কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৫২৯
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৯
৪৩. আযানের সময়ের দু'আ সম্পর্কে।
৫২৯. আহমদ ইবনে হাম্বল ..... জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ আযান শুনার পর যে ব্যক্তি নিম্নোক্ত দুআ পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন সে অবশ্যই শাফা’আত লাভের যোগ্য হবে। দুআটি এইঃ “আল্লাহুম্মা রবা হা-যিহিদ্ দাওয়াতিত তাম্মাতি ওয়াস্ নামাযিল কায়েমাতি আতে মুহাম্মাদানিল্ ওসীলাতা ওয়াল্ ফাদীলাহ্ ওয়াবআছহু মাকামাম মাহমুদানিল্লাযী ওয়াদতাহু”।
باب مَا جَاءَ فِي الدُّعَاءِ عِنْدَ الأَذَانِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ النِّدَاءَ اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلاَةِ الْقَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودًا الَّذِي وَعَدْتَهُ إِلاَّ حَلَّتْ لَهُ الشَّفَاعَةُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
ইমাম ইবনুছ্ ছুন্নী রহ. তাঁর লিখিত আমালুল ইয়াওমি ওয়ালস্নাইলা কিতাবের ৯৫ নাম্বারে ইমাম নাসাঈ ও তাঁর উস্তাদ আমর বিন মানছূর-এর মাধ্যমে উপরিউক্ত হাদীসটি হুবহু সনদে বর্ণনা করেছেন। সে হাদীসে آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ বাক্যের পরে وَالدَّرَجَةَ الرَّفِيعَةَ শব্দটি বর্ণিত হয়েছে। উক্ত হাদীসের রাবীগণ সকলে নির্ভরযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও অনেকে وَالدَّرَجَةَ الرَّفِيعَةَ শব্দটিকে শায তথা অপ্রবল এবং কোন লিপিকার থেকে ভুলক্রমে সংযোজিত হয়েছে বলে মনত্মব্য করেছেন। আবার এ হাদীসটি ইমাম বায়হাকী রহ. তাঁর আস সুনানুছ ছগীর কিতাবের ২২৯ নাম্বারেও বর্ণনা করেছেন। সে বর্ণনায় উক্ত দুআর শেষে إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ বাক্যটি বৃদ্ধি করা আছে। বুখারী শরীফের প্রসিদ্ধ চারজন সংকলকের মধ্যে আল্লামা আবুল হাইছাম কুশমিহানী রহ.-এর সংকলনেও বুখারী শরীফের হাদীসে উপরিউক্ত বাক্যটি বৃদ্ধি আছে। কোন কোন ইমাম এটাকেও শায বলেছেন। সুতরাং গ্রহণযোগ্য সূত্রে বর্ণিত উপরিউক্ত দুআটি পড়াই উত্তম হবে।
ফায়দা: আযানের মধ্যে রসূল স.-এর পুতপবিত্র মোবারক নাম উচ্চারিত হয়, অথচ আযানের জবাবে তাঁর প্রতি দুরূদ পড়ার নিয়ম নেই। এ কারণে মুআজ্জিন আযান শেষে আর শ্রোতাগণ আযানের জবাব দেয়া শেষ করে প্রথমে দুরূদ পড়বে অতঃপর আযানের দুআ পাঠ করবে। হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আছ রা. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, রসূল স. ইরশাদ করেন: إِذَا سَمِعْتُمُ الْمُؤَذِّنَ، فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ ثُمَّ صَلُّوا عَلَيَّ، তোমরা মুআজ্জিনকে আযান দিতে শুনবে তখন যেভাবে তাঁকে বলতে শুনবে সেভাবে বলবে অতঃপর আমার প্রতি দুরূদ পড়বে। (মুসলিম-৭৩৫, মুসনাদে আহমাদ-৬৫৬৮) এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৩৯৮)
ফায়দা: আযানের মধ্যে রসূল স.-এর পুতপবিত্র মোবারক নাম উচ্চারিত হয়, অথচ আযানের জবাবে তাঁর প্রতি দুরূদ পড়ার নিয়ম নেই। এ কারণে মুআজ্জিন আযান শেষে আর শ্রোতাগণ আযানের জবাব দেয়া শেষ করে প্রথমে দুরূদ পড়বে অতঃপর আযানের দুআ পাঠ করবে। হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আছ রা. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, রসূল স. ইরশাদ করেন: إِذَا سَمِعْتُمُ الْمُؤَذِّنَ، فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ ثُمَّ صَلُّوا عَلَيَّ، তোমরা মুআজ্জিনকে আযান দিতে শুনবে তখন যেভাবে তাঁকে বলতে শুনবে সেভাবে বলবে অতঃপর আমার প্রতি দুরূদ পড়বে। (মুসলিম-৭৩৫, মুসনাদে আহমাদ-৬৫৬৮) এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৩৯৮)
