কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৫৮৫
৬৬. ইমামতির জন্য যোগ্য ব্যক্তি সম্পর্কে।
৫৮৫. মুসা ইবনে ইসমাঈল ...... আমর ইবনে সালামা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা লোকজনের সমবেত কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলাম। এ সময় এক প্রতিনিধি দল নবী (ﷺ)-এর নিকট আগমন করে। তাঁরা প্রত্যাবর্তনের সময় আমাদের পাশ দিয়ে গমনকালে বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এইরূপ বলেছেন। রাবী বলেন, এ সময় আমার বয়স কম ছিল এবং স্মরণশক্তি ছিল প্রখর। ফলে এ সময়ে আমি কুরআনের অনেকাংশ কন্ঠস্থ করে ফেলি।
রাবী বলেন, একদা আমার পিতা তাঁর গোত্রের প্রতিনিধি হিসেবে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট যান। তখন তিনি তাদেরকে নামাযের নিয়ম-কানুন শিক্ষা দেন এবং এ কথাও বলেন যে, তোমাদের মধ্যে যার অধিক কুরআন মুখস্ত আছে- সে যেন ইমামতি করে। আমি অধিক কুরআন মুখস্থকারী ও বিশুদ্ধরূপে পাঠকারী হিসেবে তারা আমাকেই ইমামতির দায়িত্ব প্রদান করেন।
অতঃপর আমি তাদের ইমামতি করতে থাকি। এ সময় আমার গায়ে হলুদ বর্ণের একটি ছোট চাঁদর ছিল। নামাযের সময় যখন আমি সিজদায় যেতাম তখন তা খুলে যেত। মহিলাদের মধ্যে একজন বলেন, তোমরা তোমাদের ইমামের সতর ঢাকার ব্যবস্থা কর। অতঃপর তারা আমার জন্য একটি ইয়ামান দেশীয় জামা খরিদ করেন; যার ফলে ইসলাম গ্রহণের পর আমি এর চাইতে অধিক খুশী আর হই নাই। আমি এমন সময় হতে তাদের ইমামতি করতে আরম্ভ করি যখন আমার বয়স ছিল মাত্র ৭ বা ৮ বছর।*
* ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর মতানুযায়ী ফরয নামাযের জন্য নাবালকের ইমামতি জায়েয নয়। এটা ইসলামের প্রারম্ভিক যুগের ঘটনা, যখন শরীআতের হুকুম-আহকাম পরিপূর্ণভাবে নাযিল হয়নি। - (অনুবাদক)
রাবী বলেন, একদা আমার পিতা তাঁর গোত্রের প্রতিনিধি হিসেবে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট যান। তখন তিনি তাদেরকে নামাযের নিয়ম-কানুন শিক্ষা দেন এবং এ কথাও বলেন যে, তোমাদের মধ্যে যার অধিক কুরআন মুখস্ত আছে- সে যেন ইমামতি করে। আমি অধিক কুরআন মুখস্থকারী ও বিশুদ্ধরূপে পাঠকারী হিসেবে তারা আমাকেই ইমামতির দায়িত্ব প্রদান করেন।
অতঃপর আমি তাদের ইমামতি করতে থাকি। এ সময় আমার গায়ে হলুদ বর্ণের একটি ছোট চাঁদর ছিল। নামাযের সময় যখন আমি সিজদায় যেতাম তখন তা খুলে যেত। মহিলাদের মধ্যে একজন বলেন, তোমরা তোমাদের ইমামের সতর ঢাকার ব্যবস্থা কর। অতঃপর তারা আমার জন্য একটি ইয়ামান দেশীয় জামা খরিদ করেন; যার ফলে ইসলাম গ্রহণের পর আমি এর চাইতে অধিক খুশী আর হই নাই। আমি এমন সময় হতে তাদের ইমামতি করতে আরম্ভ করি যখন আমার বয়স ছিল মাত্র ৭ বা ৮ বছর।*
* ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর মতানুযায়ী ফরয নামাযের জন্য নাবালকের ইমামতি জায়েয নয়। এটা ইসলামের প্রারম্ভিক যুগের ঘটনা, যখন শরীআতের হুকুম-আহকাম পরিপূর্ণভাবে নাযিল হয়নি। - (অনুবাদক)
باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سَلِمَةَ، قَالَ كُنَّا بِحَاضِرٍ يَمُرُّ بِنَا النَّاسُ إِذَا أَتَوُا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَكَانُوا إِذَا رَجَعُوا مَرُّوا بِنَا فَأَخْبَرُونَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ كَذَا وَكَذَا وَكُنْتُ غُلاَمًا حَافِظًا فَحَفِظْتُ مِنْ ذَلِكَ قُرْآنًا كَثِيرًا فَانْطَلَقَ أَبِي وَافِدًا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي نَفَرٍ مِنْ قَوْمِهِ فَعَلَّمَهُمُ الصَّلاَةَ فَقَالَ " يَؤُمُّكُمْ أَقْرَؤُكُمْ " . وَكُنْتُ أَقْرَأَهُمْ لِمَا كُنْتُ أَحْفَظُ فَقَدَّمُونِي فَكُنْتُ أَؤُمُّهُمْ وَعَلَىَّ بُرْدَةٌ لِي صَغِيرَةٌ صَفْرَاءُ فَكُنْتُ إِذَا سَجَدْتُ تَكَشَّفَتْ عَنِّي فَقَالَتِ امْرَأَةٌ مِنَ النِّسَاءِ وَارُوا عَنَّا عَوْرَةَ قَارِئِكُمْ . فَاشْتَرَوْا لِي قَمِيصًا عُمَانِيًّا فَمَا فَرِحْتُ بِشَىْءٍ بَعْدَ الإِسْلاَمِ فَرَحِي بِهِ فَكُنْتُ أَؤُمُّهُمْ وَأَنَا ابْنُ سَبْعِ سِنِينَ أَوْ ثَمَانِ سِنِينَ .


বর্ণনাকারী: