কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ৫৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ৫৩৭
৪৯. ইমামের জন্য মুয়াযযিনের অপেক্ষা করা।
৫৩৭. উছ্মান ইবনে আবি শাঈবা .... জাবের ইবনে সামুরা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বিলাল (রাযিঃ) আযান দেয়ার পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতেন এবং যখন তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে নামাযের জন্য বের হয়ে আসতে দেখতেন তখন ইকামত দিতেন।
باب فِي الْمُؤَذِّنِ يَنْتَظِرُ الإِمَامَ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ كَانَ بِلاَلٌ يُؤَذِّنُ ثُمَّ يُمْهِلُ فَإِذَا رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَدْ خَرَجَ أَقَامَ الصَّلاَةَ .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

উপরিউক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ইমামের আগমনই মুআজ্জিনের ইকামাতের সময়। মুআজ্জিন বা মুক্তাদীগণ কেউই ঘড়ি দেখে নামাযের জন্য দাঁড়িয়ে যাবে না। বরং ইমামের আগমনের অপেক্ষা করবে। ইমাম সাহেব জামাতের নির্ধারিত সময়ে না এলে তাঁর প্রতিনিধি মুয়াজ্জিন বা অন্য কেউ ইমামের স্থলাভিষিক্ত হবেন। তখন মুসল্লীগণ তাঁর সাথে দাঁড়াবে। তবে ইমামকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে, যেন তাঁর বিলম্বের কারণে কোন মানুষ কষ্ট না পায়।
ইমামকে দেখে দাঁড়ানোর নিয়ম হলো ইমাম যদি মুসল্লীদের সামনের দিক থেকে আসেন তাহলে তাঁকে দেখে সকলে একসাথে দাঁড়িয়ে যাবে। আর যদি ইমাম মুসল্লীদের পিছন দিক থেকে আসেন তাহলে তিনি যে কাতার অতিক্রম করতে থাকবেন তারা দাঁড়াতে থাকবে। এভাবে ইমাম তাঁর নির্ধারিত স্থানে আসতে আসতে সকল মুসল্লী দাঁড়িয়ে যাবে। (আলমগিরী: ১/৫৭)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান