কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৯১
আন্তর্জাতিক নং: ৫৯১
৬৭. মহিলাদের ইমামতি করা সম্পর্কে।
৫৯১. উছমান ইবনে আবি শাঈবা .... উম্মে ওয়ারাকা বিনতে নাওফাল (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বদরের যুদ্ধের সময় আমি নবী (ﷺ) (ﷺ)কে বলি- ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমাকে এই যুদ্ধে অংশ গ্রহণের অনুমতি দান করুন, যাতে আমি যুদ্ধাহত সেনাদের সেবা শুশ্রূষা করার সময় শাহাদাত বরণ করতে পারি। জবাবে তিনি বলেনঃ তুমি স্বগৃহে অবস্থান কর। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন তোমাকে শাহাদাত নসীব করবেন।
রাবী বলেন, এজন্য তাকে শহীদ আখ্যায়িত করা হত। রাবী আরও বলেন, তিনি কুরআন সম্পর্কে বিশেষ অভিজ্ঞ ছিলেন। একদা তিনি নবী (ﷺ)-এর নিকট আরয করেন যে, তার ঘরে আযানের জন্য যেন একজন মুয়াযযিন নিযুক্ত করা হয় (মহিলাদের জামাআত কায়েমের উদ্দেশ্যে)।
(তার শাহাদাত বরণের ঘটনা এই যে) তিনি তার এক দাস ও এক দাসীকে এই চুক্তিতে আযাদ করেন যে, আমার মৃত্যুর পর তোমরা আযাদ হবে। একদা রাতে তারা (দাস-দাসী) তাদেরকে চাঁদর দিয়ে আবৃত করে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে এবং পালিয়ে চলে যায়। পরদিন সকালে উমর (রাযিঃ) তাকে মৃত অবস্থায় দেখে সকলের নিকট বলেন, তার নিকট যে দাস-দাসী থাকত তাদের সম্পর্কে তোমাদের যে ব্যক্তি অবগত আছে সে যেন তাদেরকে আমার নিকট হাযির করে। (অতঃপর উপস্থিত করা হলে তারা তাকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে) তখন তাদেরকে শূলিবিদ্ধ করে হত্যা করা হয় এবং মদীনাতে এটাই শূলিবিদ্ধ করে মৃত্যুদন্ডের সর্বপ্রথম ঘটনা।
রাবী বলেন, এজন্য তাকে শহীদ আখ্যায়িত করা হত। রাবী আরও বলেন, তিনি কুরআন সম্পর্কে বিশেষ অভিজ্ঞ ছিলেন। একদা তিনি নবী (ﷺ)-এর নিকট আরয করেন যে, তার ঘরে আযানের জন্য যেন একজন মুয়াযযিন নিযুক্ত করা হয় (মহিলাদের জামাআত কায়েমের উদ্দেশ্যে)।
(তার শাহাদাত বরণের ঘটনা এই যে) তিনি তার এক দাস ও এক দাসীকে এই চুক্তিতে আযাদ করেন যে, আমার মৃত্যুর পর তোমরা আযাদ হবে। একদা রাতে তারা (দাস-দাসী) তাদেরকে চাঁদর দিয়ে আবৃত করে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে এবং পালিয়ে চলে যায়। পরদিন সকালে উমর (রাযিঃ) তাকে মৃত অবস্থায় দেখে সকলের নিকট বলেন, তার নিকট যে দাস-দাসী থাকত তাদের সম্পর্কে তোমাদের যে ব্যক্তি অবগত আছে সে যেন তাদেরকে আমার নিকট হাযির করে। (অতঃপর উপস্থিত করা হলে তারা তাকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে) তখন তাদেরকে শূলিবিদ্ধ করে হত্যা করা হয় এবং মদীনাতে এটাই শূলিবিদ্ধ করে মৃত্যুদন্ডের সর্বপ্রথম ঘটনা।
باب إِمَامَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعُ بْنُ الْجَرَّاحِ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جُمَيْعٍ، قَالَ حَدَّثَتْنِي جَدَّتِي، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ خَلاَّدٍ الأَنْصَارِيُّ، عَنْ أُمِّ وَرَقَةَ بِنْتِ نَوْفَلٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمَّا غَزَا بَدْرًا قَالَتْ قُلْتُ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ائْذَنْ لِي فِي الْغَزْوِ مَعَكَ أُمَرِّضُ مَرْضَاكُمْ لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَرْزُقَنِي شَهَادَةً . قَالَ " قِرِّي فِي بَيْتِكِ فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَرْزُقُكِ الشَّهَادَةَ " . قَالَ فَكَانَتْ تُسَمَّى الشَّهِيدَةَ . قَالَ وَكَانَتْ قَدْ قَرَأَتِ الْقُرْآنَ فَاسْتَأْذَنَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَنْ تَتَّخِذَ فِي دَارِهَا مُؤَذِّنًا فَأَذِنَ لَهَا قَالَ وَكَانَتْ دَبَّرَتْ غُلاَمًا لَهَا وَجَارِيَةً فَقَامَا إِلَيْهَا بِاللَّيْلِ فَغَمَّاهَا بِقَطِيفَةٍ لَهَا حَتَّى مَاتَتْ وَذَهَبَا فَأَصْبَحَ عُمَرُ فَقَامَ فِي النَّاسِ فَقَالَ مَنْ كَانَ عِنْدَهُ مِنْ هَذَيْنِ عِلْمٌ أَوْ مَنْ رَآهُمَا فَلْيَجِئْ بِهِمَا فَأَمَرَ بِهِمَا فَصُلِبَا فَكَانَا أَوَّلَ مَصْلُوبٍ بِالْمَدِينَةِ .


বর্ণনাকারী: