কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ৭৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৭৮৩
১৩০. উচ্চস্বরে বিসমিল্লাহ না বলার বিবরণ।
৭৮৩. মুসাদ্দাদ ..... আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকবীরে তাহরীমা বলে নামায আরম্ভ করতেন এবং আলহামদু লিল্লাহি রবীল আলামীন বলে কিরাআত শুরু করতেন। তিনি রুকুর সময় স্বীয় মাথা উচুঁ করেও রাখতেন না এবং নীচু করেও রাখতেন না, বরং পিঠের সমান্তরাল করে রাখতেন। অতঃপর তিনি রুকূ হতে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর আগে সিজদায় যেতেন না এবং এক সিজদা করার পর সোজা হয়ে বসার পূর্বে দ্বিতীয় সিজদা করতেন না। তিনি প্রত্যেক দুই রাকআত নামায আদায়ের পর তাশাহ্‌হুদ, পাঠ করতেন। অতঃপর তিনি যখন বসতেন, তখন বাম পা বিছিয়ে দিতেন এবং ডান পা খাড়া করে রাখতেন। তিনি শয়তানের মত উপবেশন করা তথা উভয় গোড়ালীর উপর পাছা রেখে বসতে নিষেধ করতেন এবং চতুষ্পদ জন্তুর ন্যায় (অর্থাৎ দুই হাত মাটির সাথে বিছিয়ে দিয়ে) সিজদা করতে নিষেধ করতেন। অতঃপর তিনি আস-সালামু আলাইকুম বলে নামায শেষ করতেন।
باب مَنْ لَمْ يَرَ الْجَهْرَ بِـ { بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ }
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ حُسَيْنٍ الْمُعَلِّمِ، عَنْ بُدَيْلِ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ أَبِي الْجَوْزَاءِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَفْتَتِحُ الصَّلاَةَ بِالتَّكْبِيرِ وَالْقِرَاءَةَ بِـ ( الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ) وَكَانَ إِذَا رَكَعَ لَمْ يُشْخِصْ رَأْسَهُ وَلَمْ يُصَوِّبْهُ وَلَكِنْ بَيْنَ ذَلِكَ وَكَانَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ لَمْ يَسْجُدْ حَتَّى يَسْتَوِيَ قَائِمًا وَكَانَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ السُّجُودِ لَمْ يَسْجُدْ حَتَّى يَسْتَوِيَ قَاعِدًا وَكَانَ يَقُولُ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ " التَّحِيَّاتُ " . وَكَانَ إِذَا جَلَسَ يَفْرِشُ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَيَنْصِبُ رِجْلَهُ الْيُمْنَى وَكَانَ يَنْهَى عَنْ عَقِبِ الشَّيْطَانِ وَعَنْ فِرْشَةِ السَّبُعِ وَكَانَ يَخْتِمُ الصَّلاَةَ بِالتَّسْلِيمِ .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

উপরিউক্ত হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, প্রথম সিজদা থেকে উঠে ধীরস্থিরভাবে বসে তারপরে দ্বিতীয় সিজদা করা। এবং এ বৈঠকে উভয় পা খাড়া রেখে গোড়ালীর উপর বসা ধীরস্থিরতার পরিপন্থী। তাই তাশাহহুদের বৈঠকের নিয়ম অনুযায়ী বাম পা বিছিয়ে দিয়ে তার উপর নিতম্ব রেখে শান্তভাবে বসা। তাশাহহুদের বৈঠকের মত হাত দুটি দুই রানের উপর রাখা। ধীরস্থিরভাবে বসার জন্য এ বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখা জরুরী। এটা হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৫০৫)