কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৬০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬০৩
৭৪. বসে ইমামতি করা সম্পর্কে।
৬০৩. সুলাইমান ইবনে হারব .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ ইমাম এজন্যই নিয়োজিত করা হয় যে, অন্যরা তার অনুসরণ করবে। যখন ইমাম তাকবীর বলে, তখন তেমরাও তাকবীর বলবে। যতক্ষণ সে তাকবীর না বলবে ততক্ষণ তোমরাও বলবে না। অতঃপর ইমাম যখন রুকু করে, তখন তোমরাও রুকূ করবে এবং সে রুকূতে যাওয়ার পূর্বে তোমরা রুকূতে যাবে না। অতঃপর ইমাম যখন সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ” বলবে তখন তোমরা “আল্লাহুম্মা রবানা লাকাল হামদ” বলবে।
মুসলিম ইবনে ইবরাহীম বলেন, “ওয়ালাকাল হামদ” বলবে। যখন ইমাম সিজদা করবে তখন তোমরা সিজদা করবে এবং তিনি সিজদায় যাওয়ার পূর্বে তোমরা সিজদায় যেও না। আর ইমাম যখন দাঁড়িয়ে নামায আদায় করবে তখন তোমরাও ঐরূপ করবে এবং যখন ইমাম বসে নামায আদায় করবে তখন তোমরাও সকলে বসে নামায পড়বে।*
* ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও ইমাম শাফিঈ (রাহঃ)-এর মতে ইমাম কোন কারণ বশতঃ বসে নামায আদায় করলেও মুকতাদীরা দাঁড়িয়ে নামায আদায় করবে। অন্যান্য হাদীসের বর্ণনা থেকে তা প্রমাণিত। - (অনুবাদক)
মুসলিম ইবনে ইবরাহীম বলেন, “ওয়ালাকাল হামদ” বলবে। যখন ইমাম সিজদা করবে তখন তোমরা সিজদা করবে এবং তিনি সিজদায় যাওয়ার পূর্বে তোমরা সিজদায় যেও না। আর ইমাম যখন দাঁড়িয়ে নামায আদায় করবে তখন তোমরাও ঐরূপ করবে এবং যখন ইমাম বসে নামায আদায় করবে তখন তোমরাও সকলে বসে নামায পড়বে।*
* ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও ইমাম শাফিঈ (রাহঃ)-এর মতে ইমাম কোন কারণ বশতঃ বসে নামায আদায় করলেও মুকতাদীরা দাঁড়িয়ে নামায আদায় করবে। অন্যান্য হাদীসের বর্ণনা থেকে তা প্রমাণিত। - (অনুবাদক)
باب الإِمَامِ يُصَلِّي مِنْ قُعُودٍ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، - الْمَعْنَى - عَنْ وُهَيْبٍ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَلاَ تُكَبِّرُوا حَتَّى يُكَبِّرَ وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَلاَ تَرْكَعُوا حَتَّى يَرْكَعَ وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ " . قَالَ مُسْلِمٌ " وَلَكَ الْحَمْدُ " . " وَإِذَا سَجَدَ فَاسْجُدُوا وَلاَ تَسْجُدُوا حَتَّى يَسْجُدَ وَإِذَا صَلَّى قَائِمًا فَصَلُّوا قِيَامًا وَإِذَا صَلَّى قَاعِدًا فَصَلُّوا قُعُودًا أَجْمَعُونَ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ " اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ " . أَفْهَمَنِي بَعْضُ أَصْحَابِنَا عَنْ سُلَيْمَانَ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
ইমাম বুখারী রহ. এ হাদীসটি বর্ণনা করার পরে বলেন, قَالَ الْحُمَيْدِيُّ قَوْلُهُ إِذَا صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا هُوَ فِي مَرَضِهِ الْقَدِيمِ ثُمَّ صَلَّى بَعْدَ ذَلِكَ النَّبِيُّ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسًا وَالنَّاسُ خَلْفَهُ قِيَامًا لَمْ يَأْمُرْهُمْ بِالْقُعُودِ وَإِنَّمَا يُؤْخَذُ بِالْآخِرِ فَالْآخِرِ مِنْ فِعْلِ النَّبِيِّ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‘আল্লামা হুমাইদী বলেন, ইমাম বসে নামায পড়লে তোমরাও বসে নামায পড়বে’ এটা নবী কারীম স.-এর পূর্বেকার অসুস্থতার সময়ের কথা। পরবর্তীতে নবী কারীম স. নামায পড়েছেন বসে আর তাঁর পেছনের মুক্তাদীগণ পড়েছেন দাঁড়িয়ে। রসূল স. তাদেরকে বসতে বলেননি। আর রাসূল সা. এর সর্বশেষ আমলই গ্রহণীয়। (বুখারী-৬৫৫) এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, ইমাম বসে নামায পড়ালে তাঁর পেছনের সুস্থ মুক্তাদীগণ দাঁড়িয়ে ইক্তিদা করবে। এ আমলটি রসূল স.-এর শেষ আমল এবং এটাই বহাল। আর বসে ইক্তিদা করার আমলটি পূর্বের যা রহিত হয়ে গেছে।
