কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ৭৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩০
১২৩. নামায শুরু করার বর্ণনা।
৭৩০. আহমদ ইবনে হাম্বল .... মুহাম্মাদ ইবনে আমর হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবু হুমায়েদ আস-সাইদী (রাযিঃ)-কে দশজন সাহাবীর উপস্থিতিতে যাদের মধ্যে আবু কাতাদা (রাযিঃ)-ও ছিলেন- বলতে শুনেছিঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নামায সম্পর্কে আপনাদের চেয়ে সমধিক অবগত আছি। তাঁরা বলেন, তা কিরূপে? আল্লাহর শপথ! আপনি তাঁর অনুসরণের ও সাহচর্যের দিক দিয়ে আমাদের চাইতে অধিক অগ্রগামী নন। তিনি বলেন, হ্যাঁ। অতঃপর তারা বলেন, এখন আপনি আপনার বক্তব্য পেশ করুন। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নামাযে দাঁড়াতেন তখন তিনি, তাঁর হস্তদ্বয় কাঁধ পর্যন্ত উঠিয়ে আল্লাহু আকবার বলে পূর্ণরূপে সোজা হয়ে দাঁড়াতেন। তিনি কিরাআত পাঠের পর তাকবীর বলে রুকূতে যাওয়ার সময় আল্লাহু আকবার বলে নিজের উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন। রুকূতে গিয়ে তিনি দুই হাতের তালু দ্বারা হাঁটুদ্বয় মজবুতভাবে ধরতেন।

অতঃপর তিনি এমনভাবে রুকু করতেন যে, তাঁর মাথা পিঠের সাথে সমান্তরাল থাকত। অতঃপর তিনি মাথা উঠিয়ে “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ” বলে স্বীয় উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতেন। পুনরায় আল্লাহু আকবার বলে তিনি সিজদায় গিয়ে উভয় বাহু স্বীয় পাজরের পাশ হতে দূরে সরিয়ে রাখতেন। অতঃপর সিজদা হতে মাথা উঠিয়ে বাম পা বিছিয়ে দিয়ে তার উপর বসতেন এবং সিজদার সময় পায়ের আঙ্গুলগুলি নরম করে কিবলামুখী করে রাখতেন। তিনি আল্লাহু আকবার বলে (দ্বিতীয়) সিজদা হতে উঠে বাম পা বিছিয়ে দিয়ে তার উপর সোজা হয়ে বসতেন। অতঃপর তিনি সর্বশেষ রাকআতে স্বীয় বাম পা ডান দিকে বের করে দিয়ে বাম পাশের পাছার উপর ভর করে বসতেন। তখন তারা সকলে বলেন, হ্যাঁ, আপনি ঠিক বলেছেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এই রূপেই নামায আদায় করতেন।*

* ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর মতানুযায়ী নামাযের মধ্যে তাকবীরে তাহরীমা ব্যতীত আর কোথাও হাত উঠাতে হবে না এবং তাঁর মতের স্বপক্ষে বহু সহীহ হাদীস বর্ণিত আছে। অপর পক্ষে, ইমাম শাফিঈ ও অন্যান্যদের মতে নামাযের মধ্যে তাকবীর তাহরীমা এবং অন্যান্য স্থানেও হাত উঠাতে হবে। - অনুবাদক
باب افْتِتَاحِ الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، - وَهَذَا حَدِيثُ أَحْمَدَ قَالَ - أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ، - يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ - أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا حُمَيْدٍ السَّاعِدِيَّ، فِي عَشْرَةٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ أَبُو قَتَادَةَ قَالَ أَبُو حُمَيْدٍ أَنَا أَعْلَمُكُمْ بِصَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالُوا فَلِمَ فَوَاللَّهِ مَا كُنْتَ بِأَكْثَرِنَا لَهُ تَبَعًا وَلاَ أَقْدَمَنَا لَهُ صُحْبَةً . قَالَ بَلَى . قَالُوا فَاعْرِضْ . قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ يُكَبِّرُ حَتَّى يَقِرَّ كُلُّ عَظْمٍ فِي مَوْضِعِهِ مُعْتَدِلاً ثُمَّ يَقْرَأُ ثُمَّ يُكَبِّرُ فَيَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ يَرْكَعُ وَيَضَعُ رَاحَتَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ ثُمَّ يَعْتَدِلُ فَلاَ يَصُبُّ رَأْسَهُ وَلاَ يُقْنِعُ ثُمَّ يَرْفَعُ رَأْسَهُ فَيَقُولُ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . ثُمَّ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ مُعْتَدِلاً ثُمَّ يَقُولُ " اللَّهُ أَكْبَرُ " . ثُمَّ يَهْوِي إِلَى الأَرْضِ فَيُجَافِي يَدَيْهِ عَنْ جَنْبَيْهِ ثُمَّ يَرْفَعُ رَأْسَهُ وَيَثْنِي رِجْلَهُ الْيُسْرَى فَيَقْعُدُ عَلَيْهَا وَيَفْتَحُ أَصَابِعَ رِجْلَيْهِ إِذَا سَجَدَ وَيَسْجُدُ ثُمَّ يَقُولُ " اللَّهُ أَكْبَرُ " . وَيَرْفَعُ رَأْسَهُ وَيَثْنِي رِجْلَهُ الْيُسْرَى فَيَقْعُدُ عَلَيْهَا حَتَّى يَرْجِعَ كُلُّ عَظْمٍ إِلَى مَوْضِعِهِ ثُمَّ يَصْنَعُ فِي الأُخْرَى مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ إِذَا قَامَ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ كَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ كَمَا كَبَّرَ عِنْدَ افْتِتَاحِ الصَّلاَةِ ثُمَّ يَصْنَعُ ذَلِكَ فِي بَقِيَّةِ صَلاَتِهِ حَتَّى إِذَا كَانَتِ السَّجْدَةُ الَّتِي فِيهَا التَّسْلِيمُ أَخَّرَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَقَعَدَ مُتَوَرِّكًا عَلَى شِقِّهِ الأَيْسَرِ . قَالُوا صَدَقْتَ هَكَذَا كَانَ يُصَلِّي صلى الله عليه وسلم .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

সিজদার সময় বাহু পাঁজর থেকে এবং কনুই জমিন থেকে পৃথক রাখতে হয়। আর পায়ের আঙ্গুলগুলিকে কিবলামুখী করে রাখতে হয়। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৫০৩)