কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ৭৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৫
নামাযের অধ্যায়
১২৪. দুই রাকআত শেষে উঠার সময় দুই হাত উত্তোলন (রাফউল ইয়াদাইন) সম্পর্কে।
৭৪৫। হাফস ইবনে উমর ..... মালিক ইবনুল-হুয়ায়রিছ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ)-কে তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় হাত উঠাতে দেখেছি। আমি তাকে রুকূতে গমনকালে এবং তা হতে উঠার সময় স্বীয় হস্তদ্বয় কানের উপরিভাগ পর্যন্ত উঠাতে দেখেছি।
كتاب الصلاة
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ نَصْرِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَرْفَعُ يَدَيْهِ إِذَا كَبَّرَ وَإِذَا رَكَعَ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ حَتَّى يَبْلُغَ بِهِمَا فُرُوعَ أُذُنَيْهِ .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

উপরিউক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, তাকবীরে তাহরীমার সময় উভয় হাত কানের উপর পর্যন্ত উঠাতে হবে। তবে কান পর্যন্ত, কানের লতি পর্যন্ত এবং কাঁধ পর্যন্ত হাত উঠানোর কথাও অন্যান্য সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। আমরা এ সকল হাদীসের সমন্বয়ে এভাবে আমল করে থাকি যে, উভয় হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল উভয় কানের লতি পর্যন্ত পৌঁছাবে যেন হাতের অন্যান্য আঙ্গুলের মাথা কানের উপর পর্যনত্ম পৌঁছে যায়। আর হাতের পাঞ্জা কান বরাবর এবং কব্জি কাঁধ বরাবর থাকে। এ নিয়ম অনুসরণ করলে এ বিষয়ক সবগুলো হাদীসের উপরই একত্রে আমল হয়ে যায়। (ফাতহুল কদীর, শামী: ৪৮২)

ফায়দা : হাত উঠানো এবং তাকবীর বলা একই সাথে হবে নাকি আগে/পিছে হবে এ বিষয়ে হাদীসের ভাষা স্পষ্ট নয়। তবে অনেক ফুকাহায়ে কিরাম আগে হাত উঠিয়ে পরে তাকবীর বলার কথা বলেছেন। তাঁরা এর কারণ হিসেবে একটি হেকমত তুলে ধরেছেন যে, নামাযের জন্য আল্লাহ তাআলার সামনে বিনয়ের সাথে দাঁড়িয়ে হাত উঁচু করে দেয়ার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার সামনে আত্মসমর্পন এবং গাইরুল্লাহর বড়ত্বকে স্বীকার করা হয়। অতঃপর তাকবীরে মাধ্যমে কেবল আল্লাহর বড়ত্ব স্বীকার করা হয়। আর গাইরুল্লাহর বড়ত্ব স্বীকার করার কাজটি হবে আগে। হিদায়াহ কিতাবে এ বিষয়টিকে সংড়্গিপ্তভাবে উলেস্নখ করা হয়েছে। (হিদায়াহ, অধ্যায়: ছিফাতুস সলাহ)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান