কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৭
১৫. নামাযের সময় ঘুমিয়ে থাকলে বা ভুলে গেলে কি করতে হবে?
৪৩৭. মুসা ইবনে ইসমাঈল .... আবু কাতাদা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) এক সফরে ছিলেন। তিনি একদিকে মনোনিবেশ করলেন এবং আমিও তাঁর সাথে মনোনিবেশ করলাম। অতঃপর তিনি বলেনঃ লক্ষ্য কর। তখন আমি বলি এই একজন আরোহী, এই দুইজন আরোহী, এই তিনজন আরোহী- এইরূপে আমরা গণনায় সাত পর্যন্ত পৌছাই। অতঃপর নবী (ﷺ) বলেনঃ তোমরা আমাদের ফজরের নামাযের প্রতি দৃষ্টি রাখ। অতঃপর রাবী বলেন যে, তাদের কান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল (সকলে ঘুমিয়ে পড়েছিল) এবং রৌদ্রের তাপ গায়ে লাগার পূর্বে কেউই ঘুম হতে উঠতে পারেন নি। ঘুম হতে বেলা উঠার পর জাগ্রত হয়ে তারা উক্ত স্থান ত্যাগ করে সামান্য দূর যাওয়ার পর অবতরণ করে উযু করেন।
অতঃপর বিলাল (রাযিঃ) আযান দেওয়ার পর তারা প্রথমে ফজরের দুই রাকআত সুন্নত, অতঃপর দুই রাকআত ফরয নামায আদায় করে উক্ত স্থান ত্যাগ করেন। অতঃপর তাঁরা পরস্পর বলাবলি করতে থাকেন, আমরা নির্ধারিত সময়ে নামায আদায় না করে গুনাহগার হয়েছি। এতদশ্রবণে নবী (ﷺ) বলেনঃ অনিচ্ছাকৃত ভাবে নির্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে কেউ যদি নামায কাযা করে তবে তা অন্যায় নহে। অবশ্য জাগ্রত থাকাবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে নামায কাযা করলে অন্যায় হবে। অতএব তোমাদের কেউ যখন নামায আদায়ের কথা ভুলে যায়, সে যেন স্মরণ হওয়া মাত্রই তা আদায় করে এবং পরবর্তী দিন উক্ত সময়ের নামাযটি তার নির্ধারিত সময়ে যেন আদায় করে।*
* উপরোক্ত হাদীসে জানা যায় যে, কোন ব্যক্তির নামায কাযা হলে স্মরণ হওয়া মাত্রই তা আদায় করতে হবে এবং পরের দিন ঐ নামাযের জন্য নির্দ্ধরিত সময়ে আদায় করার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে যেন পুনরায় তা কাযা না হয়।
অতঃপর বিলাল (রাযিঃ) আযান দেওয়ার পর তারা প্রথমে ফজরের দুই রাকআত সুন্নত, অতঃপর দুই রাকআত ফরয নামায আদায় করে উক্ত স্থান ত্যাগ করেন। অতঃপর তাঁরা পরস্পর বলাবলি করতে থাকেন, আমরা নির্ধারিত সময়ে নামায আদায় না করে গুনাহগার হয়েছি। এতদশ্রবণে নবী (ﷺ) বলেনঃ অনিচ্ছাকৃত ভাবে নির্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে কেউ যদি নামায কাযা করে তবে তা অন্যায় নহে। অবশ্য জাগ্রত থাকাবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে নামায কাযা করলে অন্যায় হবে। অতএব তোমাদের কেউ যখন নামায আদায়ের কথা ভুলে যায়, সে যেন স্মরণ হওয়া মাত্রই তা আদায় করে এবং পরবর্তী দিন উক্ত সময়ের নামাযটি তার নির্ধারিত সময়ে যেন আদায় করে।*
* উপরোক্ত হাদীসে জানা যায় যে, কোন ব্যক্তির নামায কাযা হলে স্মরণ হওয়া মাত্রই তা আদায় করতে হবে এবং পরের দিন ঐ নামাযের জন্য নির্দ্ধরিত সময়ে আদায় করার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে যেন পুনরায় তা কাযা না হয়।
باب فِي مَنْ نَامَ عَنِ الصَّلاَةِ، أَوْ نَسِيَهَا
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍ الأَنْصَارِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو قَتَادَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ فِي سَفَرٍ لَهُ فَمَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمِلْتُ مَعَهُ فَقَالَ " انْظُرْ " . فَقُلْتُ هَذَا رَاكِبٌ هَذَانِ رَاكِبَانِ هَؤُلاَءِ ثَلاَثَةٌ حَتَّى صِرْنَا سَبْعَةً . فَقَالَ " احْفَظُوا عَلَيْنَا صَلاَتَنَا " . يَعْنِي صَلاَةَ الْفَجْرِ فَضُرِبَ عَلَى آذَانِهِمْ فَمَا أَيْقَظَهُمْ إِلاَّ حَرُّ الشَّمْسِ فَقَامُوا فَسَارُوا هُنَيَّةً ثُمَّ نَزَلُوا فَتَوَضَّئُوا وَأَذَّنَ بِلاَلٌ فَصَلَّوْا رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ ثُمَّ صَلَّوُا الْفَجْرَ وَرَكِبُوا فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ قَدْ فَرَّطْنَا فِي صَلاَتِنَا . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّهُ لاَ تَفْرِيطَ فِي النَّوْمِ إِنَّمَا التَّفْرِيطُ فِي الْيَقَظَةِ فَإِذَا سَهَا أَحَدُكُمْ عَنْ صَلاَةٍ فَلْيُصَلِّهَا حِينَ يَذْكُرُهَا وَمِنَ الْغَدِ لِلْوَقْتِ " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, কাযা নামায আদায়ের জন্য আযান দেয়া হয়। আর মুসলিম শরীফের হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, কাযা নামায আদায় করতে ইকামাত দেয়াও প্রয়োজন। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৩৯০) অবশ্য এ ঘটনা যেহেতু সফরের তাই সফরের ক্ষেত্রে এটা পূর্ণ প্রযোজ্য হবে। আর নিজ বাড়ি বা মহল্লায় এমন ঘটনা ঘটলে মহল্লায় আযান-ইকামাত তাদের জন্য যথেষ্ট হবে। (ইবনে আবী শাইবা: ২৩০১)
