কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ৫৭৭
৬২. ঘরে একাকী নামায আদায়ের পর মসজিদে গিয়ে জামাআত পেলে তাতে শরীক হবে।
৫৭৭. কুতায়বা ..... ইয়াযীদ ইবনে আমের (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর খিদমতে হাযির হয়ে তাকে নামাযে রত পাই। আমি তাদের সাথে নামাযে শরীক না হয়ে বসে থাকি। রাবী বলেন, অতঃপর নবী (ﷺ) নামাযান্তে আমাদের প্রতি লক্ষ্য করে দেখেন যে, ইয়াযীদ বসে আছেন। তখন নবী (ﷺ) তাকে জিজ্ঞাসা করেনঃ হে ইয়াযীদ! তুমি কি ইসলাম কবুল কর নাই? আমি বলি- হ্যাঁ! হে আল্লাহর রাসূল! আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি। তখন তিনি বলেনঃ তবে কিসে তোমাকে লোকদের সাথে জামাআতে শরীক হতে বাধা দিয়েছে? আমি বলি, আমার ধারণা ছিল যে, মসজিদের জামাআত সমাপ্ত হয়েছে, সে কারণে আমি বাড়িতে একাকী নামায আদায় করে এসেছি। তখন তিনি বলেনঃ যখন তুমি মসজিদে এসে লোকদের জামাআতে নামায আদায় করতে দেখবে, তখন তাদের সাথে তুমিও নামায পড়বে এবং তা তোমার জন্য নফল হবে এবং আগে পড়া নামায ফরয হিসাবে গণ্য হবে।
باب فِيمَنْ صَلَّى فِي مَنْزِلِهِ ثُمَّ أَدْرَكَ الْجَمَاعَةَ يُصَلِّي مَعَهُمْ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا مَعْنُ بْنُ عِيسَى، عَنْ سَعِيدِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ نُوحِ بْنِ صَعْصَعَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ جِئْتُ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي الصَّلاَةِ فَجَلَسْتُ وَلَمْ أَدْخُلْ مَعَهُمْ فِي الصَّلاَةِ - قَالَ - فَانْصَرَفَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرَأَى يَزِيدَ جَالِسًا فَقَالَ " أَلَمْ تُسْلِمْ يَا يَزِيدُ " . قَالَ بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ أَسْلَمْتُ . قَالَ " فَمَا مَنَعَكَ أَنْ تَدْخُلَ مَعَ النَّاسِ فِي صَلاَتِهِمْ " . قَالَ إِنِّي كُنْتُ قَدْ صَلَّيْتُ فِي مَنْزِلِي وَأَنَا أَحْسِبُ أَنْ قَدْ صَلَّيْتُمْ . فَقَالَ " إِذَا جِئْتَ إِلَى الصَّلاَةِ فَوَجَدْتَ النَّاسَ فَصَلِّ مَعَهُمْ وَإِنْ كُنْتَ قَدْ صَلَّيْتَ تَكُنْ لَكَ نَافِلَةً وَهَذِهِ مَكْتُوبَةً " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, কেউ একাকী নামায পড়ার পরে যদি কোন কারণে আবার ঐ নামাযের জামাতে উপস্থিত হয় তাহলে সে তাদের সাথে পুনরায় নামায পড়বে। (শামী: ২/৫৩) অবশ্য কোন্টি ফরয আর কোন্টি নফল হবে সে ব্যাপারে এ হাদীসে কিছু বলা হয়নি। হযরত আবু যর রা. থেকে মুসলিম: ১৩৪০, ১৩৪১ ও ১৩৪২ নাম্বার হাদীসে বর্ণিত আছে যে, একাকী নামায আদায়ের পরে জামাতে শরিক হলে জামাতের নামাযটি হবে তার জন্য নফল। এ কথা থেকে আরো একটি মাসআলা বের হয় যে, যে সব নামাযের পরে রসূলুলস্নাহ স. নফল পড়তে নিষেধ করেছেন সে সব ফরয নামাযের ক্ষেত্রে এ নিয়ম কার্যকর হবে না। অন্যথায় এ আমল উক্ত হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে যাবে। সুতরাং ফজর এবং আছরের নামাযে এটা করা যাবে না। কেননা এ দুই নামাযের পরে নফল পড়া নিষেধ। যে সব হাদীসে এ দুই নামাযের পরে জামাতে শরিক হওয়ার নির্দেশ পাওয়া যায় সেগুলো হয়তো ইসলামের প্রথম দিকের ঘটনা যখন ফজর এবং আছরের নামাযের পরে নফল পড়ার নিষেধাজ্ঞা জারী হয়নি। আর মাগরিবের নামাযের পরেও এটা করা যাবে না। কেননা নফল নামায বেজোড় পড়ার আমল প্রমাণিত নয়। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (মারাকিল ফালাহ: ১/২০৭, অধ্যায়: ইদরাকুল ফরীযা)


বর্ণনাকারী: