মিইন-এর অন্তর্ভুক্ত (অর্থাৎ যাতে ১০০-র অধিক আয়াত আছে এবং বারাআতে ১২৯ আয়াত আছে)। অপরপক্ষে সূরা আনফাল মাছানীর অন্তর্ভুক্ত (কেননা এতে ১০০-এর কম অর্থাৎ ৭৫ টি আয়াত আছে)।
উছমান (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ)-এর উপর যখনই কোন আয়াত নাযিল হত, তখন তিনি ওহী লেখক সাহাবীদের ডেকে বলতেনঃ এই আয়াত অমুক সূরার অমুক স্থানে সন্নিবেশীত কর যার মধ্যে এই এই বিষয় আলোচিত হয়েছে। অতঃপর তাঁর উপর যখন একটি বা দুটি আয়াত নাযিল হত, তখনও তিনি ঐরূপ বলতেন।
সূরা আল্-আনফাল নবী (ﷺ)-এর উপর মদীনায় আসার পরপরই নাযিলকৃত সূরা সমূহের অন্যতম এবং সূরা বারাআত অবতীর্ণ হয় কুরআন নাযিলের সমাপ্তিকালে। কিন্তু সূরা আনফালে বর্ণিত ঘটনাবলীর সঙ্গে সূরা বারাআতে বর্ণিত ঘটনাবলীর সঙ্গে সূরা বারাআতে বর্ণিত ঘটনাবলীর সাদৃশ্য রয়েছে। কাজেই আমি মনে মনে স্থির করি যে, এটি সূরা আনফালের অন্তর্ভুক্ত। এজন্য আমি দুটি সূরাকে একত্রে সাবউত-তিওয়াল-এর অন্তর্ভুক্ত করেছি এবং এ কারণেই এই দুইটি সূরার মাঝখানে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম লিপিবদ্ধ করি নি।
উছমান (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ)-এর উপর যখনই কোন আয়াত নাযিল হত, তখন তিনি ওহী লেখক সাহাবীদের ডেকে বলতেনঃ এই আয়াত অমুক সূরার অমুক স্থানে সন্নিবেশীত কর যার মধ্যে এই এই বিষয় আলোচিত হয়েছে। অতঃপর তাঁর উপর যখন একটি বা দুটি আয়াত নাযিল হত, তখনও তিনি ঐরূপ বলতেন।
সূরা আল্-আনফাল নবী (ﷺ)-এর উপর মদীনায় আসার পরপরই নাযিলকৃত সূরা সমূহের অন্যতম এবং সূরা বারাআত অবতীর্ণ হয় কুরআন নাযিলের সমাপ্তিকালে। কিন্তু সূরা আনফালে বর্ণিত ঘটনাবলীর সঙ্গে সূরা বারাআতে বর্ণিত ঘটনাবলীর সঙ্গে সূরা বারাআতে বর্ণিত ঘটনাবলীর সাদৃশ্য রয়েছে। কাজেই আমি মনে মনে স্থির করি যে, এটি সূরা আনফালের অন্তর্ভুক্ত। এজন্য আমি দুটি সূরাকে একত্রে সাবউত-তিওয়াল-এর অন্তর্ভুক্ত করেছি এবং এ কারণেই এই দুইটি সূরার মাঝখানে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম লিপিবদ্ধ করি নি।
باب مَنْ جَهَرَ بِهَا
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ عَوْفٍ، عَنْ يَزِيدَ الْفَارِسِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، قَالَ قُلْتُ لِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ مَا حَمَلَكُمْ أَنْ عَمَدْتُمْ، إِلَى بَرَاءَةَ وَهِيَ مِنَ الْمِئِينَ وَإِلَى الأَنْفَالِ وَهِيَ مِنَ الْمَثَانِي فَجَعَلْتُمُوهُمَا فِي السَّبْعِ الطُّوَلِ وَلَمْ تَكْتُبُوا بَيْنَهُمَا سَطْرَ ( بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ) قَالَ عُثْمَانُ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِمَّا يَنْزِلُ عَلَيْهِ الآيَاتُ فَيَدْعُو بَعْضَ مَنْ كَانَ يَكْتُبُ لَهُ وَيَقُولُ لَهُ " ضَعْ هَذِهِ الآيَةَ فِي السُّورَةِ الَّتِي يُذْكَرُ فِيهَا كَذَا وَكَذَا " . وَتَنْزِلُ عَلَيْهِ الآيَةُ وَالآيَتَانِ فَيَقُولُ مِثْلَ ذَلِكَ وَكَانَتِ الأَنْفَالُ مِنْ أَوَّلِ مَا أُنْزِلَ عَلَيْهِ بِالْمَدِينَةِ وَكَانَتْ بَرَاءَةُ مِنْ آخِرِ مَا نَزَلَ مِنَ الْقُرْآنِ وَكَانَتْ قِصَّتُهَا شَبِيهَةً بِقِصَّتِهَا فَظَنَنْتُ أَنَّهَا مِنْهَا فَمِنْ هُنَاكَ وَضَعْتُهُمَا فِي السَّبْعِ الطُّوَلِ وَلَمْ أَكْتُبْ بَيْنَهُمَا سَطْرَ ( بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ) .
